আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১ বছর আগে ভরনপোষণ না দেয়া,পরনারীতে আসক্তি,মারধোরের কারনে আমার স্বামীর থেকে আমি তালাকে তাফবীজ গ্রহন করি।সংসারের ৫ বছরে সে আমার & বাচ্চার কোন খরচ দেয়নি,& বিপদে-আপদে অসুস্থতায় পাশে থাকেনি।কিন্তু হুট করেই সে এখন বাচ্চার ব্যাপারে আগ্রহী,দেখা & যোগাযোগের জন্যে।আমি তাকে আমার মাহরাম(বাবা/ভাইয়ের)সাথে যোগাযোগ করে দেখা/টাকা দেয়া ফিক্সড করতে বলি,কিন্তু সে শুধু আমাকেই অনবরত মেসেজ দেয় & নানাবিধ কথা বলে আমাকে মানসিক চাপে রাখছে!সে বাচ্চাকে(৪বছর) একটা এন্ডয়েড ফোন কিনে দিয়েছে,সেখানে কল দেয় কিন্তু সেই ফোনে বাচ্চা গেম/ভিডিও দেখে প্রায়ই,আমি ভয় করি তাতে বাচ্চার আসক্তি হয়ে যায় কিনা,& কল রিসিভ করে আমাকেই সবসময় দিতে হয় এতে আমার মানসিক শান্তিও নষ্ট হচ্ছে!সে একবার তার ভাইকে সাথে নিয়ে বাচ্চার সাথে দেখা করতে এসে বাজে পরিবেশের তৈরি করে,তার ভাই আমাকে অনেক বাজে কথা বলে মেসেজে!আমি তাকে বারবার বুঝিয়েছি আমার মাহরামের সাথে কথা বলতে কিন্তু সে ডাইরেক্ট আমাকে মেসেজ করে,সে আমাকে পুনরায় বিয়ে(২ তালাক বায়েন) করাসহ(শর্ত থাকে আমার পরিবারের সাথে আমার সম্পর্ক রাখা যাবেনা) নানাধরনের প্রস্তাব দিতে থাকে,মূলত বাচ্চার ব্যাপারে নয় আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপই তার উদ্দেশ্য।কিন্তু তার কোন মেসেজে আমার প্যানিক এটাক হয় & স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে।

আমি কারো উপর জুলুম করতে চাইনা,কিমতু সে যদি মাহরাম ব্যাতিত বাচ্চার ব্যাপারে আমার সাথে যোগাযোগ অব্যহত রাখে সেক্ষেত্রে আমি বাচ্চা না দেখতে দিলে কি গুনাহ হবে?আর বারবার বুঝানোর পরেও যদি আমার মাহরামের সাথে যোগাযোগ না করে বাচ্চার ব্যাপারে তাহলে আমার কি করনীয়?আর আমার বাচ্চার থেকে তার  বাবার প্রকৃত কাজ কর্ম কি গোপন করতে হবে,বড় হয়ে বাচ্চা বিচ্ছেদের কারন আস্ক করলে কি সত্য বলা থেকে বিরত থাকতে হবে?যাতে তার বাবার প্রতি কুধারনা /অসম্মান না আসে?

1 Answer

0 votes
by (643,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
এক দুই তালাকের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা যায়, তবে তিন তালাকের পর আর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা যায় না বরং স্ত্রী হারাম হয়ে যায়। মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
 فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০] এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2579


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি আপনাদের মধ্যকার তিন তালাক হয়ে থাকে, তাহলে এখন আপনারা উভয় নিরাপদ দূরত্বে থাকবেন। সে যদি যোগাযোগ করতে চায়, তাহলে আপনার মাহরামের সাথে যোগাযোগ করার কথা সর্বদাই বলবেন। যদি সে এভাবে উল্টা পাল্টা করতেই থাকে, তাহলে সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। সন্তান সাবালক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত রুটিনমাফিক তাকে সন্তান দেখার সুযোগ আপনাকে দিতে হবে। সাবালক হওয়ার পর সন্তানকে তার ভবিষ্যত বাচাইয়ের সুযোগ দিতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...