আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in পবিত্রতা (Purity) by (39 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১)৩০ তম দিনে নেফাস ভালো হয়( প্রথম সন্তান). কিন্তু ৪২ তম দিন থেকে আবাও ব্লাড দেখা দেয়।ইস্তেহাযা ধরে স্বালাত পড়ছি।আজ ৪৭ তম দিন, এখনো ব্লাড চলমান। এখন ৩০ তম দিনের পর থেকে ১৫ দিনের পর থেকে কি ইস্তেহাযা ধরবো নাকি হায়েজ?যদি ইস্তেহাযা হয় এবার বন্ধের পর  যখনই আসবে তখন থেকে হায়েজ ধরতে হ্নবে???

২)ছোট বাচ্চার প্রস্রাব হাতে লাগলে শুকিয়ে গেলে তা দিয়ে  শুকনা কাপড় ধরলে বা সেই  হাত গায়ে লাগলে কি কাপড় বা গা অপবিত্র হবে??
৩) বাচ্চার  ধোয়া কাঁথা কাপড়, ৩ বার পাক করা না তবে নাপাকি নেই এমন কাপড়ের সাথে অন্য  ভিজা কাপড় লাগলে কি অপবিত্র হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
ago by (655,230 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    
হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
,
আরো জানুনঃ   

নেফাস এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩১১, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৮৫২, সুনানে কুবরালিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৬১৯]

فى تنوير الابصار: والنفاس لغة : دمن ويخرج عقب ولد، لا حد لاقله، واكثره أربعين يوما (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/496-497)
সারমর্মঃ সন্তান ভুমিষ্ঠের পর যেই রক্ত বের হয়,সেটাকে নেফাস বলা হয়,তার সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। 
,
নেফাস এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনের মধ্যে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে যেদিন বন্ধ হবে, সেদিন গোসল করে নামায পড়া শুরু করে দিতে হবে।
 কিন্তু বন্ধ না হয়, তাহলে এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনেও বন্ধ না হয়, তাহলে চল্লিশ দিন পর বন্ধ না হলেও নামায পড়তে হবে।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ৪২ তম দিন থেকে যে ব্লাড দেখা দিয়েছে,এটি হায়েজ নয়।
এটি ইস্তেহাজা।  এ সময়ে নামাজ চালিয়ে যেতে হবে।

৪৬ তম দিনেও যদি এই ব্লাড আসে এবং ৪৬ তম দিন পরবর্তী আরো ২ দিন এই ব্লাড আসে,সেক্ষেত্রে ৪৬ তম দিন থেকে আপনি হায়েজ ধরবেন।  সেক্ষেত্রে ৪৬ তম দিন থেকে আপনি নামাজ বন্ধ রাখবেন।

(০২)
ছোট বাচ্চার পেশাব হাতে লেগে হাত শুকিয়ে গেলে তা দিয়ে শুকনা কাপড় ধরলে বা সেই হাত গায়ের শুকনো স্থানে লাগলে কাপড় বা গা অপবিত্র হবেনা।

(০৩)
তার মানে বাচ্চার সেই কাঁথা/কাপড় নাপাক।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এমন কাপড়ের সাথে অন্য ভিজা পাক কাপড় লাগলে বাচ্চার সেই কাঁথা/কাপড় ভিজে গেলে বা ভেজা সেই পাক কাপড়ে নাপাকির কোনো গন্ধ বা চিহ্ন পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে ঐ পাক কাপড় অপবিত্র হয়ে যাবে।

অন্যথায় অপবিত্র হয়ে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...