আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
আমি ইন্টারনেট থেকে নাযহা নামটি রেখেছি।

একেক জায়গায় একেক রকম অর্থ আসে। আরবিও দুইরকম বানান ব্যবহার দেখলাম একজায়গায় জীম আরেক জায়গায় যা।

আমি নিচের অর্থ অনুসারে নাযহা নামটি রেখেছি তাহলে আরবি বানান কি হবে একটু জানাবেন দয়া করে...

✓সততা ও সরলতা:

এটি এমন একটি গুণ যা সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং স্পষ্টতাকে বোঝায়।

✓স্বচ্ছতা:

এই নামের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার এবং স্পষ্ট থাকার ধারণা আসে, যা মানসিক এবং চারিত্রিক বিশুদ্ধতা প্রকাশ করে।

✓পবিত্রতা:

নাযহা নামের মধ্যে দিয়ে একটি নির্মল এবং পবিত্র জীবনযাপনের ধারণা পাওয়া যায়।

✓বিজয় বা সাফল্য:

কিছু ক্ষেত্রে, এটি "নজাহ" (Najah) নামের একটি রূপ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যার অর্থ বিজয় বা সাফল্য।


আর মুহতারাম বাংলা নাজহা হবে নাকি নাযহা নাকি পরিবর্তন করে নাজাহ রাখতে হবে - এইটাও দয়া করে জানাবেন। জরুরি ছিল আকিকা হয়ে যাচ্ছে..

1 Answer

0 votes
by (634,530 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ، وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ، فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ

আবূ দারদা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাতের দিন তোমাদেরকে, তোমাদের ও তোমাদের পিতাদের নাম ধরে ডাকা হবে। তাই তোমরা তোমাদের সুন্দর নামকরণ করো। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৯৪৮, সুনানে দারিমী, হাদীস নং-২৭৩৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৮২৭]

ভালো নাম রাখা পিতা-মাতার সর্বপ্রথম দায়িত্ব। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ও  আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من حق الولد على الوالد أن يحسن اسمه ويحسن أدبه.
অর্থ : সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক। (মুসনাদে বাযযার,আলবাহরুয যাখখার-৮৫৪০)
 
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
نَزُهَ [ك] (نَزَاهَة)
[নাযুহা]
পবিত্র হওয়া
দোষমুক্ত হওয়া
সম্মানিত হওয়া
খাঁটি হওয়া

نَزَه
[নাযাহ]
পবিত্রতা
নিষ্কলুষতা
সততা
খাঁটিত্ব

نَزِه
[নাযিহ]
পবিত্র
দোষমুক্ত
নিষ্কলুষ
খাঁটি
সৎ
ন্যায়পরায়ণ

نَزَّهَ (تَنْزِيه) [نزه]
[নায্যাহা]
পবিত্র করা
পবিত্র বলে ঘোষণা করা
অনেক ঊর্ধ্বে মনে করা
আনন্দ দেওয়া

نَجَحَ [ف] (نَجَاح)
[নাজাহা]
সফল হওয়া
কৃতকার্য হওয়া
কামিয়াব হওয়া
পাস করা

نَجَّحَ (تَنْجِيح) [نجح]
[নাজ্জাহা]
কৃতকার্য করা
সফল করা
সাফল্য প্রদান করা
কামিয়াব করা

نَجَهَ [ف] (نَجْه)
[নাজাহা]
তাড়িয়ে দেওয়া
বিতাড়িত করা
ভাগিয়ে দেওয়া
তিরস্কার করা

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
আপনি نزهة নাযহা নামটি রাখতে পারেন।
এর অর্থ আর প্রশ্নে উল্লেখিত অর্থ মিলে যায়।
এর অর্থ পবিত্রতা,নিষ্কলুষতা,সততা,খাঁটিত্ব।

জুয়াইরিয়া একটি আরবী শব্দ। এর অর্থ হল, ছোট বালিকা। তাছাড়া এটি ছিল একজন উম্মাহাতুল মুমিনীনের নাম। রাসূল (সা.) স্বয়ং তাঁর এ নাম রেখেছিলেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَن ابنِ عبَّاسٍ قَالَ: كَانَتْ جُوَيْرِيَةُ اسْمُهَا بَرَّةُ فَحَوَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْمَهَا جُوَيْرِيَةَ وَكَانَ يَكْرَهُ أَنْ يُقَالَ: خَرَجَ مِنْ عِنْدِ برة. رَوَاهُ مُسلم

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিবি ’’জুওয়াইরিয়াহ্’’-এর নাম ছিল ’’বাররাহ্’’। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর নাম পরিবর্তন করে ’’জুওয়াইরিয়াহ্’’ রেখেছিলেন। এজন্য যে, কেউ বলবে, আপনি ’’বাররাহ্’’ কথাটি তিনি খারাপ মনে করতেন।

(মুসলিম ১৬-(২১৪০), সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২১১, আল মুসতাদরাক ৬৭৮৩, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৮৯৪, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১৯৮১।)

★এ নামটি আরবিতেঃ
 جويرية


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...