ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তায়ালা সুরাতুল গাফিরের ৪৪.৪৫ নং আয়াতে উল্লেখ করেন,
فَوَقٰىہُ اللّٰہُ سَیِّاٰتِ مَا مَکَرُوۡا وَحَاقَ بِاٰلِ فِرۡعَوۡنَ سُوۡٓءُ الۡعَذَابِ ۚ
অতঃপর তারা যেসব নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্র করেছিল, আল্লাহ তাকে (সেই মুমিন ব্যক্তিকে) তা হতে রক্ষা করলেন আর ফির‘আউনের সম্প্রদায়কে পরিবেষ্টন করল নিকৃষ্টতম শাস্তি।
اَلنَّارُ یُعۡرَضُوۡنَ عَلَیۡہَا غُدُوًّا وَّعَشِیًّا ۚ وَیَوۡمَ تَقُوۡمُ السَّاعَۃُ ۟ اَدۡخِلُوۡۤا اٰلَ فِرۡعَوۡنَ اَشَدَّ الۡعَذَابِ
আগুন, যার সামনে তাদেরকে প্রতি সকাল-সন্ধ্যায় পেশ করা হয়। আর যে দিন কিয়ামত সংঘটিত হবে, সে দিন (আদেশ করা হবে) ফির‘আউনের সম্প্রদায়কে কঠিনতম শাস্তিতে প্রবেশ করাও।
তাফসীরঃ মৃত্যুর পর কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত মানুষের রূহ যে জগতে থাকে, তাকে ‘বরযখের জগত’ বলে। এ আয়াতে জানানো হয়েছে যে, ফির‘আউন ও তার অনুসারীদেরকে বরযখের জগতে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় জাহান্নামের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে তারা জানতে পারে তাদের ঠিকানা কোথায়।
আল্লাহ সুরা তাওবা এর ১০১ নং আয়াতে বলেন,
وَمِمَّنۡ حَوۡلَکُمۡ مِّنَ الۡاَعۡرَابِ مُنٰفِقُوۡنَ ؕۛ وَمِنۡ اَہۡلِ الۡمَدِیۡنَۃِ ۟ۛؔ مَرَدُوۡا عَلَی النِّفَاقِ ۟ لَا تَعۡلَمُہُمۡ ؕ نَحۡنُ نَعۡلَمُہُمۡ ؕ سَنُعَذِّبُہُمۡ مَّرَّتَیۡنِ ثُمَّ یُرَدُّوۡنَ اِلٰی عَذَابٍ عَظِیۡمٍ ۚ
তোমাদের আশেপাশে যে সকল দেহাতী আছে, তাদের মধ্যেও মুনাফিক আছে এবং মদীনাবাসীদের মধ্যেও তারা মুনাফিকীতে (এতটা) সিদ্ধ (যে,) তুমি তাদেরকে জান না, আমি তাদেরকে জানি। আমি তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। অতঃপর তাদেরকে এক মহা শাস্তির দিকে তাড়িয়ে নেওয়া হবে।
ব্যাখ্যা: হজরত হাসান বছরী ও ক্বাতাদাহ রহ. বলেন, দু’বার শাস্তি অর্থ রোগ-শোক ও বিপদাপদের মাধ্যমে প্রথমবার দুনিয়াবী শাস্তি এবং দ্বিতীয়বার কবর আযাবের শাস্তি’ (কুরতুবী, ইবনু কাছীর; দ্রঃ বুখারী ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৮৫)।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই আয়াতগুলোর মাধ্যমে এটা প্রমাণিত যে, কবরের আজাব সত্য। এছাড়া অসংখ্য হাদিসের মধ্যে তো বিষয়টি বিবৃত হয়েছেই।