জিলহজ্জ মাসে আইয়ামে বীজের রোযা কিভাবে রাখবো?
— ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং আইয়ামে তাশরিকের তিন দিন রোজা রাখা নিষেধ। (মোট ৫ দিন)।
ঈদুল আযহার পরের তিন দিন তথা জিলহজ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে ‘আইয়ামে তাশরীক’ বলা হয়।
হাদীসে এ দিনগুলোকে ‘পানাহার ও আল্লাহর যিকির’ এর দিন বলা হয়েছে। এ তিন দিন ফরয বা নফল রোযা রাখা নিষেধ।
◾‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ও ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তাঁরা উভয়ে বলেন,
“যে (হাজী)র নিকট কুরবানীর পশু নেই তিনি ছাড়া অন্য কারও জন্য আইয়্যামে তাশরীকে সাওম পালন করার অনুমতি দেওয়া হয় নি।” (সহিহ বুখারী : ১৯৯৭)
◾ নুবাইশা আল-হুযালী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“আইয়্যামে তাশরীক পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের দিন।”
[সহীহুল জামে-২৬৮৯:নুবাইশা আল হুযালী রা. থেকে বণিত]
◾রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন :
“তোমরা এই দিনগুলোতে রোযা রাখিও না। কেননা, এগুলো পানাহারের দিন।”
(সহীহল জামে-৭৩৫৫; হামযা বিন আমর আল আসলামীন থেকে বর্ণিত )
সুতরাং এ দিনগুলোতে কাযা, কাফফারা, মানত বা অন্য কোন ধরণের নফল রোযা রাখা বৈধ নয়। (কেবল হাজীদের বিশেষ ক্ষেত্রে রোজা রাখার বিষয়টি ভিন্ন)
উল্লেখ্য যে, আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বীজ বলা হয়। প্রতি মাসে এই তিনটি রোজা রাখলে সারা মাস রোজা থাকার সওয়াব পাওয়া যায়।
কিন্তু জিলহজ মাসের ১৩ তারিখ যেহেতু আইয়ামে তাশরীক এর অন্তর্ভুক্ত সেহেতু ওই দিন রোজা‌ রাখা জায়েজ নেই।
অতএব জিলহজ মাসের ১৪ এবং ১৫ তারিখে এবং ১৩ তারিখের পরিবর্তে ১৬ তারিখ বা জিলহজ মাসের অন্য যেকোনো দিন রোজা রাখা যাবে। তাহলেও সারা মাস রোজা থাকার সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ্।
— আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল (হাফি.)
এটা কতটুকু সত্য?
আইয়ামে বিজের রোজা কি রাখতে পারবো ১৩, ১৪,১৫ তারিখ?