আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। আমি জানি যে ইসলামে সুদ হারাম এবং এটি গ্রহণ ও ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। তবে আমার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘদিন ধরে টাকা রাখা ছিল, এবং সেই অ্যাকাউন্টে কিছু সুদ জমা হয়েছে। আমি ঠিকমতো খেয়াল করিনি কত টাকা সুদ জমেছে বা জমা হয়েছে কিনা—এমনকি হিসাবও করিনি। এদিকে সেই একাউন্ট থেকে আমি স্বাভাবিক খরচ করতাম, যেমন ওষুধ, বাজার-সদাই বা অন্য দরকারে। এখন মনে হচ্ছে আমি না জেনে সুদের টাকা খরচ করে ফেলেছি।


আমি এখন আল্লাহর কাছে তওবা করছি এবং ভবিষ্যতে সুদ গ্রহণ না করার দৃঢ় নিয়ত করেছি। এখন আমার প্রশ্ন হলো:


১. আমি যে না জেনে সুদের টাকা খরচ করেছি, তার দায় থেকে মুক্তির উপায় কী?

২. আমি কি অনুমান করে ওই পরিমাণ টাকা গরীব-মিসকিনদের সদকা করে দিতে পারি?

৩. এর জন্য কি কোনো কাফফারা বা ফিদিয়া দিতে হবে?

৪. ভবিষ্যতে একাউন্টে জমা হওয়া সুদের টাকা কীভাবে সঠিকভাবে নিষ্পন্ন করা উচিৎ?


আশা করি কুরআন ও সহীহ হাদীসভিত্তিক দিকনির্দেশনা দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (685,860 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم
যদি কোনো ওয়ারিছ তার মুরিছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তির ব্যাপারে জানে যে, এটা হারাম মাল। এবং ঐ মাল বা সম্পদের মালিক সম্পর্কে তার জানা থাকে, তাহলে তখন ঐ সম্পদকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যদি কোনো মাল-ধৌলত এর মালিক সম্পর্কে জানা না থাকে, তবে এতটুকু জানা থাকে যে, মূলত এটা হারাম মাল, তাহলেও এটা ওয়ারিছের জন্য হালাল হবে না, বরং সেটাকে তার মালিকের পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিতে হবে।(রদ্দুল মহতার-৫/৯৯,শামেলা নুসখা)

সুদের টাকার ব্যয়খাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2034

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) না জেনে সুদের টাকা খরচ করা হয়ে গেলে সেই পরিমাণ টাকা সদকাহ করে নিলেই হবে।,
(২) আপনি অনুমান করে ঐ পরিমাণ টাকা গরীব-মিসকিনদের সদকা করে দিবেন।
(৩) এর জন্য কোনো কাফফারা বা ফিদিয়া দিতে হবে না।
(৪) ভবিষ্যতে একাউন্টে জমা হওয়া সুদের টাকাকে অতিদ্রুত সদকাহ করে দিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...