আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত উস্তাজ।
এখানের পারিবারিক নির্যাতনের বিষয়গুলো জানিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম,উওরে ধৈর্য ধরে সংসার চালিয়ে যেতে এবং বলা হয়েছিল জিডি করে রাখতে।উস্তাদ যার সাথে সংসার করবে মেয়েটি সেই যদি না বোঝে তাহলে একা কিভাবে সংসার টিকাবে মেয়েটি।দিনদিন অত্যাচার বেড়েছে।বিয়ের পরপর তো এতকিছু বুঝতে পারেনি।জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে জামাতে সালাত আদায় করার কথা বলা হয়েছিল যে মাঝে মাঝে কাজ বেশি থাকলে পরা হয়না(হয়তো একটু অন্যরকম ছিল) যাই হোক পরে দেখা গেল যে অন্যরকম,তাও বিয়ের পরপর অবস্থা কিছুটা ভালোই ছিল,আর পরে তো রমযান মাসেও পা অবধি ধরেছে নামাজ পড়ার জন্য তাও পারেনি।যাই হোক মেয়েটি তো জানতো না স্বামীর সাথে বরিশালে এসে তার এমন অবস্থা হবে।মেয়েটিকে হারাম কাজ করার জন্য জোরজবরদস্তি করা হয়।পিছনের রাস্তায় সহবাস,লজ্জাস্থান মুখে নিয়ে নাপাক খাওয়ার জন্য কষ্ট দেয়া হয়।জোর করে হাত ধরে চেপে রেখে,চুল টেনে রেখে, শরীরের ব্যাথ্যা জায়গাগুলোতে ব্যাথা দিয়ে,অনেক জোরে চুল টেনে ধরে,জোর করে আটকে রেখেছিল,নামাজের সময় হয়ে যাচ্ছে কিন্তু যেতে দিবেনা তার কথা না মানলে।জোর করে চেপে ধরে নাপাক মুখে দিয়ে দেয়। আজকে সকালেও নানানভাবে চেষ্টা করেছে মুখ জোরে চেপে ধরেছে,চুল টুল টেনে রেখে,হাত ধরে ব্যাথা যায়গায় বেশি ব্যথা দিয়ে অনেকক্ষন চেষ্টা করেছে।মেয়েটি গর্ভবতী আর কিছুদিন পরই ৬ মাস পড়বে।মেয়েটি কাল রাতেও শরীরে নানা সমস্যা থাকার পরেও তাকে সন্তুষ্ট করতে সাজগোজ করেছে কিন্তু তাকে হালাল কাজে সন্তুষ্ট করা যাচ্ছে না।বুঝাতে বুঝাতে ক্লান্ত হয়ে গেছে এখন কুরআন হাদীসের কথা বলতে গেলেও দোষ হয়ে যায়, রাগ শুনতে হয় অনেক সময়।তার বাড়ির লোকের কাছ থেকে শুনতে হয় মেয়েটিকে কেমন স্ত্রী তুমি স্বামীকে শাসন করতে পারোনা ইত্যাদি।( কথা এলোমেলো হতে পারে)।সিগারেট খাওয়া ছাড়ানোই গেলনা, মেয়েটিকে দোষ দেয়া হল কেমন স্ত্রী তুমি। সকালেও আমার ভাইকে নিয়ে মেয়েটিকে নোংরা কথা বলেছে আগেও বলেছে,ভাইকে নিয়ে অনেক বাজে কথা বলেছে,ভাইর বয়স১২।মেয়েটির আম্মুর সাথে কথা বলতে গেলে অনেক সময় ফোন কেড়ে নেয় আর রাগারাগি তো আছেই। ফোনটি মেয়েটি বাবার বাড়ি থকেই এনেছে,আর মেয়েটির কোনো জামা নেই তার টাকার কেনা। সবচেয়ে বড় কথা মেয়েটি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছে ভালো দিকগুলো নিয়ে সংসার টিকিয়ে রাখার,কিন্তু এখন তো হক আর বতিলের লড়াই ভালোগুলোর জন্য অবশ্যই কৃতজ্ঞ।এখন মেয়েটি কি করেবে এ বাসায় থাকবে তাতে দ্বীন টিকিয়ে রাখা কষ্ট, শারীরিক ও মানসিক কষ্ট দেয় এখন বলছে তাই ঐসব কথা না শুনলে সে খাবেনা,বলেছে বাসায় আসবে না আবার মেয়েটি বলেছে আমার আব্বুকে এসে নিয়ে যেতে বলবে,তাতে মেয়েটি আব্বুকে মারতে চেয়েছে আরও সুইসাইড এর ভয় দেখায়।মোটকথা এই শারীরিক অবস্থা নিয়েও এত ডিপ্রেশন।

আর সে নাকি তার গ্রামের বাড়িতে রেখে আসবে মেয়েটিকে যেখানে পর্দার পরিবেশই নেই আর সেখানে গেলে বেশিকথা তো শোনাই লাগবে,পর্দা করার কারনে মেয়েটির প্রতি ভিন্ন মানসিকতা।তাদের মেয়ের জামাইর সাথে ঝামেলা হয়েছে মেয়েটির,পর্দার জন্য এতে তারা মেয়েটির প্রতি অসন্তুষ্ট।
আর মেয়েটি যে বাবার বাড়ে যাবে সে কিছুদিন ধরেই তার বাবার ইনকাম নিয় টেনশনে ভুগছে।তার বাবার ইনকামে হারাম থাকার সন্দেহ রয়েছে,কিন্তুু সেটা সে শিওর হতে পারছে না। দিনের পর দিন সবর করেছে সব কিছু মেনে নিয়ে ক্ষমা করে দিয়ে কিন্তু এখন কি করবে বুঝতে পরছে না।

গর্ভবতীকালীন এই নাজুক সময়ে মেয়েটির করনীয় কি উস্তাদ দয়া করে জানাবেন।মেয়েটি তার মা বাবাকেও জানাতে পারছে না। আর স্বামীর বাড়ির মুরব্বিদের জানানো হলেছিল অনেক কথাই কিন্তু মেয়েটি বুঝে গেছে সেখানে জানিয়ে কোনো লাভ নেই।বিয়ে হয়েছে বেদ্বীন পরিবারে।মেয়েটির ফোন শুধু শুধু চেক করে, ফরজে আইন ক্লাসের গ্রুপ ডিলিট করে দিয়েছে, এমনিকি চরিত্র নিয়েও অপবাদ দেয়া হয়েছে।মেয়েটির কাছে সেই ছেলের নাম্বার চেয়েছে অথচ মেয়েটি এসব থকে মহান আল্লাহর রহমতে পবিত্র।
এখন মেয়েটর করনীয় কি উস্তাদ দয়া করে জানাবেন,এই নির্যাতন দিনের পর দিন আর সহ্য হচ্ছেনা।

1 Answer

0 votes
by (668,070 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ
ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।(সূরা বাকারা-৪৫)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রথমে আপনাকে ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করার এবং তালাক না চেয়ে স্বামীর মন পরিবর্তন হওয়ার জন্য দু'আ করার কথা বলেছিলাম । বলেছিলাম 
তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দু'আ করবেন। এখন যেহেতু সে হারামে বাধ্য করছে, তাই আপনি তালাক চাইতে পারবেন এবং তালাকের অধিকার থাকলে আপনি তাকে তালাকও দিতে পারবেন। সর্বোপরি এ বিষয় গুলো আপনার মা বা বড় বোনের সাথে আলোচনা করুন। তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
edited by
উস্তাদ মেয়েটি কি বাবার বাড়ি যেতে পারবে?এখানে থাকা খুবই কষ্টকর।আর সহ্য হচ্ছেনা,কাল আবার বলেছে তার অনুমতি ছাড়া কারে ফোন ধরা যাবেনা এখন মা বাবা ফোন দিলে মেয়েটি কি করবে,সে যদি সারাজীবনেও অনুমতি না দেয় তাহলে তো আত্নীয়তার সম্পর্ককে ছিন্ন করতে হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...