আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
835 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
কোন ব্যাক্তি প্রথমে কুল্লামা তালাকের কসম করেছে কসম করে কসম বংগ করছে পরে আবার নিকাহে ফুযুলির উপরও কুল্লামা তালাকের কসম করে কসম বংগ করেছে এখন তার বিবাহের কোন সূরত আছে

কোন ব্যাক্তি প্রথমে কুল্লামা তালাকের কসম করেছে কসম করে কসম বংগ করছে পরে আবার নিকাহে ফুযুলির উপরও কুল্লামা তালাকের কসম করে কসম বংগ করেছে এখন তার বিবাহের কোন সূরত আছে

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মাসআলা জানার পূর্বের এ সংক্রান্ত একটি মূলনীতি আমাদের মনে রাখতে হবে।
أَلْفَاظُ الشَّرْطِ إنْ وَإِذَا وَإِذْمَا وَكُلُّ وَكُلَّمَا وَمَتَى وَمَتَى مَا فَفِي هَذِهِ الْأَلْفَاظِ إذَا وُجِدَ الشَّرْطُ انْحَلَّتْ الْيَمِينُ وَانْتَهَتْ لِأَنَّهَا تَقْتَضِي الْعُمُومَ وَالتَّكْرَارَ فَبِوُجُودِ الْفِعْلِ مَرَّةً تَمَّ الشَّرْطُ وَانْحَلَّتْ الْيَمِينُ فَلَا يَتَحَقَّقُ الْحِنْثُ بَعْدَهُ إلَّا فِي كُلَّمَا لِأَنَّهَا تُوجِبُ عُمُومَ الْأَفْعَالِ فَإِذَا كَانَ الْجَزَاءُ الطَّلَاقَ وَالشَّرْطُ بِكَلِمَةِ كُلَّمَا يَتَكَرَّرُ الطَّلَاقُ بِتَكْرَارِ الْحِنْثِ حَتَّى يَسْتَوْفِيَ طَلَاقَ الْمِلْكِ الَّذِي حَلَفَ عَلَيْهِ فَإِنْ تَزَوَّجَهَا بَعْدَ زَوْجٍ آخَرَ وَتَكَرَّرَ الشَّرْطُ لَمْ يَحْنَثْ عِنْدَنَا كَذَا فِي الْكَافِي.
ভাবার্থঃ
শর্তের মাধ্যমে তালাক প্রদাণের জন্য নিম্নোক্ত হরফ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যথা-
(১)إنْ-যদি
(২)َإِذَا-যখন
(৩)َإِذْمَا-যখন
(৪)َكُلُّ-সব
(৫)َكُلَّمَا-যখনই
(৬)مَتَى-যখন
(৭)مَتَى مَا-যখন
বাক্যর প্রারম্ভে এ সকল শব্দ প্রয়োগ করে কোনো কাজের সাথে সম্পর্কিত করে তালাক প্রদাণ করলে যখনি উক্ত শর্ত পাওয়া যাবে,তখন তাৎক্ষণাৎ তালাক পতিত হয়ে উক্ত শর্তযুক্ত বাক্য বিনষ্ট হয়ে যাবে।পরবর্তীতে একাজের পূনরাবৃত্তি ঘটলে আর তালাক পতিত হবে না।তবে শুধুমাত্র ৫ নং বাক্য এর বিপরিত।এটা ব্যবহার করলে যখনই শর্ত পাওয়া যাবে তখনই তালাক পতিত হতে থাকবে।যতক্ষণ না উক্ত বিয়ে বন্ধন শেষ হচ্ছে।শরীয়া মোতাবেক দ্বিতীয়বার উক্ত স্বামী উক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করলে তখন আর তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪১৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1237

وَلَوْ دَخَلَتْ كَلِمَةُ كُلَّمَا عَلَى نَفْسِ التَّزَوُّجِ بِأَنْ قَالَ: كُلَّمَا تَزَوَّجْت امْرَأَةً فَهِيَ طَالِقٌ أَوْ كُلَّمَا تَزَوَّجْتُك فَأَنْت طَالِقٌ يَحْنَثُ بِكُلِّ مَرَّةٍ وَإِنْ كَانَ بَعْدَ زَوْجٍ آخَرَ هَكَذَا فِي غَايَة السُّرُوجِيِّ.
যদি কুল্লাম কে বিবাহের মধ্যে প্রবেশ করানো হয়, যেমন কেউ বলল, যখনই আমি কোনো নারীকে বিয়ে করবো, তখনই সে তালাক। অথবা কেউ বলে, যখনই তোমাকে বিয়ে করবো, তখনই তুমি তালাক। তাহলে এমতাবস্থায় ঐ মেয়েকে বিয়ে করার সাথে সাথেই ঐ মেয়ে তালাক হয়ে যাবে। যদি একবার তালাক প্রাপ্ত হওয়ার দ্বিতীয় স্বামীর গ্রহণ করার পর আবার প্রথম স্বামীর ঘরে সে আসে, তাহলেও বিয়ের সাথে সাথেই সে তালাক প্রাপ্ত হয়ে যাবে। 
وَلَوْ قَالَ: كُلُّ امْرَأَةٍ أَتَزَوَّجُهَا فَهِيَ طَالِقٌ فَتَزَوَّجَ نِسْوَةً طُلِّقْنَ وَلَوْ تَزَوَّجَ امْرَأَةً وَاحِدَةً مِرَارًا لَمْ تَطْلُقْ إلَّا مَرَّةً وَاحِدَةً كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَلَوْ نَوَى بَعْضَ النِّسَاءِ صَحَّتْ نِيَّتُهُ دِيَانَةً لَا قَضَاءً وَقَالَ الْخَصَّافُ: تَصِحُّ نِيَّتُهُ فِي الْقَضَاءِ أَيْضًا وَالْفَتْوَى عَلَى ظَاهِرِ الْمَذْهَبِ وَإِنْ أَخَذَ بِقَوْلِ الْخَصَّافِ إذَا كَانَ الْحَالِفُ مَظْلُومًا فَلَا بَأْسَ بِهِ كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 415)

যদি কেউ বলে যে সব মহিলাদেরকে আমি বিয়ে করবো তারা প্রত্যেকে তালাকপ্রাপ্ত হবে। যদি এখন এই ব্যক্তি কোনো এক মহিলাকে একাধিক বার বিয়ে করে, তাহলে শুধুমাত্র ঐ মহিলা একবারই তালাক প্রাপ্ত হবে। যদি সে তার উপরোক্ত কথা দ্বারা নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক মহিলাদেরকে নিয়ত করে, তাহলে তার নিয়ত দিয়নাত হিসেবে বিশুদ্ধ হবে। কিন্তু বিচারিকভাবে তা বিশুদ্ধ হবে না। 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোন ব্যাক্তি প্রথমে কুল্লামা তালাকের কসম করেছে কসম করে কসম ভঙ্গ করছে পরে আবার নিকাহে ফুযুলির উপরও কুল্লামা তালাকের কসম করে ভঙ্গ করছে?

সে কিভাবে কসম ভঙ্গ করেছে? এখানে কসম ভঙ্গ করার কি অর্থ হতে পারে? তা আমাদের বোধগম্য নয়। সুতরাং আপনি প্রশ্নটি আবার ইডিট করে সাজিয়ে দেন বা কমেন্টে উল্লেখ করুন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...