আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমার বয়স ২০। ৪.৫ বছর ধরে একজন ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে আছি। ছেলেটি বয়স ২২। বর্তমানে একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে এবং তার ইনকামও ভালো। আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে আমার পরিবারের কিছুটা জানাশোনা আছে, এবং আমি আমার মাকে পুরোটা খুলে বলেছি। কিন্তু ছেলেটির পরিবারের আর্থিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে দুর্বল, তারা এখন ভাড়া থাকে আগের বাড়ি পুরানো হওয়ায় এবং বাড়ি তৈরি করা হয়নি। আমার মা বলেছেন, ওদের যদি নিজস্ব বাড়ি থাকতো, তাহলে হয়তো আমার বাবাকে বুঝাতো আমাদের বিয়ের বিষয়ে। আসলে আমার পরিবারের কেউ ওমন ফ্যামিলি তে আমাকে দিতে চাইনা।
আমরা তেমন দেখা বা ঘুরাঘুরি করিনা, দেখা-সাক্ষাৎ খুবই সীমিত, শুধুমাত্র চ্যাটে যোগাযোগ হয়। এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, ছেলেটির অফিসে একটি মেয়ে তাকে বিরক্ত করছে, এবং আমিও দীর্ঘদিন ধরেই মনে করছি, আমাদের দ্রুত বিয়ে করা উচিত, যেন সম্পর্কটা হালাল হয় এবং গুনাহ থেকে বাঁচা যায়। আমি চারদিন ইস্তিখারার নামাজ পড়েছি, প্রথম রাতে স্বপ্নে দেখেছি যে আমরা গোপনে বিয়ে করেছি।
আমাদের ইচ্ছা, আমরা এখন গোপনে বিয়ে করে ফেলি, কিন্তু এখনই সংসার শুরু করবো না—নিজ নিজ বাসায় থাকবো। ভবিষ্যতে, ইনশাআল্লাহ যখন ছেলেটির পরিবার বাড়ি করবে, মানে এক দেড় বছরের মধ্যেই তখন আমাদের ফ্যামিলিতে বিয়ের কথা তুলবো। কারণ যত বয়স হচ্ছে তত পাপের দিকে এগিয়ে যাবো আমরাও বুঝছি।
আমার প্রশ্ন:
আমরা যদি এখন গোপনে বিয়ে করি, সাক্ষী ও কাজীর মাধ্যমে, তাহলে কি এই বিয়ে ইসলাম অনুযায়ী সহীহ ও বৈধ হবে?
আমাদের সম্পর্ক কি তখন থেকে হালাল হবে?
গোপনে বিয়ে করে, আলাদা থেকে (সংসার না করে), ভবিষ্যতে পরিবারকে জানানো কি ইসলামি দৃষ্টিতে বৈধ?
আমাদের জন্য ইসলাম কী পরামর্শ দেয় এই পরিস্থিতিতে?
আমরা একে অপরকে সম্মান করি এবং সম্পর্কটিকে হালাল করতে চাই, আল্লাহর ভয়ে গুনাহ থেকে বাঁচতে চাই। হুজুর দয়া করে ইসলামের দৃষ্টিতে আমাদের কী করণীয় হবে, তা জানিয়ে উপকার করলে কৃতজ্ঞ থাকবো। আমরা দ্বীনের পথে আসতে চাচ্ছি আমাদের সাহায্য করুন।