আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
১।আমরা তিন ভাই বাবা খালি আমাকে দিয়ে কাজ করাতে চায় তাদের দুজনকে কিছুই বলে না। পেট খারাপ ছিলো রাতে তিনবার টয়লেটে গেছি ঠিক মত ঘুমাতে পারিনাই । সকালে ভুট্টা খেতে পানি দিবে সকালেও ঘুমাতে পারিনাই তারপর খেতে গিয়ে কিছুক্ষন   কাজ করছি। একজন লোক নিছে কাজের জন্য সে চায় আমাকে দিয়ে কাজ করাতে চায়। আমার বাবা বলে তার সাথে গিয়ে কাজ করতে তাদের জন্য পানি নিতে আমাকে ঢাকাঢাকি করছে আমি ঘুমের ভান ধরে পরে ছিলাম   আমার শরীর ভালো লাগতেছে না সে জন্য যাই নাই আরও দুই ভাইকে বলে নাই বাবা আমার সাথে রাগারাগি করে নিজে নিয়ে গেছে উনার শরীরও ভালো না। আমি শিওর না যে বাবা মার অবাধ্য হব কিনা আমার শরীর ভালো লাগতেছে না দেখে যাই নি আমি বেশির ভাগই উনাদের হুকুম পালন করি এরকম কমই হয় যে উনাদের হুকুম পালন করি না । আমি কি বাবা মার অবাধ্য হব আর যদি হই শুধু মাত্র আল্লাহ পাক এর কাছে মাফ চাইলে হবে কি?
২।হাদিসে আছে বাবা মার অবাধ্য সন্তান জান্নাতে প্রবেশ করবে না তাহলে কি তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে?

৩।অনেক সময় শুয়ে আছি শরীর ভালো লাগতেছে না ঐসময়ে বাবা বেশী কাজের জন্য বলে যদিও বেশির ভাগই করি তবে  বিরক্ত লাগে এইজন্য কি আমার গোনাহ হবে বাবা মার অবাধ্য সন্তান হবো?

1 Answer

0 votes
by (716,130 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَصْبَحَ مُطِيعًا لِلَّهِ فِي وَالِدَيْهِ أَصْبَحَ لَهُ بَابَانِ مَفْتُوحَانِ مِنَ الْجَنَّةِ وَإِنْ كَانَ وَاحِدًا فَوَاحِدًا. وَمَنْ أَمْسَى عَاصِيًا لِلَّهِ فِي وَالِدَيْهِ أَصْبَحَ لَهُ بَابَانِ مَفْتُوحَانِ مِنَ النَّارِ وَإِنْ كَانَ وَاحِدًا فَوَاحِدًا» قَالَ رَجُلٌ: وَإِنْ ظَلَمَاهُ؟ قَالَ: «وَإِنْ ظلماهُ وإِن ظلماهُ وإِنْ ظلماهُ»
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় সকাল করল যে, সে তার মাতা-পিতার ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলার আদেশের অনুগত রয়েছে, তখন তার সে সকাল এমন অবস্থায় হয় যে, তার জন্য জান্নাতের দু’টো দরজা খোলা থাকে। যদি একজন হয়, তখন জান্নাতের একটি দরজা খোলা থাকে। আর যে ব্যক্তি মাতা-পিতার ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলার কাছে অপরাধী হিসেবে সকাল করে, তবে সে যেন এমনভাবে ভোর করল যে, জাহান্নামের দু’টো দরজা তার জন্য খোলা থাকে। আর যদি তাঁদের একজন থাকে, তবে একটি দরজা খোলা থাকে। এ সময় জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, যদি তাঁরা পুত্রের ওপর অবিচার করে? জবাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যদি তারা পুত্রের প্রতি অবিচার করে, যদিও তাঁরা পুত্রের প্রতি অবিচার করে, যদিও তাঁরা পুত্রের প্রতি অবিচার করে।(বায়হাক্বী শু‘আবুল ঈমান ৭৯১৬, মিশকাত-৪৯৪৩)


প্রশ্ন জাগে যে,মাতাপিতা নফল ইবাদতে বাধা প্রদান করলে,সন্তানের জন্য সেই নফল ইবাদত করার বিধান কি?

জবাবে বলা হবে,মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

সুতরাং যদি সন্তানের কষ্ট লাগবের জন্য তারা আদেশ দিয়ে থাকেন,তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1707

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঘরের কাজকর্ম করার জন্য মাতাপিতার আদেশ পালন  যথাসম্ভব সন্তানের উপর জরুরী। তবে সন্তানের সামর্থ্যর বাহিরে হলে তখন জরুরী হবে না। প্রশ্নের বিবরণমতে মাতাপিতার উপর ওয়াজিব, সকল সন্তানকে সমান চোখে দেখা। যেহেতু সন্তান তার সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাই শরীর ভালো না থাকার জন্য মাঝেমধ্যে পারিবারিক কাজ থেকে দূরে থাকার জন্য মাতাপিতার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...