আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১. মেয়েরা তো সাধারণত ফিসফিস করে নামাজ পড়তে হয় যাতে নিজেরা শোনে। কিন্তু যদি অনেক জোরে বৃষ্টি হতে থাকে ফিসফিস করলে শোনা না যায়, তাহলে কি হালকা আওয়াজ করে শুধু নিজে শোনা যাবে এমনভাবে পড়া যাবে?

২. এই প্রশ্নটার উত্তর নিয়ে একটু বেশি কনফিউজড তাই আবার প্রশ্নটি করছি। যেমন- কেউ যদি কোনো ছেলেকে বিয়ে করতে চায় এবং মনে হয় সবদিক থেকে ঠিকঠাক ছেলেটা, তাহলে স্পেসিফিকভাবে শুধু এই ছেলেকেই বিয়ে করতে চাওয়ার দুয়া করতে নিরুৎসাহিত করা হয়, বরং যার সাথে কল্যাণকর হবে তাকে বিয়ে করতে চাওয়ার দুয়া করতে বলা হয়। আবার কোনো ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার জন্যেও স্পেসিফিক দুয়া না করতে বলা হয়। বরং যদি কল্যাণকর হয় তাহলে যেন চান্স পাই এমন দুয়া করতে বলা হয়। কিন্তু এমন দুয়া কি করা যাবেনা, যে এই ভার্সিটিতেই চান্স পাইয়ে দাও এবং সেইসাথে এই ভার্সিটিই যেন আমার জন্য কল্যাণকর হয়ে যায়?
তাহলে স্পেসিফিক দুয়া কোন কোন সময় করা যাবে? যেমন কারো যদি এক ডাক্তার বলে যে অপারেশন লাগবে এবং সেটা শুনে আত্মীয়রা আরো কয়েকজন ডাক্তার থেকে নিশ্চিত হয়ে নিতে চায়(আসলেই অপারেশন লাগবে কীনা), তাহলে কী কী দুয়া করব? যাতে সহজে অপারেশন হয়ে যায়, কম কষ্ট কম খরচ হয়? নাকী অপারেশনই না লাগে? নাকী শুধু কল্যাণের দুয়া করব?
৩. একজন নাপাক ব্যক্তি ঘরে সব নাপাক করে রাখলে এবং তাকে বুঝিয়ে কাজ না হলে স্পষ্ট নাপাকি না দেখলে সব পাক ধরে নেয়ার কথা বলা হয়েছিল বাকিদের জন্য। একটা কাপড়ের রশিতে নাপাক ব্যক্তি নিয়মিত ভেজা চুপচুপে কাপড় দেয়, ওই রশি নাপাক হপয়ার সম্ভাবনা ৯৯%। আমি ওটায় কাপড় দেইনা, আলাদা রশিতে দেই৷ একদিন আমার মা আমার ভেজা গামছা(চিপলে পানি পড়বে এমন) ধুয়ে ওই নাপাক সন্দেহের রশিতে দিয়ে রাখেন। আমি গামছা এনে যতটুকু ওই রশিতে লেগেছিল সবটা ধুই। গামছার বাকি অংশটুকুতে রশি লেগেছিল কীনা নিশ্চিত না। শুধু সন্দেহের বশে কি বাকি গামছাটাও ধুতে হবে? নাকি এটি পাক হয়ে গিয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (655,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
নামাজে কিরাআত পড়ার সময় জিহবা ও ঠোঁট ব্যবহার করে মাখরাজ থেকে সহীহ-শুদ্ধভাবে হরফ উচ্চারণ করতে হবে। অন্যথায় শুধু মনে মনে পড়ার দ্বারা কেরাত আদায় হবে না।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنِي عُمَارَةُ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، قَالَ سَأَلْنَا خَبَّابًا أَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ قَالَ نَعَمْ. قُلْنَا بِأَىِّ شَىْءٍ كُنْتُمْ تَعْرِفُونَ قَالَ بِاضْطِرَابِ لِحْيَتِهِ.

আবূ মা‘মার (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা খাববাব (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি যুহর ও ‘আসরের সালাতে কিরাআত পড়তেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা প্রশ্ন করলাম, আপনারা কী করে তা বুঝতেন? তিনি বললেন, তাঁর দাড়ির নড়াচড়ায়। (বুখারী শরীফ ৭৪৬, (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৪)
,
নারীরা যেহেতু আস্তে আওয়াজে তিলাওয়াত করবে,সুতরাং নামাজে সুরা সমূহ,এবং রুকু সেজদার তাসবিহ,রাব্বানা লাকাল হামদ,তাকবীরে তাহরিমা ইত্যাদির ক্ষেত্রে  জিহবা ও ঠোঁট ব্যবহার করে মাখরাজ থেকে সহীহ-শুদ্ধভাবে হরফ উচ্চারণ করতে হবে। অন্যথায় শুধু মনে মনে পড়ার দ্বারা কেরাত আদায় হবে না।

★কমপক্ষে জিহবা ও ঠোট নাড়িয়ে আস্তে আওয়াজে উচ্চারণ করতে হবে।
এতটুকু আওয়াজ হতে হবে,যে ফ্যান বা অন্যান্য আওয়াজ যদি সেখানে না থাকতো,তাহলে আস্তে হলেও নিজ কান পর্যন্ত সেই আওয়াজ আসতো। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যদি জোরে বৃষ্টি হতে থাকে,সেক্ষেত্রে নিজের কানে আওয়াজ দিতে হবেনা।

বরং এতটুকু আওয়াজ হতে হবে,যে যদি বৃষ্টি না হতো, তাহলে আস্তে হলেও নিজ কান পর্যন্ত সেই আওয়াজ আসতো। 

(০২)
নির্দিষ্টভাবে দোয়া না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়, বরং যেটি আপনার জন্য কল্যাণকর সেটি আল্লাহর কাছে চাওয়ার দোয়া করতে বলা হয়।

তবে নির্দিষ্টভাবে দোয়া করা যে নাজায়েজ তাহা বলা হয়নি।

কারো যদি এক ডাক্তার বলে যে অপারেশন লাগবে এবং সেটা শুনে আত্মীয়রা আরো কয়েকজন ডাক্তার থেকে নিশ্চিত হয়ে নিতে চায়(আসলেই অপারেশন লাগবে কীনা), তাহলে দুয়া করবেন যে তার যদি যেটি ভালো কল্যানকর,সেটির ব্যবস্থা করে দিতে।
চিকিৎসায় যেনো কোনো ত্রুটি না হয়।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে বাকি গামছা ধোয়া লাগবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...