আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
১।স্বামী কথা ভুলে যায় হয়ত আগের কথাও কি বলেছিল মনে থাকবে না।৷৷   https://ifatwa.info/124704/  এই প্রশ্নে স্বামীকে আগের কথা মানে আগের গুণাহটার কথা না জানিয়ে এমনিতে বলব মানে ধীরে ধীরে  একটা একটা  করে জানাব কি কি কারনে ঈমান চলে যেতে পারে এসব?


২।আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। কেউ যদি বিয়ের আগে ঈমান ভন্গের মত কাজ করে ফেলে   না বুঝে, না জেনে।ঠিকি নামাজ রোজা রাখত,আল্লাহকে বিশ্বাস আর ভয় করত।বিয়ের সময়ও ধরেন সে ব্যাক্তি জানে না তার ঈমান আছে কিনা।ভাবত আছে।বিয়ের পরে এসে জানতে পারে ওসব করলে বা বিশ্বাস করলে ঈমান চলে যায়।এই অবস্থায় তার আগের বিয়ে কি হয়নি?তওবা করলে হবে?

৩।আমিও প্রচুর ভুলে যায় সব কিছু আর ওয়াসওয়াসা আছে আমার  মারাত্মক সব বিষয়ে। সব বিষয়ে স্বামীকে একসাথে না জানিয়ে খুব ধীরে ধীরে জানালে কি কোন সমস্যা হবে?

৪। কোন ভুলে যাওয়া ও ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যাক্তি যদি আগের অজান্তে বা অগ্গতা বা ভুলে  কুফরি হয়ে যায় হঠাৎ মনে পড়ার পর তওবা  করতে ভুলে গেলে পরে নামাজ পড়ার সময় তওবা করলে হবে?তার বিয়ে কি ঠিক থাকব?

৫।এমন ব্যাক্তি যার সবসময় মনে হয় ওটা দ্বারা কি ঈমান চলে যাবে, ওটা কি কুফরি কথা ছিল এমন ব্যাক্তি যার ৫ মিনিট পর পর এ সমস্যা হয় সে কি ৫ মিনিট পর পর তওবা না করে প্রতি নামাজের পর তওব করলে হবে? কারণ এটার দ্বারা ওয়াসওয়াসা মারাত্মক হতে পারে।তার বিয়ে কি ঠিক থাকবে?

৬।কোন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যাক্তি যদি কুফরি করে নি বা জানেও না কুফরি কিনা কিন্তু সন্দেহের কারণে করেছে বলে প্রশ্ন করে শুধু জানার জন্য মাসআলা তাহলে কি তার ঈমানে সমস্যা হবে? জানার উদ্দেশ্য প্রশ্ন করলে?

৭। আগে এই সাইটে করা প্রশ্ন নিয়েও ওয়াসওয়াসা আসে।ঠিক ভাবে বুঝেছে কিনা। এডিট করার পর ওটা পড়েছে কিনা নানা ধরনের কু চিন্তা। এমনকি প্রশ্ন করে থাকলেও ভুলে যায় প্রশ্ন এটা করেছিল কি করে নাই।। এতে কি আবার  এসব প্রশ্ন করা উচিত হবে?না করে থাকলেও কি উচিত হবে করা?

৮।সবসময় চিন্তা আসে আমার আর আমার স্বামীর ঈমান ঠিক আছে কিনা আর বিয়ে।নানা বিষয় নিয়ে।আমি দূরে থাকি স্বামী থেকে। ফোনে কথা হয়।আমার মন অস্হির থাকে স্বামী কোন ঈমান ভংগের কাজ করতেছে কিনা না জেনে।আমি নিজেও খুব ভয়ে থাকি নিজের ঈমান নিয়ে। মাঝে মাঝে এত বেশি হয় যে সাধারণ মানুষের বিরক্ত চলে আসবে।আমার স্বামীও সব বিষয়ে জানে না কি কি করলে ঈমান চলে যেতে পারে।আমার কি উচিত হবে তাকে সবসময় বলা এটা করলে ঈমান চলে যেতে পারে ওটা করলেও এরকম? নাকি মাঝে মধ্যে ধীরে ধীরে বলব?আমি নিজেও সবকিছু মনে হয় এখনো জানি না। আমার সবসময় কান্না পায় আমার ঈমান আর আমার বিয়ে ঠিক আছে কিনা এসব নিয়ে।মাঝে মাখে খুব বেশি অস্হির হয়ে যায়। মাঝখানে ২-১ বছর ঠিক ছিলাম।আবার এমন হচ্ছে ১৪_১৫ দিন থেকে।আমার ভুলে যাওয়ার সমস্যা ও আছে।

৯।আমার ভুলে যাওয়ার সমস্যা আছে আর আমি মারাত্মক ওয়াসওয়াসা।আমার ঠিক হওয়ার পর ভুলে গিয়ে যদি কোন গুণাহ বা কুফরি হয়ে যায় অজান্তে, অজ্ঞাতাই,ভুলে  আমার কি ঈমান চলে যাবে??

১০।গতকাল থেকে হুরমত বিষয়টা নিয়ে জানার পর এত বেশি ভয় কাজ করতেছে বলার মত না।আমি কোনদিন বাবাকে নিয়ে এসব ভাবি না চিন্তাও করি না।গতকালের পর থেকে এসব নিয়ে এত চিন্তা আসতেছে,ওয়াসওয়াসা বলার মত না।আমি গরমে সহ কাথা গায়ে দিয়ে শুয়েছি কাল।আব্বুকে ভাত আর পানি দিতে সহ ভয় লাগে, তাকাইও নি আব্বুর দিকে ভাল করে।আজ হঠাৎ আব্বু খুব বেশি অসুস্থ হওয়ায় বোন বলতেছে আব্বুর মাথাটা চেপে দিতে।আমার মনে ভয় কাজ করতে শুরু করে।আমি আল্লাহ রক্ষা কর আমাকে এসব বলে বলে আব্বুর মাথা চাপি আর আল্লাহ আল্লাহ করতে থাকি কান্না ও করে দি একসময়। এরকম করেছি যতক্ষণ আব্বুর মাথা চেপেছি।হঠাত আব্বুর ঠোঁটের দিকে তাকাতে আমার ভয় লাগে, শরীর কেপেছে কিনা বুঝি নি,কিরকম চিন্তা আসছিল ওটাও বুঝি নি।আমার মনে হচ্ছে এতক্ষণ ভয়ে ভয়ে মাথা চেপেছি হয়ত ভয় পেয়েছি। এরকম মনে হওয়ার সাথে সাথে আমি চলে আসি বাথরুমে ভয়ে।আবার গিয়ে মাথা চাপি।আমি সব কিছু নিয়ে মারাত্মক চিন্তায়।এতে কি হুরমত হবে? আমি ভাবিও না এসব কিন্তু আমার মারাত্মক চিন্তা হচ্ছে এসব নিয়ে কাল থেকে, আব্বুকে ভাত দিতে সহ ভয় লাগে।কি করব বুঝতেছি না।যদি future এ কোনদিন না চাওয়া সত্বেও শরীর কেপে উঠে বা  না চাওয়া সত্বেও মজি বের হয় তাহলে কি হুরমত হবে?? আমি খুব বেশি ভয়ে।হুরমত নিয়ে এই ২ টা প্রশ্নের উত্তর দিয়েন হুজুর।খুব বেশি চিন্তিত।

১১।আব্বু অসুস্থ। মাথা চেপে দিতে অনেক  ভয় হচ্ছে। যদিও আব্বু বলতেছে দিতে হবে না।কিন্তু বুঝতেছি চেপে দিলে ভালো লাগতেছে আব্বুর।আমার কি চেপে দেওয়া উচিত হবে মাথা?

1 Answer

0 votes
by (693,030 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...