আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
edited by
১।।।।।অনেক দিন আগে আমার স্বামী বলতেছে কেউ যদি চলে যায় তাহলে আমি তাকে থাকার জন্য বলবো না এটা যে কেউ হোক এমনি তার বাবা হলে।।তখন আমি বললাম আমি যদি চলে যায়।।তখন আমার স্বামী বলে যদি কথার অর্থ নেই যাবা কিনা হ্যা অথবা না বলো।।তখন আমি বলছি আমি চলে যাবো বললে  তো আপনি বলে দিবেন যাওগা। তখন আমার স্বামী বলপ হ্যাৃ অথবা না বলো তখন আমি রাগে বলছি চলে যাবো, এখন কি বলবেন বলেন।।তখন আমার স্বামী বলে তুমি মন থেকে বলো নি,আমি তোমাকে যেতে দিব না।।।

***তারপর আমি বলছি তালাক দিয়ে দেন চলে যাই,,তখন আমার মনে হচ্ছে আমার স্বামী বলছে আচ্ছা।। কিন্তু সাথে সাথে স্বামীকে জিজ্ঞেস করছি আচ্ছা বললেন কেন,,তখন আমার স্বামী বলে আমি আচ্ছা বলি নি। তাই আমি তাকে বলছি যদি আচ্ছা বলে থাকেন সে বলে আমি বলি নাই,,তারপর বললাম মনে করেন বলছেন তাহলে কেন বলছেন সে বলে আমি আচ্ছা বলি নি,,তাই যদি বলে থাকি এর কেন মানে হয় না,,তারপরও বললাম যদি বলে থাকেন তখন সে বলে যদি বলেও থাকি তালাকের জন্য বলি নি।।আমি বললাম তাহলে তখন সে বলে যদি বলে থাকি আচ্ছা মানে শুনছি কিংবা বুঝছি এরকম কিছু বুঝায়ছি।।আমি শিউর সে আচ্ছা বলছিল।। সে আচ্ছা বলাতে কি সমস্যা হবে। আচ্ছা টা কি তালাক দেওয়া বুঝায়


তারপর  সকালে আমার স্বামী আমাকে বলতেছে তুমিও তো বলছো চলে যাবা তাহলে এটা তো তালাকের উদ্দেশ্য বলছো।।তখন আমি বলছি আমি আপনাকে তালাকের জন্য বলি নি কিন্তু সে বলে তালাকের জন্য বলছি,,আমি বললাম আমি তো নিজের উপর তালাক পতিত করি নি।।।কিন্তু সে বার বার বলতেছে তালাক দিছি নয়তো কোন উদ্দেশ্য বলছি।।তাই রাগে আমি বলছি আপনাকে তালাক দিব এই উদ্দেশ্য বলছি,,কিন্তু সে বলতেছে আমি নাকি তাকে তালাক দিছি এই কথাটা বলছি তাই আমি রাগে বলছি হুম আপনাকে আমি তালাক দিছি এই উদ্দেশ্য বলছি।।এরপর বলছি আপনাকে আমি তালাক দিছি।।আপনার সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নাই।।সব সম্পর্ক শেষ।। আমাকে আর কল দিবেন না।।আপনি আমার জন্য পরপুরুষ  এগুলো বলছি।।।কিন্তু আমি নফসের উপর তালাক নেয় নি।।।তখন সে বলে আমি তোমাকে তালাকে অধিকার দেয় নি।।আমি বললাম কাবিন নামায় দেওয়া আছে।।সে বলে নাই আমি বললাম আছে সে বলে আমি দেয় নাই অধিকার।।।তারপর বললাম এসব অশান্তি ভালো লাগে না শব কিছু শেষ করে দেওয়াই  ভালো।।।কিন্তু আমি নফসের উপর তালাক নেয় নি।।কিন্তু আমার মনে চলে আসছে আমি নফসের উপর তালাক নিলাম না তো আবার।। আমার মাথায় ছিল স্ত্রী তালাক দিছি বললে তালাক হয় না পতিত করতে হয়।।।কিন্তু আমি নিজের উপর তালাক পতিত করি নি।।।হুজুর এসব কথার কারনে কি তালাক হবে

২। মাসালা জানার জন্য হুজুর সাথে কথা বলছিলাম,,স্বামী বার বার কল দিচ্ছিল,,পরে যখন রিসিভ করলাম  স্বামী জিজ্ঞেস করাতে বলছিলাম হুজুর  সাথে কথা বলছি,,তখন রাগে বলে যাওগা হুজুরের সাথেই,,,,বার বার যখন বলতেছে যাওগা হুজুরের সাথে তখন আমি বলছি তোমার যদি আমাকে ভালো না লাগে  আমার বোনের সাথে কথা বলে আমাকে তালাক দিয়ে দাও,,আমাকে দেলাও,,তখন আমার স্বামী বলে আমি দেওয়ার কি আছে তুমি তো গেছগাই,,,,,,পরে আমি বললাম তুমি কি তালাকের নিয়তে বলেছো,,আমার স্বামী বলে না আমার খুব রাগ হয়েছে  তুমি হুজুরের সাথে কথা বলাতে তাই রাগে বলছি।।স্বামী বলে বার বার কল দিচ্ছি আমার কল না ধরে হুজুর এর সাথে কথা বলছো তাই রাগে বলছি।।।কেন তালাকের নিয়ত ছিল না।।

এসব আলোচনায় কি সমস্যা হবে।।

1 Answer

0 votes
by (656,550 points)
بسم الله الرحمن الرحيم 

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...