আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
২ জন গোপনে বিয়ে করার (২ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজহাব কবুল হয়েছে কাজী ছিলেন না) পর পরিবার পরে সেটা সন্দেহ করে জিজ্ঞেস করলে যদি ২ জনই (ছেলে মেয়ে) উভয়ই ভয় পেয়ে বিয়ে করেনি বলে অস্বীকার করে।মুলত বিষয়টা গোপন রাখতে। এক্ষেত্রে বিয়ে কি ভেঙে যাবে?
১.মুলত ২ জন সাক্ষী ব্যতীত তাদের বিয়ের কথা কেউ জানেন না।।।তাই সমাজের অন্য কেউ যদি জিজ্ঞেস করে যে বিবাহিত কিনা তারপর যদি স্বামী অস্বীকার করে, যদি বলে বিয়ে করিনি তাইলে তাহলে বিয়ে ভেঙে যাবে??তালাক হয়ে যাবে?? (মুলত বিষয়টাকে গোপন রাখতে তালাকের নিয়তে না )

২. সমাজের বাকি সবাইকে বিয়ের কথা বললেও বাবা মায়ের পরিচিত কাউকে অথবা এমন কোনো জায়গা যা বাবা মার পরিচিত হতে পারে ওখানে কেউ পরিচিত থাকতে পারে ভেবে স্বামী  যদি বিয়ে করেনি বলে  বলে বিয়ের কথা অস্বীকার করে তাহলে বিয়েতে সমস্যা হবে?? তালাক হয়ে যাবে?( মুলত বিষয়টাকে গোপন রাখতে তালাকের নিয়তে না)

৩. বিয়ে গোপন রাখতে কলেজ ভার্সিটির ফর্মে যদি স্বামী অবিবাহিত  লিখে তাহলে সমস্যা হবে?

৪. উপরের সব প্রশ্ন স্ত্রীর ক্ষেত্রেও। স্ত্রীও যদি বিয়ে গোপন রাখতে উপরোক্ত কাজ গুলো করে তাহলে বিয়ে ভেঙে যাবে??

৫. পরিবার ব্যাতিত সমাজের অন্যান্য মানুষের কাছে স্বামী স্ত্রী উভয়ই একসাথে বিয়ে অস্বীকার করলে তালাক হবে?? যদি স্বাভাবিক রাস্তার কোনো মামুষ জিজ্ঞেস করলো এবং স্বামী স্ত্রী ২ জনই অস্বীকার করল যে তাদের বিয়ে হয়নি তারা বিয়ে করেনি।। ( বিবাহ গোপন রাখতে তালাক এর নিয়তে না)

৬. স্বামী স্ত্রী যদি এমন মানুষ এর কাছে বিয়ের কথা গোপন করে বা বিয়ে অস্বীকার করে যাকে বিয়ের কথা জানালেও সমস্যা হবে না ছেলে মেয়ের পরিবার জানবে না তাহলে তালাক হবে?? (বিয়ে গোপন রাখারা উদ্দেশ্যে তালাক এর উদ্দেশ্যে না,স্বাভাবিক ভাবে এমনিতেই অস্বীকার করেছে তাকে জানাতে চাচ্ছে না তাই)

 ৭. নিকটতম  বন্ধু বান্ধবী অথবা দূরের বন্ধু বান্ধবীর থেকেও বিয়ে গোপন রাখার উদ্দেশ্যে তাদের কাছেও অস্বীকার করা হয়েছে যাতে বন্ধু মহল না জানে।। এতে তালাক হবে??

বিঃ দ্রঃ উভয়ের পরিবারকে আমরা বিয়ের জন্য রাজি করাতে চেয়েছি কিন্তু তারা কোনো ভাবেই রাজি হয় না।।তাই যেনা থেকে বাচতে বিয়ে করেছি।।অনেক খারাপ লাগতো যেনার মধ্যে থাকতে।

1 Answer

0 votes
by (616,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর এমনিতেই বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

শরীয়তের বিধান মতে তালাকের জন্য কোনো সাক্ষী বা কাজীর প্রয়োজনীয়তা নেই।
কেহ যদি স্ত্রীকে না জানিয়েও একা একি তালাক প্রদান করে,তবুও তালাক পতিত হবে। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৯/৭৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
عن الحسن وخلاس: في الرجل یطلق امرأتہ وہو غائب عنہا قال: تعتد من یوم یأتیہا الخبر۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۱۰؍۱۳۳ رقم: ۱۹۲۶۵)
সারমর্মঃ
যে ব্যাক্তি স্ত্রীর অনুপস্থিতি তাকে তালাক প্রদান করে,সেই সম্পর্কে হাসান এবং খাল্লাছ রাঃ বলেন খবর আসার দিন সে ইদ্দত পালন করবে। 

مستفاد: أما رکن الطلاق فہو ہذہ اللفظۃ الصادرۃ عن الزوج۔ (الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۴؍۳۷۷ زکریا)
সারমর্মঃ
তালাকের রুকন হলো এই শব্দ স্বামী থেকে বের হওয়া  

তালাক পতিত হওয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রীকে শুনিয়ে দেওয়া জরুরি নয়।
মুখ থেকে উচ্চারণ হয়ে গেলেই তালাক পতিত হয়ে যায়।
(এক্ষেত্রে ভুলে/ঠাট্রা মূলক মুখ দিয়ে উচ্চারন হলেও তালাক হবে।)
(ফাতাওয়ায়ে রশিদিয়্যাহ ৪৭৭
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ৯/৪২
আযিযুল ফাতওয়া ১/২৫২)
,   
أما رکن الطلاق فہو ہذہ اللفظۃ الصادرۃ من الزوج۔ (الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۴؍۳۷۷ رقم: ۶۴۷۱ زکریا)
সারমর্মঃ
তালাকের রুকন হলো এই শব্দ গুলো স্বামী থেকে বের হওয়া।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
(১-৭)
প্রশ্নের উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা। 

উল্লেখিত দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে,বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...