আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in পবিত্রতা (Purity) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে আমার মিসক্যারেজ হয়, কিন্তু তা ক্লিয়ার হয়নি। প্রায় তিনমাস পর এসে জানতে পারি ভ্রুণ মৃত এবং ওয়াশ করতে হবে। ওয়াশের পর যদি ব্লিডিং শুরু হয় তাহলে কি আমার হায়েযের অভ্যাস অনুযায়ী দিন গণনা করে নামাজ, তিলাওয়াত বন্ধ রাখবো এবং তা অভ্যাসের দিনের চেয়ে কম হলে পরবর্তীতে কাযা করে নিবো?
ডক্টর বলেছে ১৫দিন মতো ব্লিডিং হতে পারে অল্পস্বল্প। এক্ষেত্রে ১০দিন হায়েজ ধরে কি বাকী দিনগুলো থেকে নামাজ, তিলাওয়াত আদায় করতে পারবো?
আর আমার মিসক্যারেজ হলেও প্রায় তিনমাস ধরে ভাবছি আমি অন্ত:স্বত্তা। হুট করে এমন হৃদয় বিদারক খবরে আমি মর্মাহত তবে আল্লাহর প্রতি, তাকদীরের ফয়সালার প্রতি বিশ্বাস রেখে সবর করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে কি আমি বিনিময় পাবো?

1 Answer

0 votes
by (716,130 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়।আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1570

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি চার মাসে আগেই গর্ভপাত হয়, তাহলে ১০ দিনের কম রক্তস্রাব হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু যদি তিন দিনের কম বা ১০ দিনের বেশী হয়, তাহলে সেটা ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে। আপনার পূর্বের যদ দিনের অভ্যাস ছিলো, ততদিন হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...