আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ হুজুর। আমি ইসলামে এসেছি ২ বছর আলহামদুলিল্লাহ । বাড়িতেই থাকি কারন আমি একজন মেয়ে। কিন্তু ইসলাম কবুলের কয়েক মাস পর ই আমি আমায় দাওয়াত কারী মানুষটিকে বিয়ে করি বিয়ের প্রস্তাব দেয়ায়। এই ভেবে যে হারাম থেকে বাচা সহজ হবে, ইসলাম জানতে যদি ওনার সাথে কথা বলি গুনাহ হবে না, দীন শিখতে সহজ হবে, আর যখন আমার পরিবার জানবে আমার একটা নিরাপদ জায়গা থাকবে। আমার বিয়ে করার নিয়ত এগুলোই ছিল।তখন ইমমেচিওর ছিলাম এখনের তুলনায় অনেকটাই, বিয়ে এত বড় একটা বিষয় মনেই হয় নি। এখন ও তেমন কিছু বুঝি না,তবে আগের থেকে একটু বুঝ আসছে। বিয়ের পর থেকেই যে যার যার ঠিকানায়।বর্তমানে আমি আমার বাবার বাসায়। সে তার বাসায়। তবে এর ই মাঝে ২০/২১ দিন হবে একটা বিষয়ে ঝগড়া হয়ে তার থেকে আমি তালাক চাই।সেও এক তালাক দিয়ে দেয়। তালাক চাওয়ার মতো আহামরি কিছু ছিল না। কিন্তু ওই মুহুর্তে এটা মাথায় আসে নি। এখন আমি ই তো চাইছি, আমি কিভাবে তওবা করতে পারি, কি বলবো কি দোয়া করবো? আর বিয়ের সময় তাকে যেমন দেখেছিলাম এখন কিছুটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। যেমন কিছু মাকরু হলে তা করতে দীধা বোধ করে না। সঙ্গ খারাপ হওয়ার মুখের ভাষা খারাপ হয়ে যায় মাঝে মাঝে যা আগে ছিল না। বলে ওরা খারাপ হলেও আমি তো হবো না। কিন্তু হুজুর এটা তো সম্ভব ই না যার সাথে চলি সে ভালো না হলে তার ইফেক্ট তার উপর পরবে না।তালাকের আগে ব্যক্তিগত ভাবে কিছু বিষয় নিজেরা বাউন্ডারি সেট করেছিলাম বিয়ের পর পর যে এ বিষয় গুলা দুজনের কেউ ই করবো না।যদিও বিষয়গুলা হারাম না,তবে হারামে পড়ার খুব সম্ভাবনা এমন কিছু বিষয়। সে আমায় না জানিয়ে এসব বিষয়ে গিয়েছে,পরে আমি জানতে পারি অনাকাঙ্ক্ষিত সোর্স থেকে, আর এটা নিয়েই তালাক এর পর্যায়ে চলে যায়। তালাকের পর আমরা ঠিক করেছিলাম আমার বিয়ে করে নিবো, যেহেতু আমার ইদ্দত পালন নেই। আমি বলেছি এর মাঝে যোগাযোগ না রাখতে যেহেতু এখন আমরা হারাম। কিন্তু সে হ্যা বলে আবার চায় ও না যোগাযোগ অফ করি। মাঝে মাঝে আমি যোগাযোগ করে ফেলি,আবার বন্ধ করি।বন্ধ করলে আবার সে মন খাটাপ করে বুঝি তাও করি। কিন্তু এই লুপেই পরে যাচ্ছি। তবে উপরে তার বর্তমান অবস্থার কিছু অংশ বললাম। সে এখন ভার্সিটিতে উঠেছে,টিউশন পড়াশুনা নিয়ে খুব ব্যস্ত তবে তালাকের আগের কথা সে যখন সময় পায় সোসাল মিডিয়া বা কিছুতে থাকে,,,,আমার সাথে যোগাযোগ করতে ইচ্ছে করতো না তার, ইগো প্রবলেম শুরু হয়। এখন সে বলে এমন আর হবে না। আমার ২ জন মেয়ে ফ্রেন্ড জানে তাদের কাছে এগুলা সেয়ার করেছিলাম কারন আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করবো। আবার সময়ে সময়ে মাঝে মাঝে ওদের জানাতাম খারাপ কিছু হলে আমাদের মাঝে।ওরা বললো আমাদের তো ছেলেটাকে আগেই ঠিক লাগে নি। তালাক যখন হইছে আর যোগাযোগ করিস না। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু বিষয় টা তো এত সহজ না। তবে সে আগের থেকে অনেকটাই চেন্জ হয়েছে। এখন আবার যোগাযোগ করে ঠিক করেছি বিয়ে করবো। কিন্তু আমি না ও করতে পারি না,কারন দুর্বলতা আছে তার প্রতি,আবার ভয় পাচ্ছি ছেলেটা যদি আরো পাল্টে যায়। তার পরিবার ও আমি নউমুসলিম বলে নিজেরা বিপদ দেখলেও আগাবে এমন না। ফেমিলিকে যদি বিয়ের কথা জানায় মানবে না। আমি এখন কি করতে পারি? আমি জানি হারামে থাকা উচিত না কিন্তু হুজুর আমার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে একটা প্রক্টিকেল সলুশন দিবেন ইন শা আল্লাহ হুজুর।
আমার সামনে মেডিকেল এক্সাম। আমি এসব কিছু আর ফোন এডিকশনের জন্য পড়তে পারছি না। আমি এটা থেকে কিভাবে বাচতে পারি। আমি মনে করি হালামে থাকলে বাকি কিছু ও ভালো ভাবে হয় না নিয়ত সহী হলেও। আর আল্লাহ কে যেমন ভাবে ভাব্বো আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমার কাছে ওই রকম ই হবেন। এটাও চিন্তা লাগে।
হুজুর আমায় অবিভাবকের মতো সমাধান নেই।আমার এমন বড় কেউ নেই জীবনে যার থেকে আমি পরামর্শ চাইতে পারবো।আমায় সাহায্য করুন হুজুর।
আর আমার আরবি নিয়ে কোনো কিছু জানা নেই। ৫/৬ বছরের বাচ্চারা যা দিয়ে পড়া শুরু করে মকতবে আমার ওই থেকে শুরু করা লাগবে। নামাজের ৪/৫ টা সুরাই পারি শুধু। কুরান পড়তে পারি না। আমি কিরকম অনলাইন কোর্স এ ভর্তি হতে পারি? বাচ্চাদের কোনো কোর্স এ?
আসসালামু আলাইকুম।