আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
اَلسَّلاَمْ عَلَيْـــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ

উস্তাদ,আমার এক বোনের ছোট ছোট তিনটা মেয়ে আছে।পর পর হওয়ায় সবাই ছোট ।আর আপুও জব করে।যার কারণে বাচ্চা দেখাশোনাতে অনেক সমস্যা হয়।তিনটাই মেয়ে বাবু হওয়ায় আপুর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন। এজন্য তাদের সম্পর্ক ও ভালো নেই। এখন আবার এক মাসের গর্ভবতী।তার হাজবেন্ড কিছুতেই এই বাচ্চা রাখতে চাচ্ছেন না।বলছে, বাচ্চা নষ্ট করতে হবে নয়তো তালাক দিবে। হাজবেন্ডের কথা হলো, তাদের বিয়ের বয়স যেহেতু কম,এতো কম সময়ে এতো গুলো বাচ্চা নিলে সমাজের মানুষ কটু কথা বলবে। কিন্তু আপু বাচ্চা রাখতে চাচ্ছেন আর ভয় ও পাচ্ছে তালাক হয়ে যাওয়ার।

আপু জানতে চান,তিনি কি করবেন। বাচ্চা নষ্ট করবেন নাকি তালাক হওয়াকে মেনে নিবেন।আর যদি বাচ্চা নষ্ট করতে হয় তবে এটা কি হারাম হবে কিনা। এজন্য পরকালে আপুকে শাস্তি পেতে হবে কিনা।

আপুর স্বামীকে অনেক বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো কিছু শুনতে নারাজ। শ্বশুরবাড়ির মানুষ ও আপুকে সাপোর্ট করে না।

1 Answer

0 votes
by (689,100 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং এ্যাবর্শন(গর্ভপাত) সাধারণত চার ধরণের হয়ে থাকে।যথাঃ-

(১)(চিরস্থায়ী)জন্মনিরোধ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ-এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে চিরস্থায়ীভাবে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

(২)(অস্থায়ী)জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে সন্তান জন্মানোর ক্ষমতা অবশিষ্ট থাকা সত্বেও বর্তমানে নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর সন্তান জন্ম নিবে না।

(৩)চারমাস পূর্বে গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তান চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।

(৪)চারমাস পর গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তানকে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/446

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতা হওয়ার বা সমঝোতা করানোর সমস্ত চেষ্টা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, এবং সন্তানের পিতা এজন্য তালাক দিয়ে দিবে বলে পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস হয়, তাহলে এই অপারগ অবস্থায় ১ মাসের সন্তানকে গর্ভপাত করানো জায়েয হবে। স্ত্রী কোনো গোনাহ হবে না। বিনা কারণে স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগের কারণে স্বামীর অবশ্যই গোনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...