জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনি সূরা আল-বাকারাহ ঘরে তিলাওয়াত করবেন।
রাসূল ﷺ বলেছেন:
"যে ঘরে সূরা আল-বাকারাহ তিলাওয়াত করা হয়, সেখানে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না।" (সহীহ মুসলিম)
এই সূরা তিলাওয়াত করলে সাধারণত অশান্তি, শয়তানি প্রভাব ও ক্ষতিকর জিনিস থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
প্রতি নামাজের পর, বিশেষ করে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী (সূরা বাকারা: ২৫৫) পড়লে ঘর ও পরিবার আল্লাহর হেফাজতে থাকে।
★সকালে-সন্ধ্যায় ৩ বার করে সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়া, এবং ঘুমানোর আগে পড়া ও ফুঁ দেওয়াতে ঘর-বাড়ি ও দেহে প্রশান্তি আসে।
★ঘর প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ বলা।
প্রতিদিন সকালে-সন্ধ্যায় "বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মা'আসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিসসামা, ওয়া হুয়াস-সামীউল আলীম" (৩ বার) পড়া – এতে ক্ষতিকর কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না। (আবু দাউদ)
★শুধু আমল নয়, সাথে সাথে পরিচ্ছন্নতা জরুরি:
বিছানাপত্র নিয়মিত রোদে দেওয়া
ঘর পরিষ্কার রাখা
ফাঁক-ফোকর বন্ধ করা
প্রয়োজনে পোকা দমনের ওষুধ ব্যবহার করা।
(০২)
আপনার প্রতি যদি কোন জাদু করা থাকে সেক্ষেত্রে কোন বৈধ রুকইয়াহ কারীর শরণাপন্ন হয়ে জাদু নষ্ট করে নিবেন।
আপনার আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশী যদি আপনার বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে থাকে,সেক্ষেত্রে সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন।
বা অন্য কেউ যদি আপনার বিবাহে বাধা সৃষ্টি করে থাকে, সেই সমস্যা ও সমাধানের চেষ্টা করবেন।
আপনি চিন্তা করুন কোন বিষয়টির দরুণ এত বছর হয়ে যাওয়ার পরও বিবাহ হচ্ছে না! সমস্যাটি নির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত করুন, এরপর এর সমাধান করুন, পাশাপাশি পারিবারিকভাবে দ্রুতবিবাহের চেষ্টা ও আমল চালিয়ে যান ইনশাআল্লাহ, আপনার দ্রুত বিবাহ হবে।
কিছু বিষয় আপনাকে একটু মানসিক শান্তি ও আল্লাহর প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে—
★আল্লাহর পরিকল্পনার প্রতি বিশ্বাস
আমরা সবসময় যা চাই, তা হয়তো আমাদের জন্য ভালো নয়। আল্লাহ বলেন: “সম্ভবত তোমরা কোনো জিনিসকে অপছন্দ কর, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; আর কোনো জিনিসকে ভালোবাসো, অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আল্লাহ জানেন, আর তোমরা জানো না।” (সূরা বাকারা: ২১৬)।
হয়তো আপনার জন্য আরও ভালো কিছু সংরক্ষিত আছে, যেটি এখনো সময় হয়নি।
★ইবাদতকে শুধু ফলাফলের সাথে না জড়িয়ে করা।
ইবাদত মানে শুধু দুনিয়ার ফায়দা পাওয়ার জন্য নয়; বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য।
যখন আমলকে আল্লাহর কাছে ঘনিষ্ঠ হওয়ার উপায় মনে করবেন, তখন ধীরে ধীরে তাঁর প্রতি ভালোবাসা ফিরে আসবে।
★আল্লাহর কাছে খোলাখুলি মোনাজাত করা।
নিজের কষ্ট, রাগ, হতাশা—সব খুলে বলুন। রাসূল ﷺ বলেছেন: “দোয়া হলো ইবাদতের আসল।”
আপনি বলতে পারেন: “হে আল্লাহ, আমি দুর্বল, আমি ক্লান্ত, আমার অন্তর শক্ত করুন, আমার আস্থা ফিরিয়ে দিন।”
★কৃতজ্ঞতার অনুশীলন।
যদিও বড় কিছু (যেমন বিয়ে) হয়নি, কিন্তু ছোট ছোট নেয়ার্মতগুলো গুনুন—স্বাস্থ্য, ইমান, খাবার, পরিবার ইত্যাদি। এগুলোর প্রতি সচেতন হলে মনে শান্তি আসতে শুরু করে।
★ধৈর্য ও আল্লাহর প্রতিশ্রুতি।
আল্লাহ বলেন: “ধৈর্যশীলদেরকে তাদের প্রতিদান অগণিত হিসাব ছাড়াই দেওয়া হবে।” (সূরা যুমার: ১০)।
আপনার ধৈর্য একদিন আল্লাহর কাছে বড় পুরস্কারে রূপ নেবে, এটাই নিশ্চিত।
★মানসিক স্বস্তির জন্য ব্যবহারিক পদক্ষেপ
নফল ইবাদত (তাহাজ্জুদ, কুরআন তিলাওয়াত) শুরু করুন সামান্য করে।
ভালো বই পড়ুন বা এমন পরিবেশে থাকুন যেখানে মানুষ আল্লাহর কথা সুন্দরভাবে বলে।