আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম
সম্মানিত উস্তাজ,
১/
আমি (অবিবাহিত) গতকাল ফজরের পর ঘুমানোর পর স্বপ্ন দেখি যে আমার বাসায় অনেক মেহমান এসেছে। সবটা স্পষ্ট নয়, তবে এতটুকু স্পষ্ট মনে আছে যে আমি দেখি যে আমার বিয়ে হয়েছে গিয়েছে আগেই এবং আমি কাউকে জিজ্ঞেস করছি আমার স্বামী কই। পরে দেখি স্বামীর ৪ চাচা এবং তার বাবা এসেছেন।  পরে দেখলাম আমি আমার বাসায় পড়ার বোরকা পড়ে স্বামীর সামনে গেলাম এবং সে আমায় আমাদের বাসার টেবিলে কোরআন পড়ে শোনাচ্ছে,  মনে হলো সে আমায় কোরআন শিখাচ্ছেন ,  আরবি পড়ছেন এবং অর্থ বলছেন। একজায়গায় তিলাওয়াত একটু ভুল হলে আবার ঠিক করে পড়লেন।  আমি সামনে বলে শুনছি সবটা। যদিও তিলাওয়াত কি করছিলেন বা আয়াত স্পষ্ট নয়।

এ স্বপ্নের কি কোনো ব্যাখা আছে উস্তাজ?


২/
উস্তাজ, আমি কয়েকবার ভয়ংকর স্বপ্ন দেখেছি। যেমন আজ স্বপ্নে দেখি আমি আমার বাসার ছাদে এবং আকাশ থেকে বিদ্যুৎ চমকিয়ে আগুনসহ মেঘের টুকরো আমাদের ছাদে পড়ে,  আমি সাথে সাথে সরে যাই ছাদের বাথরুমে লুকায় থাকি আর আয়াতুল কুরসি পড়তে থাকি। ওই মেঘের পোড়া ধোয়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করি। পরে দেখি রাতে আমি একা ঘুমাই আর কেউ আমাকে মায়ের রূপে দরজা খুলতে ডাকে কিন্তু আমি রুমে ঢুকেই জোরে জোরে সূরা ফাতিহা, তিন কুল, আয়াতুল কুরসি পড়ছিলাম,  ওই ডাক শুনে দরজা না খুলে তিলাওয়াত করতেই থাকি, সেটা আবার জানালা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে আর আমি দ্রুত জানালা তিলাওয়াত করতে করতে লাগায় দিই। তারপর জোরে জোরে তিলাওয়াত করতে থাকি, ঘুমের মধ্যে মনে হয় আমার গলা ব্যথা হয়ে যাচ্ছিলো। পরে ভয় পাওয়া অবস্থায় ঘুম ভেঙে যায়।

এরকম স্বপ্ন এর আগেও দেখেছি উস্তাজ,  যে, কোনো একটা কিছু ক্ষতি করার চেষ্টা করছ বা ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।  আর কোনো না কোনোভাবে আমার ঘুম ভেঙে যায় ভয় পেয়ে নাহয় আমি পালাতে থাকি এবং একসময় ঘুম ভাঙে নাহয় আমার কাছে আসলেও ক্ষতি করতে পারেনা ওসব কোনোভাবে।
একবার এমন স্বপ্ন দেখি যে কোনো একটা বাচ্চা মেয়েকে আমি আয়াতুল কুরসি পড়ে ফু দিয়ে দিচ্ছি আর একটা কালো কিছু চিৎকার দিয়ে ওই মেয়ের থেকে আমার ভেতর ঢুকতে নেয়,  কিন্তু কোনোভাবেই ঢুকতে পারেনা, আর তিলাওয়াত করতে করতে আমার ঘুম ভেঙে যায় আর আমি ভয়ে কাঁদতে থাকি।

আর অনেকবার এমন হয় যে আমি চিৎকার দিয়ে উঠি কিন্তু মনে থাকে না যে কি দেখলাম।
এরকম কেনো হচ্ছে উস্তাজ, এগুলা থেকে বাঁচবো কিভাবে?

২/

উস্তাজ,
আমি গতবছর এই সময়ে জেনারেল পড়াশোনা ছেড়ে দিই আলহামদুলিল্লাহ,  পরিবার কোনো জোর জবরদস্তি করেনি এ বিষয়ে।

আমার হয়তো জাদুর সমস্যা আছে, আমি রুকিয়াহ করলেও একটানা না করতে পারায় এ বিষয়ে শেফা আসেনি এখনও। এই জাদুর সমস্যাটাও একটা করণ হতে পারে বার বার দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার ক্ষেত্রে।
আবার ইদানীং আমার কাছে মনে হয় আসলে এরকম কিছুই না। মনে হয় যে এটা আমার মানসিক সমস্যা যার ফলে বার বার আমি নিজেকে রোগী বা জাদু আক্রান্ত ভাবছি। যদিও কিছু লক্ষণ দেখা যায় ( যেমন- মাঝে মাঝে রাতে ভয়ে কাদি বা চিৎকার করি।) কিন্তু আমি কিছুতেই রুকিয়াহ দৃঢ়ভবে একটানা অনেকদিন করে যেতে পারিনা। আর একটা রুকিয়াহ সেন্টারে গিয়ে চিকিৎসা করাতে চাইলে সেখানে সামর্থ্যের বাইরে খরচ পড়বে দেখে দ্বিতীয় বার আর যেতে পারিনি।

আবার মনে হয় আমার গুনাহের জন্য সব হচ্ছে।
আমি কয়েকদিন দ্বীন মানি,  স্বাভাবিক থাকি, সব কাজ ঠিকঠাক করি। তারপর আবার কয়েক দিন কি যেনো হয় চরম হতাচ হয়ে যাই, গুনাহে ডুবে যাই, কোনো কাজ পড়াশোনা একদমই করিনা, অনেক কাদি, নিজের ওপর ঘৃণা হয়। তারপর আবার স্বাভাবিক হয়ে যাই, তারপর কদিন গেলে আবার আগের মতো হয়....এমনই চলছে কয়েকবছর ধরে।

ফরজ সুন্নত বা যেকোনো কাজ ই,  ভালো বা খারাপ বা যেকোনো কাজ একটানা করতে পারিনা,,,,

যখন স্বাভাবিক থাকি তখন দৃঢ় ভাবে করলেও,,কদিন পর সারাদিন শুধু শুয়ে বসে থাকি,  কাদি, সময় নষ্ট করি, কিচ্ছু করিনা।

গত সপ্তাহে হিজামা করাই সমস্যার জন্য,  তখন হিজামার আপু বলেন আমার নাকি জাদুর সমস্যা আছে এবং অনেক পুরোনো।

এ বিষয়টা থেকে কিভাবে আমি মুক্তি পাবো উস্তাজ?

৩/ আর আরেকটা বিষয় উস্তাজ,

আমি জেনারেল ছাড়ার পর ভেবেছিলাম অনলাইনে দ্বীন নিয়ে পড়বো, কিন্তু সেটাও ধরে রাখতে পারিনি। কোনো কিছুই ধরে রাখতে পারছিনা। ফলে সারাদিনে ঘরে বসে থাকাটা নারী হিসেবে আমার জন্য একটা বিরাট নিয়ামত ও সুযোগ হলেও আমি এটাকে কাজে লাগাতে পারছিনা।

স্বাভাবিক অবস্থায় সারাদিন রান্না ও ঘর সাফ করি আর গাফেল সময় কাটাই বেশিরভাগ।  সকালে ঘুম থেকে উঠি দেরীতে,  কোনোমতে শুধু ফরজ নামাজ পড়ি, প্রায়ই তাও মিস হয়ে যায় গাফলতির জন্য।
ইদানীং এটা ভেবে অনেক হতাশ হচ্ছি যে জেনারেল পড়াশোনায় থাকলে অন্তত খারাপ কাজগুলা বা গাফলতি তো কম হতো আল্লাহ চাইলে। খুব কনফিউশান এ ভুগছি।

আবার মা বৃদ্ধা,  বয়স হয়েছে,  বাসায় একা থাকেন, যদিও আমি অনেক কাজ করিনা, কিন্তু অন্তত আমি রান্না,  ঘর সাফ করি ফলে আম্মুর অনেকটা সাহায্য হয়, আম্মু অনেক খুশি হন।
অপরদিকে আমি যে সেলাই বা অন্য কিছু  শিখবো,  আমার কোনো কিছুতেই মন বসে না, লেগে থাকতে পারছিনা কিছুতেই।

আমার মা বলছেন আমি নাকি সারাদিন কিছু করিনা দেখে আরো খারাপ লাগে। আম্মু বলছেন আমি চাইলে আবার ভার্সিটিতে ভর্তি করে দিবেন। এখন আমি এখন অনেক কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি যে কি করা সঠিক হবে...

একবার ভয় হয় যে আল্লাহ যখন হারাম থেকে ফিরিয়েছেন আবার যদি যাই তখন যদি আল্লাহ নারাজ হন!
আবার ভাবি নাকি ওই সীদ্ধান্তটা আমার ছিলো যেটা ভুল করেছিলাম...তাহলে এখন আবার ওখানে যাবো?  তাহলে মায়ের খেদমতের কি হবে? আবার আমি যদি লেগে থাকতে না পারি আবার পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে ছেড়ে দেই তখন তো অনেকগুলা টাকা আবার আগের মতো নষ্ট হবে...

(আগেরবার মূলত এরকম কদিন ভালো কদিন খারাপ এই অস্থির অবস্থায় মনোযোগ ধরে রাখতে না পেরেই পড়াশোনা ছেড়ে দেই। অনার্স ১ম বর্ষে ১ম সেমিস্টার পরীক্ষার আগ মুহুর্তে বাদ দেই, গতবছর।  অনলাইনে পড়বো ভাবলেও একই কারনে এখানেও ছেড়ে দেই।)

(গতবছর ভার্সিটিতে থাকতে এমন হতো, যেকদিন স্বাভাবিক থাকতাম তখন সমস্যা হতো না,  তবে মাঝেমাঝে যখন পাগল পাগল হয়ে যেতাম তখন ভার্সিটি থেকে ফিরে আর পড়তাম না শুধু ফোন দেখতাম,  হারাম কন্টেন্ট দেখতাম এমন। আর এখনও আমি ঘরে নসে বসে ফোন দেখি নাহয় অন্য কিছু করি, কিন্তু গাফলতি করি।)

এখন আমার কি করা উচিত উস্তাজ?
closed

1 Answer

+1 vote
by (626,130 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন স্বপ্নে বিবাহ হতে দেখলে নিজের সম্মান ইজ্জত বৃদ্ধি পাওয়া বুঝায়।
,
কেহ কেহ বলেছেন যে স্বপ্নে কেউ বিয়ে করতে দেখে, তার দ্বারা আসন্ন বিবাহ বুঝায়। স্বপ্নের সময় যদি বিয়ের পরিকল্পনা না থাকে তাহলে হয়তো যার যঙ্গে বিয়ে হতে দেখেছে তাদের বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারে। নিম্নোক্ত হাদীসটি ইহা নির্দেশ করে:

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أُرِيتُكِ فِى الْمَنَامِ ثَلاَثَ لَيَالٍ جَاءَنِى بِكِ الْمَلَكُ فِى سَرَقَةٍ مِنْ حَرِيرٍ فَيَقُوْلُ هَذِهِ امْرَأَتُكَ فَأَكْشِفُ عَنْ وَجْهِكِ فَإِذَا أَنْتِ هِىَ فَأَقُولُ إِنْ يَكُ هٰذَا مِنْ عِنْدِ اللهِ يُمْضِهِ 

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাকে) বলেছেন, ‘‘আমি (বিবাহের পূর্বে) তোমাকে দু-দুবার স্বপ্নে দেখেছি। দেখলাম তুমি এক খণ্ড রেশমবস্ত্রের মধ্যে রয়েছ। আর আমাকে কেউ বলছে, ‘এ হল তোমার স্ত্রী।’ আমি কাপড় সরিয়ে দেখি, সে তো তুমিই। তারপর ভাবলাম, যদি এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, তাহলে তিনি তা বাস্তবায়ন করবেন।
(বুখারী ৩৮৯৫, মুসলিম ৬৪৩৬)

আরো জানুনঃ 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপনার বিবাহ আসন্ন ইনশাআল্লাহ।

(০২)
আবু সা’ঈদ্ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا رَأَى أَحَدُكُـمْ الرُّؤْيَا يُحِبُّهَا ، فَإِنَّهَا مِنَ اللهِ ، فَلْيَحْمَدِ اللهَ عَلَيْهَا ، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا ، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْـرَهُ ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لِأَحَدٍ ، فَإِنَّهَا لَنْ تَضُرَّهُ

‘‘তোমাদের কেউ কোন ভালো স্বপ্ন দেখলে তা অবশ্যই আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে। অতএব সে যেন এ ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসা করে এবং তা কাউকে বলে। আর যদি সে এর বিপরীত তথা খারাপ স্বপ্ন দেখে তা হলে তা অবশ্যই শয়তানের পক্ষ থেকে। অতএব সে যেন উহার অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আশ্রয় কামনা করে এবং তা কাউকে না বলে। কারণ, এ জাতীয় স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না’’।
(বুখারী, হাদীস ৬৯৮৫, ৭০৪৫)

ভালো স্বপ্ন দেখলে তা শুধুমাত্র প্রিয়জনকেই বলবে এবং খারাপ স্বপ্ন দেখলে শয়তান ও তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আশ্রয় চাবে এবং তিন বার থুতু ফেলবে। উপরন্তু তা কাউকে বলবে না।

আবু ক্বাতাদাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি কখনো কখনো খারাপ স্বপ্ন দেখে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়তাম। অতঃপর আমি রাসূল (সা.) কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন:

الرُّؤْيَا الْـحَسَنَةُ مِنَ اللهِ ، فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يُحِبُّ فَلاَ يُحَدِّثْ بِهِ إِلاَّ مَـنْ يُحِبُّ ، وَإِذَا رَأَى مَا يَكْرَهُ فَلْيَتَعَوَّذْ بِاللهِ مِنْ شَرِّهَا وَمِنْ شَـرِّ الشَّيْطَانِ ، وَلْيَتْفِلْ ثَلاَثًا ، وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا أَحَدًا ، فَإِنَّهَا لَنْ تَضُرَّهُ

‘‘ভালো স্বপ্ন আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ ভালো স্বপ্ন দেখলে সে যেন তা শুধুমাত্র তার প্রিয়জনকেই বলে। আর যদি সে খারাপ স্বপ্ন দেখে তা হলে সে যেন তার ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আশ্রয় কামনা করে এবং তিনবার থুথু ফেলে। উপরন্তু তা কাউকে না বলে। কারণ, এ জাতীয় স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না’’।
(বুখারী, হাদীস ৭০৪৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!ল,
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নগুলো ভয়ানক স্বপ্নের অন্তর্ভুক্ত। 
আপনি এ স্বপ্নগুলোর কথা কাউকে বলবেননা। 
বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন,রাতে ঘুমানো আগে অযু করে পবিত্র কাপড়,পবিত্র বিছানায় তিন কুল পড়ে শরীরে ফুক দিয়ে আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাবেন।
একাকী ও পূর্ণ অন্ধকার রুমে না ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।

আপনার জন্য করণীয় হল,
ইসলামের প্রত্যেকটি বিধানকে গুরুত্ব সহকারে মেনে চলুন।

বিশেষকরে সঠিক সময়ে সালাত আদায় করুন এবং চাইলে কিছুটা দান-সদকাহ করতে পারেন।

কেননা হাদীসে এসেছে....
হযরত কা'ব ইবনে উজরাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻛﻌﺐ ﺑﻦ ﻋﺠﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﻟﻲ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻭﺍﻟﺼﺪﻗﺔُ ﺗُﻄْﻔِﺊُ ﺍﻟﺨﻄﻴﺌﺔ ﻛﻤﺎ ﻳُﻄْﻔِﺊُ ﺍﻟﻤﺎﺀُ ﺍﻟﻨﺎﺭَ ) ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 614 )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহিসসালাম আমাকে বলেছেন,সদকাহ ভূলভ্রান্তিকে এমনভাবে মিটিয়ে দেয় যেভাবে পানি আগুনকে মিটিয়ে দেয়। (তিরমিযি-৬১৪)

(০৩)
অলসতার দরুন এমনটি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
যেভাবেই হোক দ্বীনি শিক্ষা আর মায়ের খেদমত ও বাসার কাজ করবেন।

অলসতাকে পূর্ণ ভাবে পরিহার করবেন।
প্রয়োজন মাস্তুরাত জামাতে মাহরাম পুরুষ এর সাথে যেতে পারেন।

অলসতা দূর করার জন্য কিছু আমলঃ
কম খাবার গ্রহণ, এবং কম বিশ্রাম , এগুলো অলসতাকে কমিয়ে দেয়।

দীর্ঘ আশা ইবাদতে অলসতা তৈরি করে।
অলসতার অন্যতম কারণ চেতনা ও স্পৃহা না থাকা। নিজের মধ্যে প্রেরণা, চেতনা ও উদ্দীপনা জাগাতে মনীষীদের জীবনী ও  বাণী পড়ুন। 
★তৎপর, উদ্যমী ও কর্মচঞ্চল মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা করুন। নেককার মানুষের সংস্পর্শ গ্রহণ করুন। এতে নিজের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হবে। 
নিজের হিম্মত ও মনোবল বৃদ্ধি করুন।

★ফজরের নামাজের প্রতি যত্নবান হোন। কেননা অলসতার কারণে ফজরের নামাজ না পড়তে পারলে এটাই হবে সারা দিনের আমলহীনতা, গুনাহমুখিতা ও অলসতার সূচনা।

নিম্নের দোয়াটি মাঝে মাঝে পড়বেনঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।”

আরো আমল জানুনঃ- 

পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে নিম্নের লিংকে দেয়া শর্তাবলী মেনে ভার্সিটিতে পড়তে পারলে সেক্ষেত্রে ভার্সিটিতে পড়তে পারেনঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...