ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
১) মৃত ব্যক্তির কানে যদি ফোটা (কানের দুলের জন্য যে ছিদ্র করা হয়) থাকে, তাহলে গোসল করানোর সময়, ঐ ছিদ্রপথে পানি প্রবেশ করানো ওয়াজিব।
২) যদি ঐ ছিদ্রপথে পানি প্রবেশ করানো না হয়, তাহলে মৃত ব্যক্তি গুনাহগার হবে না। বরং যিনি গোসল দিবেন, দায়ভার উনারই থাকবে।
৩) যদি মৃত ব্যক্তি জানাবতের অবস্থায় থাকে , তাহলে এমতাবস্থায় কানের ছিদ্র এবং নাকের ছিদ্রে পানি প্রবেশ করানো আবশ্যক।
৪) মৃত ব্যক্তি যদি জানাবতের অবস্থায় থাকে আর গোসলের সময় কান, নাকের ছিদ্রপথে পানি প্রবেশ করানো ফরজ/ওয়াজিব হয়ে থাকে, আর গোসল করানেওয়ালা মহিলারা যদি পানি প্রবেশ করাতে ভুলে যায় , তাহলে মৃত ব্যক্তির কোনো গুনাহগার হবে না।
মৃত ব্যক্তির গোসলের বিশুদ্ধ পদ্ধতি হচ্ছেঃ গোসল দেয়ার সুন্নাত হল, প্রথমে তার লজ্জাস্থান ঢেঁকে দেবে, তারপর তার সমস্ত কাপড় খুলে নিবে। অতঃপর তার মাথাটা বসার মত করে উপরের দিকে উঠাবে এবং আসে- করে পেটে চাপ দিবে, যাতে করে পেটের ময়লা বেরিয়ে যায়। এরপর বেশী করে পানি ঢেলে তা পরিস্কার করে নিবে। তারপর হাতে কাপড় জড়িয়ে বা হাত মুজা পরে তা দিয়ে উভয় লজ্জা স্থানকে (নযর না দিয়ে) ধৌত করবে। তারপর ‘বিসমিল্লাহ্’ বলবে এবং ছালাতের ন্যায় ওযু করাবে। তবে মুখে ও নাকে পানি প্রবেশ করাবে না। বরং ভিজা কাপড় আঙ্গুলে জড়িয়ে তা দিয়ে উভয় ঠোঁটের ভিতরের অংশ ও দাঁত পরিস্কার করবে। একইভাবে নাকের ভিতরও পরিস্কার করবে। পানিতে কুল পাতা মিশিয়ে গোসল দেয়া মুস্তাহাব। প্রথমে ডান সাইডের সামনের দিক ও পিছন দিক ধৌত করবে। তারপর বাম দিক ধৌত করবে। এভাবে তিনবার গোসল দিবে। প্রতিবার হালকা ভাবে পেটে হাত বুলাবে এবং ময়লা কিছু বের হলে পরিস্কার করে নিবে। গোসলের সময় সাবান ব্যবহার করতে পারে এবং প্রয়োজন মোতাবেক তিনবারের বেশী সাত বা ততোধিক গোসল দিতে পারে। শেষবার কর্পূর মিশ্রিত করে গোসল দেয়া সুন্নাত। কেননা নবী (ছা:) তাঁর কন্যা যায়নাবের (রাঃ) শেষ গোসলে কর্পুর মিশ্রিত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং তাঁকে প্রয়োজন মনে করলে তিনবার বা পাঁচবার বা তার চেয়ে অধিকবার গোসল দিতে বলেছেন।