আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
আস্সালামুআলাইকুম,আমি একজন মেয়ে,পাচ ওয়াকত নামাজ আদায় করার চেষ্টা করি,চেষ্টা করি কোরান পড়ার,তাহাজজুদ পরি মাঝে মাঝে,ইদানিং একটু আমলে ফোকাস হওয়ার চেষ্টা করছি,কিছুদিন থেকে ইসতিগফার,দরুদ পড়ার চেষ্টা করছি,আমি দোয়া করাতে অনেক বিশ্বাসী,সমস্যা হলো আমল বাড়াতে খুব শান্তি পাচ্ছিলাম আলহামদুলিললাহ,কালকে থেকে হঠাৎ করে মনে কিছু নেগেটিভ চিন্তা হচ্ছে,আমি জানি এগুলো শয়তানের পক্ষ থেকে আসে,মনে হচ্ছে আল্লাহ তো নেই তুমি কার এতো ইবাদত করছো,আমি প্রচণ্ডভাবে আল্লাহ কে বিশ্বাস করি,তার miracle এও,আল্লাহ অনেক কিছু miracle আমার জীবনেই ঘটিয়েছে,কিন্তু এসব চিন্তায় আমলে ফোকাস হতে পারছি না,ভীষণ খারাপ লাগছে,এর আগেও হয়েছিলো যখন একটু sincere হওয়ার চেষ্টা করি আমলে,আমি এই সমস্যা থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাবো?
by (15 points)
আর যখনই শয়তান এসব এসে বলবে আপনিও মনে মনে বলবেন "পারলে প্রমান দে, প্রমান না দেয়া অব্দি আমি বিশ্বাস করি না তোর কথা, দে পারলে প্রমান দে" দেখবেন সে চুপ হয়ে যাবে একদম। আর হিম্মত রাখবেন, দুর্বল হলে আরো বেশি বেশি এমন করবেই, এটা থামবে নাহ। জাস্ট বলবেন, প্রমান পারলে নিয়ে আয়, আল্লাহ যদি না ই থাকে তাহলে কে আমাকে রিজিক দেয়, কে আমাকে সুস্থ রাখে, তোর আব্বায়?" এভাবে হিম্মতের সাথে কথা বলবেন রাগের সুরে।
by (15 points)
ওয়াসওয়াসা তখনই আসে যখন ইবাদত কবুল হতে থাকে (আল্লাহ ভাল জানেন), নয়তো তার (শয়তান) কি ঠেকা পড়ছে আপনাকে ফিস ফিস করার, তাই হতাশ হবেন নাহ ইন-শা-আল্লাহ, মোট কথা, হেরে পাত্তাই দিবেন নাহ।

অতিরিক্ত হলে কষ্ট করে হলেও নামাজ পড়ে যাইয়েন, পাত্তা না দিলে জাস্ট পড়ে ফেলবেন।

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...