আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
62 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

মেয়ে ক্লাস ৯ এ পরে,হায়েয হয়েছে অনেক আগেই।দ্বীনদার পাত্রের বিয়ে প্রস্তাব এসেছে।এখন আমি যদি মেয়ে এসএসসি পাসের পর বিয়ে দেওয়ার শর্ত রাখি বা এই কারণে বিয়ে না দেই তাহলে কি আমি গুনাগার হবো? মেয়েটা এখনো বাচ্চাসুলভ তাই ভয় হয় এখন বিয়ে দিলে যদি মানসিক প্রভাব পড়ে? আর বিয়ে এমনই এসএসসি পাসের পরই দেওয়ার ইচ্ছা আছে আর দেরি করবো না।

জাযাকুমুল্লাহ খাইর।

1 Answer

0 votes
by (732,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিয়ের কোনো বয়স নাই। বরং একেবারে শিশুকালে অভিভাবকগণ তাদের সন্তানের বিয়ে দিয়ে দিতে পারবে। তবে সাবালক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কেউ নিজে নিজে বিয়ে করতে পারবে না। এবং নাবালককে বিয়ে দিলে সাবালক ও উপযোক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না। উভয়ের বয়স সমান হওয়া জরুরী নয়। তবে হাদীসে বয়স সমান হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। 

হ্যা,বিয়ের সাক্ষীদ্বয় সাবালক হতে হবে। 
আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ 
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
 দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে  উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/16116


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সরকারি বিধিমতে নারী পুরুষের পৃথক পৃথক বিয়ের নির্ধারিত বয়স রয়েছে। এটা সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুর কারণে সরকার নির্ধারণ করেছে।

সমস্ত মুসলমানের উপর ফরযে কেফায়া যে, বিয়ের বয়সকে ইসলামিকরণ করার জন্য সরকারকের নিকট আবেদন জানানো। হ্যা, সাবালক হওয়ার পূর্বে স্বামীর স্ত্রীর মিলন জায়েয হবে না। সাবালক হওয়ার পরপরই যে বিয়ে করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাদকতা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...