আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

প্রথমেই বলে নেই আফওয়ান উস্তাযজি আমার প্রশ্ন টা অনেক বড় হ'য়ে গেছে
আমি দ্বীনের পথে আসার পর রাসুল সাঃ কে নিয়ে ৪ বার স্বপ্ন দেখি,আমি সঠিক জানি না স্বপ্নে এটা সত্যিই উনি কিনা নাকি শয়তান যেহেতু স্বপ্ন গুলো কিছুটা অদ্ভুত আবার চেহেরাও দেখা হয় নাই।

আমি যে স্বপ্নের কথা বলবো এখানে স্বপ্নে একেকজনের চরিত্রের নাম নিয়ে বলবো।ভুলত্রুটি মাফ করে দিবেন উস্তায।

প্রথম যখন দ্বীনের পথে আসা তার কয়েকমাস পর দেখি যে, আমাদের বাসার নিচে দিয়ে সবাই লাশবহন খাটিয়া করে রাসুল সাঃ কে নিয়ে যাচ্ছে আর আমি একবার দেখে নিচু হয়ে বসে পড়ছি দুরুদ পড়তে পড়তে।তারপর স্বপ্ন ভেঙে যায়।

দ্বিতীয় বার যখন দেখা হয়েছে সেটাও প্রায় বছর খানিক পর,
দেখলাম আমরা আগে যে বাসায় থাকতাম ওখানে সবাই বলাবলি করছিলো আমাদের এইখানে রাসুল সাঃ আসবে তো আমরা সবাই বাসার গেটের কাছে আসি,আর দুরুদ পড়তাছি কিন্তু সবার ভিড়ে আসলে সবাই ঘিরে ধরবে এরজন্য প্রথম অন্য এক পুরুষ আসে, আমি বুঝেছি এটা রাসুল সাঃ না পরে দেখি ভিড়ের মাঝে এক বাচ্চার ঘাড় (চুলের নিচের অংশটুকু)অনেক উজ্জল বাচ্চাটা যখন আমার দিকে ফিরবে তখনি ঘুম ভেঙে যায়।

৩য় বার যখন দেখলাম সেটা ২য় বার দেখার কয়েক মাস পর দেখেছি,

স্বপ্নে দেখলাম, এক খোলা মাঠ, মাঠে গেইট আছে আবার সিড়ি ও,সিড়ির এখানে রাসুল সাঃ দাড়িয়ে আছে ২ পাশে সাহাবি তার কিছুক্ষন পর লাল শাড়ি পড়া মাথায় দোপাট্টা দেয়া এক মেয়ে আসছে,পরে রাসুল সাঃ এর উপর ওহী নাযিল হচ্ছে দাড়ানো অবস্থায় উনি চুপ হয়ে আছেন আর ঘামছেন আমি শুধু দেখলাম উনার গলার রগ উজ্জল হয়ে আছে,পরে পিছন মাঠ থেকে জিবরাইল আঃ ডাক দিয়েছে আকাশ থেকে ওখানে যারা ছিলো সবাই কন্ঠ শুনতাছে কিন্তু কি বলছে বুঝা যায় না,তারপর দেখলাম জিবরাইল আঃ মানুষ রূপে আসছে মানুষ টা ছিলো এমন যে একটু কালো স্বাস্থ্যবান, তারপর জিবরাইল আঃ ওই মেয়েটা আর রাসুল এক ঘরে প্রবেশ করলো ঘরে মুরিব্বিরা ছিলো ওই ঘর টপকিয়ে আরেক রুমে প্রবেশ করছে বিয়ে পড়াবে এরজন্য, তারপর মোনাজাত ধরলো সেখানে হাসাহাসি হচ্ছে আর জিবরাইল আঃ যিনি স্বপ্নের চরিত্রে আছেন উনি সম্ভবত বলেছে মোনাজাত ধরে আছে আর হাসতাছে,তারপর ঘুম ভেঙে যায়।

৪র্থ বার দেখলাম এই যে যিলহজ্জ মাসের ১ম তারিখ সকালে,দেখলাম যে,

জায়গা সম্পদ নিয়ে আমাদের আব্বু আমাদের ভাগ দিচ্ছে না, এটার জন্য কান্না করলাম আরও কি কি হয়েছে মাঝে মনে নেই,পরে দেখলাম রাসুল সাঃ আসছে পৃথিবীতে খি*লা*ফ*ত প্রতিষ্ঠা করলো আমার রুমে খাটে বসছে সেখানে সবাই উনাকে দেখে যাচ্ছে আর দুরুদ পড়তাছিলো,আমি উনার পাশে ছিলাম, একজন হেঁসে হেঁসে প্রশ্ন করলো ইয়া রাসুলুল্লাহ সাঃ আপনাকে কেনো এত ভালোবাসি সবাই হাসলো উনি কি বলছে খেয়াল নাই,ওই রাতে আমার রুমে থাকছে আমি উনার পাশে শুয়ে ছিলাম পরের দিন সকালে আমার রুমের খাটে উনি বসে আছে তার সামনে আমি বসে আছি বারান্দার দরজার এখানে দাঁড়িয়ে আমার ফুফুতো ভাই বলতাছে ইয়া রাসুলুল্লাহ সাঃ আপনার চেহারা চাঁদের মতোন সুন্দর কেন আমরা সবাই হেসে হেঁসে ই কথা বলতাছিলাম,আমি বলতাছি সেদিন একজন প্রশ্ন করলো আপনাকে ভালোবেসে লাব কি পরে পিছনে উনার দিকে তাকিয়ে থেকে বলি না না এই প্রশ্ন করে নাই করেছিলো কেনো এত ভালোবাসি পরে রাসুল সাঃ যিনি স্বপ্নের চরিত্রে আছে উনি হেঁসে হেঁসে বলে তুমিই জানো কেন এত ভালোবাসো এটা ছিলো আগের প্রশ্নের উত্তর টা।
এরপর রাত হলো আমি উনার পাশে শুয়ে, উনি এখন ঊর্ধ্বে জগতে চলে যাবে স্বপ্নে এমনটাই ভাবনা ছিলো, সম্ভবত সাদা কালার ঘোড়ায় নাকি ঘোড়া ছিলো না মনে নাই,

তো পরে উনার পিছে পিছে এক সাহাবি যাচ্ছে, উনার শরীরে যোদ্ধাদের পোষাক বাবড়ি চুল আর উঁচু একটু সুঠাম দেহের অধিকারি ছিলো,

এক পর্যায়ে যিনি স্বপ্নের চরিত্রে রাসুল সাঃ উনি এক গুহায় প্রবেশ করেছেন সেখানে অনেক পাহারাদার ছিলো একটা পাথরের দরজা খুলে গেছে তার কিছুক্ষন আরও একটা কেমন দরজা ওইটা খুলছে তারপরে ছিলো সমুদ্র আবার সিড়িও অন্ধকার হালকা আলো ছিলো ওই সিঁড়িতে পা দিয়ে সমুদ্রে চলে যায় আর বলে যে উনি আবার আসবে পৃথিবীতে যিলহজ্জ নাকি যিলক্বদ মাসে বললো স্পষ্ট খেয়াল নাই,আর বললো হি*ন্দু*দের একটা মাস পিছিয়ে যাবে আর কিজানি বললো খেয়াল নাই,

যে সাহাবি পিছনে পিছনে যাচ্ছিলো উনি পাথরের দরজা খুলছে ওটাতে প্রবেশ করছে এরপর পাহারাদার উনাকে যেতে দেয় না উনার সাথে অ*স্ত্র দিয়ে পাহারাদারদের সাথে লড়াই করে যেখানে স্বপ্নের চরিত্রে রাসুল সাঃ প্রবেশ করেছেন সেখানে না করে পাশের টায় করেছে সেখানে ছিলো সাদা ধোঁয়া,
এরপর আমরা সকালে উঠে দেখি উনি নাই আর সবাই কান্না করতাছিলাম এরপর স্বপ্ন ভেঙে যায়,
এই স্বপ্নে উনাকে এরকম দেখছিলাম যে সাদা পাঞ্জাবি পড়া বাবড়ি চুল চেহারা স্পষ্ট মনে নাই তবে আলোকোজ্জ্বল ছিলো একটু চ্যাপ্টাও ছিলো।

এখন আমি ভাবনায় আছি এই স্বপ্ন গুলো আল্লাহ কোন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে নাকি! ভালো কিংবা খারাপ দিক আছে কিনা নাকি নিছকই স্বপ্ন শুধু যদি উস্তায বলতেন তাহলে আমার জন্য একটু সহজ হতো,আমি সত্যি কি রাসুল সাঃ কে দেখেছি কিনা সেটাও জানিনা আমার ভয় হয় আর উল্টো পাল্টা চিন্তা আসে, আমি প্রায়ই সময় অদ্ভুত ভয়ংকর স্বপ্ন দেখি একেক সময় একেক টা, আকাশ থেকে তাঁরা ধসে যাওয়া এমন স্বপ্ন ও দেখা হয়েছে। আকাশ নিয়ে অদ্ভুত অদ্ভুত স্বপ্ন প্রায়শই দেখা হয় আল্লাহুম্মাগফিরলী।

আল্লাহ ভালো জানেন আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিক।

1 Answer

0 votes
by (663,270 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «تَسَمَّوْا بِاسْمِي وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي، وَمَنْ رَآنِي فِي المَنَامِ فَقَدْ رَآنِي، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَتَمَثَّلُ فِي صُورَتِي، وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আমার নাম দ্বারা নাম রাখতে পারবে,তবে আমার কুনিয়ত দ্বারা কেউ যেন কুনিয়ত না রাখে,যে ব্যক্তি স্বপ্নে আমাকে দেখবে,সে সত্যই আমাকে দেখবে,কেননা শয়তান আমার সুরত ধারণ করতে পারে না।যে ব্যক্তি আমার উপর মিথ্যা বলবে,সে যেন তার জায়গা জাহান্নামকে বানিয়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-১১০)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7331

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বপ্নগুলো মোটামুটি কল্যাণকর। আপনি বেশী বেশী দুরুদ পাঠ করবেন সকল প্রকার ফরয ইবাদত এবং পাশাপাশি নফল ইবাদতও করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...