আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ  হুজুর। আমি ইসলামে এসেছি ২ বছর আলহামদুলিল্লাহ । বাড়িতেই থাকি কারন আমি একজন মেয়ে। কিন্তু ইসলাম কবুলের কয়েক মাস পর ই আমি আমায় দাওয়াত কারী মানুষটিকে বিয়ে করি বিয়ের প্রস্তাব দেয়ায়। এই ভেবে যে হারাম থেকে বাচা সহজ হবে, ইসলাম জানতে যদি ওনার সাথে কথা বলি গুনাহ হবে না, দীন শিখতে সহজ হবে, আর যখন আমার পরিবার জানবে আমার একটা নিরাপদ জায়গা থাকবে। আমার বিয়ে করার নিয়ত এগুলোই ছিল।তখন ইমমেচিওর ছিলাম এখনের তুলনায় অনেকটাই,  বিয়ে এত বড় একটা বিষয় মনেই হয় নি। এখন ও তেমন কিছু বুঝি না,তবে আগের থেকে একটু বুঝ আসছে। বিয়ের পর থেকেই যে যার যার ঠিকানায়।বর্তমানে আমি আমার বাবার বাসায়। সে তার বাসায়। তবে এর ই মাঝে ২০/২১ দিন হবে একটা বিষয়ে ঝগড়া হয়ে তার থেকে আমি তালাক চাই।সেও এক তালাক দিয়ে দেয়। তালাক চাওয়ার মতো আহামরি কিছু ছিল না। কিন্তু ওই মুহুর্তে এটা মাথায় আসে নি। এখন আমি ই তো চাইছি, আমি কিভাবে তওবা করতে পারি, কি বলবো কি দোয়া করবো? আর বিয়ের সময় তাকে যেমন দেখেছিলাম এখন কিছুটা পরিবর্তন হয়ে গেছে।  যেমন কিছু মাকরু হলে তা করতে দীধা বোধ করে না। সঙ্গ খারাপ হওয়ার মুখের ভাষা খারাপ হয়ে যায় মাঝে মাঝে যা আগে ছিল না। বলে ওরা খারাপ হলেও আমি তো হবো না। কিন্তু হুজুর এটা তো সম্ভব ই না যার সাথে চলি সে ভালো না হলে তার ইফেক্ট তার উপর পরবে না।তালাকের আগে ব্যক্তিগত ভাবে কিছু বিষয় নিজেরা বাউন্ডারি সেট করেছিলাম বিয়ের পর পর যে এ বিষয় গুলা দুজনের কেউ ই করবো না।যদিও বিষয়গুলা হারাম না,তবে হারামে পড়ার খুব সম্ভাবনা এমন কিছু বিষয়। সে আমায় না জানিয়ে এসব বিষয়ে গিয়েছে,পরে আমি জানতে পারি অনাকাঙ্ক্ষিত সোর্স থেকে, আর এটা নিয়েই তালাক এর পর্যায়ে চলে যায়। তালাকের পর আমরা ঠিক করেছিলাম আমার বিয়ে করে নিবো, যেহেতু আমার ইদ্দত পালন নেই। আমি বলেছি এর মাঝে যোগাযোগ না রাখতে যেহেতু এখন আমরা হারাম। কিন্তু সে হ্যা বলে আবার চায় ও না যোগাযোগ অফ করি। মাঝে মাঝে আমি যোগাযোগ করে ফেলি,আবার বন্ধ করি।বন্ধ করলে আবার সে মন খাটাপ করে বুঝি তাও করি। কিন্তু এই লুপেই পরে যাচ্ছি। তবে উপরে তার বর্তমান অবস্থার কিছু অংশ বললাম। সে এখন ভার্সিটিতে উঠেছে,টিউশন পড়াশুনা নিয়ে খুব ব্যস্ত তবে তালাকের আগের কথা সে যখন সময় পায় সোসাল মিডিয়া বা কিছুতে থাকে,,,,আমার সাথে যোগাযোগ করতে ইচ্ছে করতো না তার, ইগো প্রবলেম শুরু হয়।  এখন সে বলে এমন আর হবে না। আমার ২ জন মেয়ে ফ্রেন্ড জানে তাদের কাছে এগুলা সেয়ার করেছিলাম কারন আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করবো। আবার সময়ে সময়ে মাঝে মাঝে ওদের জানাতাম খারাপ কিছু হলে আমাদের মাঝে।ওরা বললো আমাদের তো ছেলেটাকে আগেই ঠিক লাগে নি। তালাক যখন হইছে আর যোগাযোগ করিস না। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু  বিষয় টা তো এত সহজ না। তবে সে আগের থেকে অনেকটাই চেন্জ হয়েছে। এখন আবার যোগাযোগ করে ঠিক করেছি বিয়ে করবো। কিন্তু আমি না ও করতে পারি না,কারন দুর্বলতা আছে তার প্রতি,আবার ভয় পাচ্ছি ছেলেটা যদি আরো পাল্টে যায়। তার পরিবার ও আমি নউমুসলিম বলে নিজেরা বিপদ দেখলেও আগাবে এমন না। ফেমিলিকে যদি বিয়ের কথা জানায় মানবে না। আমি এখন কি করতে পারি? আমি জানি হারামে থাকা উচিত না কিন্তু হুজুর আমার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে একটা প্রক্টিকেল সলুশন দিবেন ইন শা আল্লাহ হুজুর।
আমার সামনে মেডিকেল এক্সাম।  আমি এসব কিছু আর ফোন এডিকশনের জন্য পড়তে পারছি না। আমি এটা থেকে কিভাবে বাচতে পারি। আমি মনে করি হালামে থাকলে বাকি কিছু ও ভালো ভাবে হয় না নিয়ত সহী হলেও। আর আল্লাহ কে যেমন ভাবে ভাব্বো আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমার কাছে ওই রকম ই হবেন। এটাও চিন্তা লাগে।
হুজুর আমায় অবিভাবকের মতো সমাধান নেই।আমার এমন বড় কেউ নেই জীবনে যার থেকে আমি পরামর্শ চাইতে পারবো।আমায় সাহায্য করুন হুজুর।
আর আমার আরবি নিয়ে কোনো কিছু জানা নেই। ৫/৬ বছরের বাচ্চারা যা দিয়ে পড়া শুরু করে মকতবে আমার ওই থেকে শুরু করা লাগবে। নামাজের ৪/৫ টা সুরাই পারি শুধু। কুরান পড়তে পারি না। আমি কিরকম অনলাইন কোর্স এ ভর্তি হতে পারি? বাচ্চাদের কোনো কোর্স এ?
আসসালামু আলাইকুম।

1 Answer

0 votes
by (685,110 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ের পর সহবাস না হলে এক তালাকের দ্বারা বায়েন তালাক হয়ে বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায। পরবর্তীতে নতুন বিয়ের মাধ্যমে সংসার করতে হবে। আর সহবাস হয়ে থাকলে ইদ্দতের ভিতর রাজআত তথা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2579

আপনি উক্ত ছেলের সাথে সংসার করবেন কি না বা নতুনভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন কি না? সেজন্য ইস্তেখারা করবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472

আপনি IOM এর অফিসে যোগাযোগ করে বেসিক ফরযিয়্যাত কোর্সে ভর্তি হয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
প্রশ্নকারী বোনের প্রতি পরামর্শ থাকবে দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের জন্য আপনি https://iom.edu.bd/ এখান থেকে কোর্স করুন। ভর্তি হতে সমস্যা হলে সাইটে দেয়া ফেসবুক পেজে মেসেজ করবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...