ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/93732/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
ভ্রু উপরে ফেলা, ভ্রু চেছে ফেলা
বা ভ্রুকে নতুন সেপ দেওয়া, ছড়ানো ভ্রু থেকে আসেপাশের লোম গুলো চেছে বা তুলে ফেলা এগুলোর
কোনোটিই জায়েজ নেই।
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
ﻭﻋﻦ
ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﻮَﺍﺷِﻤَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟْﻤُﻮﺗَﺸِﻤَﺎﺕِ
ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﻨَﻤِّﺼَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﻔَﻠِّﺠَﺎﺕِ ﻟِﻠْﺤُﺴْﻦِ ، ﺍﻟْﻤُﻐَﻴِّﺮَﺍﺕِ ﺧَﻠْﻖَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻓَﺒَﻠَﻎَ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻣِﻦْ ﺑَﻨِﻲ ﺃَﺳَﺪٍ ﻳُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻬَﺎ ﺃُﻡُّ ﻳَﻌْﻘُﻮﺏَ ، ﻓَﺠَﺎﺀَﺕْ
ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ : ﺇِﻧَّﻪُ ﺑَﻠَﻐَﻨِﻲ ﻋَﻨْﻚَ ﺃَﻧَّﻚَ ﻟَﻌَﻨْﺖَ ﻛَﻴْﺖَ ﻭَﻛَﻴْﺖَ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ
: ﻭَﻣَﺎ ﻟِﻲ ﺃَﻟْﻌَﻦُ ﻣَﻦْ ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ
ভাবার্থঃ “আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই
সব নারীদের উপর, যারা অন্যর দেহাঙ্গে উল্কি (ট্যাটু) অংকন করে, এবং নিজ দেহাঙ্গে
অন্যর মাধ্যমে উল্কি (ট্যাটু) করে,এবং ভ্রু-কে চেঁছে সরু (প্লাক) করে,ও সৌন্দর্য প্রদর্শনের
মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, অর্থাৎ এসমস্তের মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।
(তারা অভিশপ্ত) বনি আসাদ গোত্রীয় উম্মে ইয়াক্বুব নামী জনৈক মহিলা এ ব্যাপারে তার (ইবনে
মাসউদের বর্ণনার) প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন,‘আমি কি তাকে অভিসম্পাত করব না, যাকে আল্লাহর
রাসুল (সাঃ) অভিসম্পাত করেছেন।এবং অন্য বর্ণনায় এসেছে........(এবং তা আল্লাহর কিতাবে
আছে? আল্লাহ বলেছেন, "রাসুল যে বিধান তোমাদেরকে দিয়েছেন
তা গ্রহন কর, আর যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকো।
(-সূরা হাশরঃ৭) [সহীহ বুখারী ৪৮৮৬ নং এবং ৪৬০৪ নং হাদীস]
,
কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে উক্ত মহিলা
ইবনে আব্বাস রাযি. কে অভিযোগ করল,
এগুলা তো আপনার স্ত্রীও করেন। প্রতিউত্তরে ইবনে আব্বাস রাযি
বললেন, ঠিক আছে তাহলে আপনি গিয়ে দেখে আসতে পারেন, ঐ মহিলা ইবনে
আব্বাস রাযি. এর ঘরে গিয়ে উনার স্ত্রীর কাছে তা পায়নি, তখন ইবনে আব্বাস
রাযি বললেন- এমন হলে আমি তার সাথে ঘর-সংসার-ই করতাম না।
আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/466
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
,
প্রশ্নের বিবরন মতে এ অংশের ভ্রু
কাটা জায়েজ হবেনা।
আরো জানুন - https://ifatwa.info/93732/