আসসালামু আলাইকুম উস্তায।
একজনের বিয়ের আলাপে মাযহাব নিয়ে এই কথা হয়েছিলো। কিন্তু নিচের দুইটা বিষয় নিয়ে অনেক দ্বীধায় থাকায় সামনে কথা বাড়াতে পারছে না।যদি পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতেন-
❝আমি মাজহাব সম্পর্কে জানাচ্ছি জানানোর আগে কিছু কথা বলতে চাই সেটা হল আমার বংশ সালাফি মানহাজের অর্থাৎ আহলে হাদিস যাকে বলা হয় আমিও সালাফী মানহাজে বিশ্বাসী ছিলাম অর্থাৎ আহলে হাদিস ছিলাম আমার বংশের সিলসিলা অনুসরণ করে কিন্তু এখন আমি চার মাযহাবের যে কথাগুলো কোরআন সুন্নাহর সঙ্গে মিলে যাবে সেটাই আমার মাযহাব এক কথায় কোরআন-সুন্নাহর অনুসারী এই নীতি ৪ ইমামের চারজনেই অনুসরণ করেছে এবং তারা বলেছে তাদের যে কথাগুলা কোরআন সুন্নাহর সাথে মিলে যাবে সেটাই তাদের মাজহাব। আমি একনিষ্ঠ ভাবে কোরআন সুন্নাহ অনুসরণ করতে চাই আর কুরআন-সুন্নাহ অনুসরণ করতে গিয়ে যে মাযহাবের সঙ্গেই মিলে যাবে সেটাই আমার মাযহাব এটাই তার ইমামের মত ছিল আর এটাই আমার মত।চার ইমামের নাম বলতেছি ইমাম আবু হানিফা ইমাম শাফি ইমাম মালেক ইমাম হাম্বল এই চার ইমামের একই কথা ছিল এই আমার যে কথাগুলো কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে মিলে যাবে সেটাই আমার মাযহাব।মাযহাব সম্পর্কে তাদের এই বক্তব্য ছিল বা আকিদা বিশ্বাস সম্পর্কে আর এটাই আমার কথা।
নির্দিষ্টভাবে এক মাযহাবের অনুসরণ করা এবং অন্য মাযহাবের কিছু কিছু বিষয় কোরআন হাদিসের সঙ্গে মিলে যাওয়ার পরেও সেগুলোকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করাটা এক ধরনের গোড়ামী।
কোরআন সুন্নাহ টা বুঝাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এবং মাযহাব গুলোকে কোরআন সুন্নাহ বোঝার জন্য সহায়ক হিসেবে গ্রহণ করা আমাদের দায়িত্ব কারন তারা যেভাবে কোরআন হাদিস গবেষণা করেছে সেই ভাবে গবেষণা করার সুযোগ আমাদের নেই এই জন্য তাদের মন্তব্য গুলো তাদের গবেষণাগুলো আমাদের জন্য সহায়ক❞
এই অভিমত থেকে কিভাবে বুঝবো উনি কোন মাযহাবের অনুসারী?
@❝আমার বন্দী হওয়ার বিষয়ে আমি জানাচ্ছি কারণ ছিল যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে নিয়ে এবং তার চরিত্র নিয়ে উলটপালট কথা বলতে ছিল অর্থাৎ যে সমস্ত ব্লগার নাস্তিকেরা যারা কোন স্রষ্টাই বিশ্বাসী না বিভিন্নভাবে রাসূলের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করতে ছিল এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করতেছিল সেই ব্লগার নাস্তিকদের যারা বিরোধীতা করতেছিল আমি তাদেরকে সাপোর্ট দিয়েছিলাম এটাই ছিল আমার অপরাধ আর ব্লগার নাস্তিক বলা হয় তাদেরকে যারা কোন স্রষ্টাই বিশ্বাসী না তারা মনে করে তারা কলা গাছের মত আপনা আপনি হয়ে গেছে❞--এই ইস্যুতে গত ৮ বছর বন্দী ছিলো,আয়না ঘরেও রাখা হয়েছিলো নাকি।এ বছর রোজায় ছাড়া পেয়েছে।এখনো মামালা মিমাংসা হয় নি।হাজিরা দেওয়া লাগে।
এই দুই ক্ষেত্র বিবেচনায় বিয়ের কথাবার্তা কি সামনে এগিয়ে নেওয়া ঠিক হবে।যদি একটু বিস্তারিত জানাতেন