আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited ago by
আসসালামু আলাইকুম

হায়েজের রক্ত বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু দুইদিন যাবৎ কালো ময়লার মত টিস্যু দিয়ে দেখলে বোঝা যায়। কিন্তু রক্তের মত সেটা বের হয় না শুধুমাত্র টিস্যু দিয়ে দেখলেই সামান্য বোঝা যায় তাহলে সেটা কি ধরবো আজ হায়েজের ৮ দিন দুই দিনের জোহরের সময়  ফরজ গোসল করেছি নামাজ পড়ার জন্য জোহরের সালাত আদায় করার পরে আসরের সময় যখন নামাজ পড়তে যাব তখন একটু চেক করে নিলে দেখি  যে কালো ময়লার মত  কিছু,,, কিন্তু কালো চাপা রক্তও না তাহলে সেটা কি? সেক্ষেত্রে করনীয় কি,,,কখন থেকে আমি সালাত আদায় শুরু করব সন্দেহের কারনে  যে সালাত গুলো করা হচ্ছে না আমি কি গুনাগার হবো? এর জন্য তাহলে কি সেগুলো আমার কাজা করে নিতে হবে?

২) আর যেহেতু কাপড়ের সাথে সেই কালাে ময়লা লাগে না শুধু টিস্যুর সাথে বোঝা যায় সে ক্ষেত্রে গোসল না করে কি সালাত আদায় করা যাবে?  আসরের সময় কালো ময়লা টা দেখার পর মুছে নিয়ে একটু পানি দিয়েও স্থানটা যদি পরিষ্কার করে  কাপড় চেঞ্জ করে  নেয় মাগরিবের পর আর দেখা না গেলে গোসল না করলে যেহেতু রাত্রে ওভাবে গোসল করা হয় না এশার নামাজ পড়তে পারবো?

1 Answer

0 votes
ago by (644,970 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ. «الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রশ্নের বিবরণমতে এখানে যেহেতু রক্তস্রাবের অষ্টম দন চলছে। তাই অপেক্ষা করতে হবে। যদি ১০ দিন অতিক্রম না করে তাহলে সবকটি দিনকেই হায়েয বলে বিবেচনা করা হবে। তবে ১০ দিন পেড়িয়ে গেলে তখন পূর্বের মাসে যতদিন হায়েয ছিলো, ততদিনকেই হায়েয বিবেচনা করা হবে। অতিরিক্ত দিন সমূহকে ইস্তেহাযা গণনা করা হবে। লজ্জস্থানের ভিতরে থাকলে সেটকেও হায়েয বিবেচনা করা হবে, যতক্ষণ না পরিপূর্ণ সাদাস্রাব আসছে।
(২) গোসল করতেই হবে। গোসল করা ফরয।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 260 views
0 votes
1 answer 294 views
...