আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত উস্তাজ।
এখানের পারিবারিক নির্যাতনের বিষয়গুলো জানিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম,উওরে ধৈর্য ধরে সংসার চালিয়ে যেতে এবং বলা হয়েছিল জিডি করে রাখতে।উস্তাদ যার সাথে সংসার করবে মেয়েটি সেই যদি না বোঝে তাহলে একা কিভাবে সংসার টিকাবে মেয়েটি।দিনদিন অত্যাচার বেড়েছে।বিয়ের পরপর তো এতকিছু বুঝতে পারেনি।জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে জামাতে সালাত আদায় করার কথা বলা হয়েছিল যে মাঝে মাঝে কাজ বেশি থাকলে পরা হয়না(হয়তো একটু অন্যরকম ছিল) যাই হোক পরে দেখা গেল যে অন্যরকম,তাও বিয়ের পরপর অবস্থা কিছুটা ভালোই ছিল,আর পরে তো রমযান মাসেও পা অবধি ধরেছে নামাজ পড়ার জন্য তাও পারেনি।যাই হোক মেয়েটি তো জানতো না স্বামীর সাথে বরিশালে এসে তার এমন অবস্থা হবে।মেয়েটিকে হারাম কাজ করার জন্য জোরজবরদস্তি করা হয়।পিছনের রাস্তায় সহবাস,লজ্জাস্থান মুখে নিয়ে নাপাক খাওয়ার জন্য কষ্ট দেয়া হয়।জোর করে হাত ধরে চেপে রেখে,চুল টেনে রেখে, শরীরের ব্যাথ্যা জায়গাগুলোতে ব্যাথা দিয়ে,অনেক জোরে চুল টেনে ধরে,জোর করে আটকে রেখেছিল,নামাজের সময় হয়ে যাচ্ছে কিন্তু যেতে দিবেনা তার কথা না মানলে।জোর করে চেপে ধরে নাপাক মুখে দিয়ে দেয়। আজকে সকালেও নানানভাবে চেষ্টা করেছে মুখ জোরে চেপে ধরেছে,চুল টুল টেনে রেখে,হাত ধরে ব্যাথা যায়গায় বেশি ব্যথা দিয়ে অনেকক্ষন চেষ্টা করেছে।মেয়েটি গর্ভবতী আর কিছুদিন পরই ৬ মাস পড়বে।মেয়েটি কাল রাতেও শরীরে নানা সমস্যা থাকার পরেও তাকে সন্তুষ্ট করতে সাজগোজ করেছে কিন্তু তাকে হালাল কাজে সন্তুষ্ট করা যাচ্ছে না।বুঝাতে বুঝাতে ক্লান্ত হয়ে গেছে এখন কুরআন হাদীসের কথা বলতে গেলেও দোষ হয়ে যায়, রাগ শুনতে হয় অনেক সময়।তার বাড়ির লোকের কাছ থেকে শুনতে হয় মেয়েটিকে কেমন স্ত্রী তুমি স্বামীকে শাসন করতে পারোনা ইত্যাদি।( কথা এলোমেলো হতে পারে)।সিগারেট খাওয়া ছাড়ানোই গেলনা, মেয়েটিকে দোষ দেয়া হল কেমন স্ত্রী তুমি। সকালেও আমার ভাইকে নিয়ে মেয়েটিকে নোংরা কথা বলেছে আগেও বলেছে,ভাইকে নিয়ে অনেক বাজে কথা বলেছে,ভাইর বয়স১২।মেয়েটির আম্মুর সাথে কথা বলতে গেলে অনেক সময় ফোন কেড়ে নেয় আর রাগারাগি তো আছেই। ফোনটি মেয়েটি বাবার বাড়ি থকেই এনেছে,আর মেয়েটির কোনো জামা নেই তার টাকার কেনা। সবচেয়ে বড় কথা মেয়েটি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছে ভালো দিকগুলো নিয়ে সংসার টিকিয়ে রাখার,কিন্তু এখন তো হক আর বতিলের লড়াই ভালোগুলোর জন্য অবশ্যই কৃতজ্ঞ।এখন মেয়েটি কি করেবে এ বাসায় থাকবে তাতে দ্বীন টিকিয়ে রাখা কষ্ট, শারীরিক ও মানসিক কষ্ট দেয় এখন বলছে তাই ঐসব কথা না শুনলে সে খাবেনা,বলেছে বাসায় আসবে না আবার মেয়েটি বলেছে আমার আব্বুকে এসে নিয়ে যেতে বলবে,তাতে মেয়েটি আব্বুকে মারতে চেয়েছে আরও সুইসাইড এর ভয় দেখায়।মোটকথা এই শারীরিক অবস্থা নিয়েও এত ডিপ্রেশন।
আর সে নাকি তার গ্রামের বাড়িতে রেখে আসবে মেয়েটিকে যেখানে পর্দার পরিবেশই নেই আর সেখানে গেলে বেশিকথা তো শোনাই লাগবে,পর্দা করার কারনে মেয়েটির প্রতি ভিন্ন মানসিকতা।তাদের মেয়ের জামাইর সাথে ঝামেলা হয়েছে মেয়েটির,পর্দার জন্য এতে তারা মেয়েটির প্রতি অসন্তুষ্ট।
আর মেয়েটি যে বাবার বাড়ে যাবে সে কিছুদিন ধরেই তার বাবার ইনকাম নিয় টেনশনে ভুগছে।তার বাবার ইনকামে হারাম থাকার সন্দেহ রয়েছে,কিন্তুু সেটা সে শিওর হতে পারছে না। দিনের পর দিন সবর করেছে সব কিছু মেনে নিয়ে ক্ষমা করে দিয়ে কিন্তু এখন কি করবে বুঝতে পরছে না।
গর্ভবতীকালীন এই নাজুক সময়ে মেয়েটির করনীয় কি উস্তাদ দয়া করে জানাবেন।মেয়েটি তার মা বাবাকেও জানাতে পারছে না। আর স্বামীর বাড়ির মুরব্বিদের জানানো হলেছিল অনেক কথাই কিন্তু মেয়েটি বুঝে গেছে সেখানে জানিয়ে কোনো লাভ নেই।বিয়ে হয়েছে বেদ্বীন পরিবারে।মেয়েটির ফোন শুধু শুধু চেক করে, ফরজে আইন ক্লাসের গ্রুপ ডিলিট করে দিয়েছে, এমনিকি চরিত্র নিয়েও অপবাদ দেয়া হয়েছে।মেয়েটির কাছে সেই ছেলের নাম্বার চেয়েছে অথচ মেয়েটি এসব থকে মহান আল্লাহর রহমতে পবিত্র।
এখন মেয়েটর করনীয় কি উস্তাদ দয়া করে জানাবেন,এই নির্যাতন দিনের পর দিন আর সহ্য হচ্ছেনা।