১)মুস-আব আল নাহিদ এমন নাম রাখা যাবে কি না?
মানে আল এর পর অন্য যেকোনো নাম রাখা যাবে কিনা?
এখানে নাহিদ কিন্তু ওর বাপের নাম না।
২)ইশার নামাজ কত রাকাত?
সবসময় আমি ফরজ ৪,সুন্নত ২ আর বিতর তিন পড়ি।
আগের ৪ রাকাত সুন্নত,ফরজের পর ২ রাকাত নফল এবং বিতর শেষে হালকা নফল ২ রাকাত এভাবে পড়িনা।এখন এতে কি আমার গুনাহ হচ্ছে একদম।যে ছেড়ে দিয়েছি।
আমি সঠিক জানতে চাই।ইশার প্রথম ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ পড়া কি যাবে না? আর ৪ রাকাত ফরজের পর যেই ২ রাকাত ইশার নফল বলা হয় এগুলো কি ইশার নফলের অন্তর্ভুক্ত?
ইশার নামাজ কত রাকাত কেউ জিজ্ঞেস করলে কত বলবো?
৩) অনুরূপভাবে যোহরের শেষের ২ রাকাত নফল পড়িনা।আর আসরের আগের যেই সুন্নত এটা কি পড়া লাগে?মানে পড়া যাবে?এই ৪ রাকাত সুন্নত একদম কেউ ছেড়ে দিলে গুনাহ হবে?৫ ওয়াক্ত নামাজের সুন্নতে মুয়াক্কাদা জানি কিন্তু (৫ ওয়াক্ত)প্রতি নামাজের রাকাত সংখ্যা কত জানতে চাই?
৪)আমার ভাইকে আমার চাচির দুধ খাওয়ানো হয়েছিলো ছোটবেলা।এখন চাচির সাথে তো ওর পর্দা নেই এবং চাচাতো ভাই বোন তো আমার ভাইয়ের দুধ ভাই-বোন হওয়ায় আমার ভাইয়ের সাথে ওদের পর্দা সম্পর্ক নেই কিন্তু চাচাতো ভাই বোন তো আমার দুধ ভাই বোন না। এখন আমারও কি ওদের সামনে পর্দা করা লাগবে না?নাকি শুধু যাকে দুধ খাওয়ানো হয় শুধু তার ক্ষেত্রে পর্দার হুকুম বদলে যায়?আর দুধ এক ফোটা খেলেও কি এই হুকুম পর্দার?
পর্দা ব্যতীত দুধ খাওয়ানো হলে আর কি কি ফতোয়া জারি হয়?আমার ভাইয়ের উপর কি কোনো ধরনের হক্ব বা ওর কি কোনো দায়িত্ব আছে আমার চাচি এবং তার পরিবারের প্রতি?বা তাদের কি কোনো দায়িত্ব আছে ওর প্রতি?
৫)পাক নাপাকির মাসয়ালা না জানার জন্য অনেক নামাজ ই নাপাক অবস্থায় পড়া হয়েছে যার হিসেব করলে প্রায় সব নামাজ ই এমন।এখন আমার করণিয় কি?
এখনো সম্পূর্ণ জানিনা পাক নাপাকির মাসয়ালা।সসম্পূর্ণ কীভাবে জানতে পারি?যারা না জেনে আমল করছে নাপাক অবস্থায় তাদের কি গুনাহ হচ্ছে?অনেকে এগুলো বুঝতেও চায় না তাদের গুনাহ হচ্ছে?
৬)বিতরের নামাজ ২ রাকাত পড়ে তাশাহুদ পড়ে তিন রাকাতের সময় সূরা মিলিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত তুলি তারপর দোয়ায়ে কুনুত পড়ি তারপর বসে সালাম ফিরাই।এভাবেই নিয়ম?আর মাগরিবের ফরজ দুই রাকাত পড়ে তাশাহুদ পড়ে শেষের রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়ি এভাবেই নিয়ম?
আর ফরজ নামাজে তো শেষের দুই রাকাতে সূরা মিলাতে হয় না ভুলে যদি সূরা ফাতিহা পড়ে শুধু বিসমিল্লাহ পড়ে ফেলি কিংবা অন্য সূরার একটু পড়ে তারপর মনে হওয়ায় সূরা থামিয়ে রুকুতে চলে যাই এতে কি নামাজ হবে না?