আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।
শায়েখ আমি জানতে চাই যে,

১) আমার বিয়ের চার বছর হয়েছে এর মধ্যে এখনো আমার হাজবেন্ড ওয়ালিমা করে নি যেটা বিয়ের আগে বলেছিল করবে। এটা নিয়ে আমার মনে একটু কষ্ট আছে। তার সামরথ আছে আমার আগে তার বড় ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে যেখানে পুরো ওয়ালিমার ভার বহন করেছে আমার শশুর আব্বা। কিন্তু আমার ব্যাপারে তারা উদাসীন।
২) আমার বিয়ের এত দিন হয়ে যাওয়ার পরও কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে বলে আমার হাজবেন্ড আমাকে নিতে চায় নাহ সব সময় বাহানা করে যে তার অনেক ব্যস্ততা আছে।

৩) প্রতি সপ্তাহেই আমার ননাশ আমাদের বাসায় বেরাতে আসে বেড রুম ৩টা আর আমাদের সামনের ড্রয়িং রুমে একটা খাট থাকার পরেও আমার হাজবেন্ড তার মার রুম বোন কে দেয় এবং আমার শাশুড়ী সহ ননাশের মেয়েরা আমার রুমে খাটে শুতে দেয় আর আমি আমার হাজবেন্ড সহ মেঝেতে ঘুমাই।

৪) আমার বিয়ের পর থেকে আমি জামা কাপড় আমার বাবার বাড়ি থেকেই নেই যেহেতু শশুরবাড়ির কেউ দিচ্ছে নাহ। আমার হাজবেন্ড এর কথা আমার কাপড় আছে তাই সে আমাকে কিছু কিনে দেয় নাহ।  কিন্তু তার মা বোন ভাবি ঠিকই মাসে একাধিক জামা কাপড় কিনে।

আমি জানতে চাই এইসব এ কি সে আমার হক নষ্ট করছে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (668,070 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্ত্রীর উপর স্বামীর কিছু অধিকারও হক্ব দান করেছেন যেমনঃ-চাহিবামাত্র স্বামীকে সঙ্গ দেয়া ও স্বামীর সন্তানকে গর্ভে ধারণ করা এবং লালন-পালন করা ইত্যদি স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার ও হক্ব। তদরূপ স্বামীর উপর স্ত্রীরও কিছু অধিকার ও হক্ব রয়েছে যেমন, বিয়ের পর স্ত্রীর ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষা করে স্ত্রীকে একটি বাসস্থান ও খাদ্য এবং বস্র দান করা।এটা স্বামীর উপর  স্ত্রীর অধিকার ওহক্ব এবং শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব। এ সম্পর্কে কোরআনের ঘোষনা হলঃ
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)
নারীদের সাথে সদ্ভাবে ব্যবহার করতে হলে তাদেরকে নিয়মমাফিক অন্ন-বস্র-বাসস্থান দিতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430

হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।
وعَنْ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : " قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ ؟ قَالَ : ( أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ ، وَلَا تَضْرِبْ الْوَجْهَ ، وَلَا تُقَبِّحْ ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ) 
তিনি বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক রয়েছে? তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমন্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না এবং পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে।(আবু দাউদ-২১৪২,ইবনে মা'জা-১৮৫০)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/14190

স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ আদায় না করলে এবং স্ত্রীকে সঙ্গ না দিলে,স্ত্রী যদি কাযী সাহেবের নিকট বিচার দায়ের করে,তাহলে কাযী সাহেব উক্ত বিবাহকে ভঙ্গ করে দেয়ার অধিকার রাখেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৩/১০০)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5139


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ওয়ালিমা যদি সে না করে, তাহলে এতে আপনার মন খারাপের কিছু নেই। ওয়ালিমা তার উপর সুন্নত। এখানে আপনার কোনো দায়িত্ব নেই।

(২) আপনাকে নিয়ে ঘুরতে না যেতে চাইলে এখানেও মন খারাপ করবেন না। তার মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করুন। দু'আ করুন যাতে তার মহব্বত আপনার প্রতি তৈরী হয়।

(৩) আপনাকে মেঝেতে দিয়ে তার বোন ভাগনিকে খাটে শুয়ানো কখনো উচিত হবে না। এখানে আপনার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করুন।

(৪) প্রয়োজন মত কাপড় দেয়া তার দায়িত্ব । এখানে তার দায়িত্বকে খর্ব করা হচ্ছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...