আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।
সূরা ইয়াছিনের ৫২ নং আয়াতে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন,
    قَالُوۡا یٰوَیۡلَنَا مَنۡۢ بَعَثَنَا مِنۡ مَّرۡقَدِنَا ٜۘؐ ہٰذَا مَا وَعَدَ الرَّحۡمٰنُ وَصَدَقَ الۡمُرۡسَلُوۡنَ
"তারা বলতে থাকবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠাল? (উত্তর দেওয়া হবে,) এটা সেই জিনিস, যার প্রতিশ্রুতি দয়াময় আল্লাহ দিয়েছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য কথা বলেছিল।"

সূরা রুমের ৫৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে,

          وَیَوۡمَ تَقُوۡمُ السَّاعَۃُ یُقۡسِمُ الۡمُجۡرِمُوۡنَ ۬ۙ مَا لَبِثُوۡا غَیۡرَ سَاعَۃٍ ؕ کَذٰلِکَ کَانُوۡا یُؤۡفَکُوۡنَ
যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা কসম খেয়ে বলবে যে, এক মুহুর্তেরও বেশী অবস্থান করিনি। এমনিভাবে তারা সত্যবিমুখ হত।

 এ থেকে বুঝা যায় যে কবরে জাহান্নামি ব্যাক্তিও নিদ্রান্বিত অবস্থায় থাকবে । অর্থাৎ কবরে কোনো আযাব হবে না।যদি কবরে তাদের আযাব হতো-ই তাহলে তারা,  "হায় আমাদের দুর্ভোগ,কে আমাদের নিদ্রাস্হল থেকে উঠালো! "    "কবরে এক মুহূর্তের বেশিও অবস্হান করিনি"   এমন কথা  বলতো না।
⛔ তাহলে কবরে যে আযাব হবে এটি কুরআনের কোন আয়াত দ্বারা প্রমাণিত?
যদি মৃত্যুর পর মাটির চাপ,কবরের আযাব বলে কিছু থাকতো তাহলে কেন এটি কুরআনের কোথাও ও উল্লেখ করা নেই?

1 Answer

0 votes
by (693,030 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
 আল্লাহ তায়ালা সুরাতুল গাফিরের ৪৪.৪৫ নং আয়াতে উল্লেখ করেন,

فَوَقٰىہُ اللّٰہُ سَیِّاٰتِ مَا مَکَرُوۡا وَحَاقَ بِاٰلِ فِرۡعَوۡنَ سُوۡٓءُ الۡعَذَابِ ۚ
অতঃপর তারা যেসব নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্র করেছিল, আল্লাহ তাকে (সেই মুমিন ব্যক্তিকে) তা হতে রক্ষা করলেন আর ফির‘আউনের সম্প্রদায়কে পরিবেষ্টন করল নিকৃষ্টতম শাস্তি।

اَلنَّارُ یُعۡرَضُوۡنَ عَلَیۡہَا غُدُوًّا وَّعَشِیًّا ۚ وَیَوۡمَ تَقُوۡمُ السَّاعَۃُ ۟ اَدۡخِلُوۡۤا اٰلَ فِرۡعَوۡنَ اَشَدَّ الۡعَذَابِ
আগুন, যার সামনে তাদেরকে প্রতি সকাল-সন্ধ্যায় পেশ করা হয়। আর যে দিন কিয়ামত সংঘটিত হবে, সে দিন (আদেশ করা হবে) ফির‘আউনের সম্প্রদায়কে কঠিনতম শাস্তিতে প্রবেশ করাও।

তাফসীরঃ মৃত্যুর পর কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত মানুষের রূহ যে জগতে থাকে, তাকে ‘বরযখের জগত’ বলে। এ আয়াতে জানানো হয়েছে যে, ফির‘আউন ও তার অনুসারীদেরকে বরযখের জগতে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় জাহান্নামের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে তারা জানতে পারে তাদের ঠিকানা কোথায়।

আল্লাহ সুরা তাওবা এর ১০১ নং আয়াতে বলেন,

وَمِمَّنۡ حَوۡلَکُمۡ مِّنَ الۡاَعۡرَابِ مُنٰفِقُوۡنَ ؕۛ  وَمِنۡ اَہۡلِ الۡمَدِیۡنَۃِ ۟ۛؔ  مَرَدُوۡا عَلَی النِّفَاقِ ۟  لَا تَعۡلَمُہُمۡ ؕ  نَحۡنُ نَعۡلَمُہُمۡ ؕ  سَنُعَذِّبُہُمۡ مَّرَّتَیۡنِ ثُمَّ یُرَدُّوۡنَ اِلٰی عَذَابٍ عَظِیۡمٍ ۚ

তোমাদের আশেপাশে যে সকল দেহাতী আছে, তাদের মধ্যেও মুনাফিক আছে এবং মদীনাবাসীদের মধ্যেও তারা মুনাফিকীতে (এতটা) সিদ্ধ (যে,) তুমি তাদেরকে জান না, আমি তাদেরকে জানি। আমি তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। অতঃপর তাদেরকে এক মহা শাস্তির দিকে তাড়িয়ে নেওয়া হবে।

ব্যাখ্যা: হজরত হাসান বছরী ও ক্বাতাদাহ রহ. বলেন, দু’বার শাস্তি অর্থ রোগ-শোক ও বিপদাপদের মাধ্যমে প্রথমবার দুনিয়াবী শাস্তি এবং দ্বিতীয়বার কবর আযাবের শাস্তি’ (কুরতুবী, ইবনু কাছীর; দ্রঃ বুখারী ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৮৫)।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই আয়াতগুলোর মাধ্যমে এটা প্রমাণিত যে, কবরের আজাব সত্য। এছাড়া অসংখ্য হাদিসের মধ্যে তো বিষয়টি বিবৃত হয়েছেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...