আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in সাওম (Fasting) by (3 points)
জিলহজ্জ মাসে আইয়ামে বীজের রোযা কিভাবে রাখবো?

— ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং আইয়ামে তাশরিকের তিন দিন রোজা রাখা নিষেধ। (মোট ৫ দিন)।

ঈদুল আযহার পরের তিন দিন তথা জিলহজ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে ‘আইয়ামে তাশরীক’ বলা হয়।

হাদীসে এ দিনগুলোকে ‘পানাহার ও আল্লাহর যিকির’ এর দিন বলা হয়েছে। এ তিন দিন ফরয বা নফল রোযা রাখা নিষেধ।

◾‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ও ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তাঁরা উভয়ে বলেন,
“যে (হাজী)র নিকট কুরবানীর পশু নেই তিনি ছাড়া অন্য কারও জন্য আইয়্যামে তাশরীকে সাওম পালন করার অনুমতি দেওয়া হয় নি।” (সহিহ বুখারী : ১৯৯৭)

◾ নুবাইশা আল-হুযালী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“আইয়্যামে তাশরীক পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের দিন।”
[সহীহুল জামে-২৬৮৯:নুবাইশা আল হুযালী রা. থেকে বণিত]
◾রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন :
“তোমরা এই দিনগুলোতে রোযা রাখিও না। কেননা, এগুলো পানাহারের দিন।”
(সহীহল জামে-৭৩৫৫; হামযা বিন আমর আল আসলামীন থেকে বর্ণিত )

সুতরাং এ দিনগুলোতে কাযা, কাফফারা, মানত বা অন্য কোন ধরণের নফল রোযা রাখা বৈধ নয়। (কেবল হাজীদের বিশেষ ক্ষেত্রে রোজা রাখার বিষয়টি ভিন্ন)

উল্লেখ্য যে, আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বীজ বলা হয়। প্রতি মাসে এই তিনটি রোজা রাখলে সারা মাস রোজা থাকার সওয়াব পাওয়া যায়।
কিন্তু জিলহজ মাসের ১৩ তারিখ যেহেতু আইয়ামে তাশরীক এর অন্তর্ভুক্ত সেহেতু ওই দিন রোজা‌ রাখা জায়েজ নেই।
অতএব জিলহজ মাসের ১৪ এবং ১৫ তারিখে এবং ১৩ তারিখের পরিবর্তে ১৬ তারিখ বা জিলহজ মাসের অন্য যেকোনো দিন রোজা রাখা যাবে। তাহলেও সারা মাস রোজা থাকার সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ্।

— আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল (হাফি.)
এটা কতটুকু সত্য?
আইয়ামে বিজের রোজা কি রাখতে পারবো ১৩, ১৪,১৫ তারিখ?

1 Answer

0 votes
by (633,330 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

জিলহজ্বের প্রথম দশদিনে ঈদুল আযহার দিন ব্যতিত প্রথম নয়দিন রোযা রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।

সুনানে আবু দাউদের ২৪৩৭নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-

إِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ تِسْعًا مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَيَوْمَ عَاشُورَاءَ، وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ، أَوَّلَ اثْنَيْنِ مِنَ الشَّهْرِ

وخَمِييْنِ

অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলহজ্ব মাসের নয়দিন, আশুরার দিন এবং প্রত্যেক মাসের তিন দিন রোযা পালন করতেন-মাসের সোমবার এবং দুই বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪৩৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস: ২২২৩৪: সুনানে নাসায়ী, হাদীস: ২৪১৬।)

হযরত হাফসা রা. থেকে অপর এক বর্ণনায় এসেছে-

أَرْبَعُ لَمْ يَكُنْ يَدْعُهُنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صِيَامَ عَاشُورَاءَ، وَالْعَشْرَ، وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ

অর্থ: হযরত হাফসা রাযি. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: চারটি আমল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোযা, যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা, প্রত্যেক মাসের তিন দিনের রোযা, ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামায। -সুনানে নাসায়ী, হাদীস: ২৪১৫; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস: ৬৪২২; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস: ৭০৪২; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস: ২৬৩৩৯।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত মতটি সহীহ।
আপনি এই মাসে ১৪.১৫.১৬ তারিখে রোযা রাখলে আইয়ামে বীজ এর রোযা রাখার ছওয়াব পাবেন।

উল্লেখ্য, এই মাসে ঈদুল আযহার দিন ব্যতিত প্রথম নয়দিন রোযা রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।
তাই উক্ত আমলের পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...