আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি ঢাকার একটা মেসে থাকি সেখানে আমার রুম মেট এক বড় ভাই একটা কেবল(তার,ইলেক্ট্রনিক) কোম্পানিতে অডিট এ চাকরি করেন।কম্পানির কাজের জন্য তাকে বাইরের বিভিন্ন জেলাতে গিয়ে কোম্পানির হিসাব দেখেন,সেখানে বেশ কয়েক দিন বাইরের হোটেলে থাকতে হয়, হোটেলে খেতে হয়।যা কোম্পানি ব্যায় বহন করেন পেমেন্ট স্লিপ দেখে। তিনি সেই হোটেলে থাকার বিল ও খাওয়ার বিল পূরন না করেই আনেন, এবং তিনি সেই বিল বেশি করে লিখেন।যেমন ৪০০ টাকার হোটেলে থেকে বিল ৯০০ টাকা লেখেন।

আমার সমস্যা হলো এক দিন আগে তিনি এরকম তিনটা খালি বিলের কাগজ আমার হাত দিয়ে(বিল বেশি ধরে)লেখান।যাতে কোম্পানি তার হাতের লেখা না বুঝে।প্রায় ৮০০ টাকা বেশি লিখছি(আনুমানিক)।লেখার পরে তো আমার অবস্থা খারাপ,আমার দ্বারা তো বান্দার হক(কোম্পানির মলিক)এর হক নষ্ট হলো।বা আমি একজন কে চুরি করতে সাহায্য করলাম।আমি খুব অনুতপ্ত,। আল্লাহ তো বান্দার হক মাফ করতে চান না।তাহলে আমি কিভাবে মাফ পাবো সেই বান্দার কাছে,যাতে করে আল্লাহ আমাকে মাফ করেন।

আল্লাহ মাফ পাওয়ার ক্ষেত্রে এই বান্দার হক মাফের কোনো আশা আছ কি?

এই ঘটনার পর থেকে কোনো কাজেই আমার মন বসতেছেনা।কিছুই ভালো লাগতেছেনা।

আমার এই হক আল্লাহর কাছে মাফ করানোর কোনো আশা আাছে কি?যাতে জাহান্নাম থেকে বাচতে পারি এবং জান্নাতে যেতে পারি।

1 Answer

0 votes
by (73,920 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/46246/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

কারোর নিকট বান্দার হক পাওনা থাকলে, প্রথমে উক্ত হক পরিশোধের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। সাধ্যমত চেষ্টা করার পরও যদি সেই হককে আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত প্রাপ্য হক্বকে সেই ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিবে এবং আল্লাহ তা'আলার নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবে। আল্লাহ তা'আলা কারো প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলে নিজ পক্ষ্য থেকে বান্দার হককে আদায় করে দিবেন।

,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০,

ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

,

https://www.ifatwa.info/8668  নং ফাতাওয়াতে বলেছি যে,

অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না। বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।

কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা-২৯)

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

,

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার রুমমেটকে বুঝিয়ে আপনি যতটাকা বেশী লিখেছেন ততটাকা উক্ত কোম্পানীকে তার মাধ্যমে ফিরিয়ে দিবেন অথবা এতটাকা তিনি পরবর্তীতে বিল করা থেকে বিরত থাকলেও হবে।

সে কোনো ভাবে রাজী না হলে আপনি সরাসরি উক্ত কোম্পানীকে পৌছে দিবেন। এটা কোনো ভাবে সম্ভব না হলে ঐ পরিমাণ টাকা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিবেন।

পাশাপাশি আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে এবং তাওবা করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...