আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in পবিত্রতা (Purity) by (24 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম। 

২-৩ বছর ধরে আমার ১০দিন+ হায়েযের সমস্যা চলছে এবং তুহুরের সময়ে পূর্ণ সাদা থাকে না ইস্তেহাযা চলতে থাকে।
আমি হায়েয নিয়ে অনেক পড়াশোনা করেছি ও অনেক প্রশ্নের উত্তর দেখেছি। তুহুরের ১৫ দিনের পরবর্তী সময় নিয়ে দুটি মাসআলা দেখেছিঃ (দুজন মুফতি দু'রকম মাসআলা দিয়েছেন এই ifatwa তেই)
(ক) ১৫ দিনের পর যখনই অন্য রঙ দেখা যাবে, তখন থেকে হায়েয গণনা শুরু করতে হবে। তারপর যতবারই সাদাস্রাব আসুক, যদি ১০ দিনের ভিতর হয় সবই হায়েযের ভিতর গণ্য হবে। 
(খ) ১৫ দিনের পর যখন অন্য রঙ দেখা যাবে, তার ৩ দিনের ভিতর যদি আবারও সাদাস্রাব আসে; তাহলে ঐ রঙকে ইস্তেহাযা ধরতে হবে - কারণ ৩ দিনের কমে হায়েয হয় না। 

আমি এখন (খ) এর উপর আমল করি, কারণ সর্বশেষ মুফতি এই মাসআলা দিয়েছিলেন। তাই এর উপর আমার বর্তমান সমস্যার সমাধান দেবার একান্ত অনুরোধ রইলো।
কারণ কিছু প্রশ্ন অনেকদিনের জমা, বোঝার সুবিধার্থে একটু ডিটেইলস লিখছি। 

আমার বর্তমান অবস্থাঃ  

  • পিরিয়ডের সময় মূল রক্ত (যা লাল রঙের হয়) সবসময়ই ৫-৭ দিনের মত থাকে। এর বেশি সাধারণত হয়না। 
  • কিন্তু বাকি সময়ে অল্প পরিমাণে হলুদ স্রাব যেতে থাকে, সাদা স্রাব মাঝে মাঝে থাকে। 
  • গত ২-৩ মাস ধরে ১০ দিন হায়েয, ১৫ দিন তুহুর মোটামুটি এভাবেই চলছে। ১৫ দিনের পর কখনো সাথে সাথে, কখনো ১-২ বেলা পর হলুদ স্রাব দেখতে পাই (তখন হায়েয গণ্না শুরু করি)। 
  • হায়েয গণনার পর মূল লাল রক্ত আসতে আসতে প্রায়ই ৪-৫ দিন লেগে যায়। 
  • আমার এই সমস্যা শুরু হবার আগে দুই মাসের রক্ত (অর্থাৎ লাল রক্ত)  সাধারণত ২৫-২৬ দিনের ব্যবধানে আসতো। এখনও তাই আসে। (অর্থাৎ হলুদ যতদিনই থাকুক, লাল মূল রক্তের ক্ষেত্রে নিয়ম ঠিক আছে বলা যায়) 

আমার বর্তমান সমস্যা ও প্রশ্নঃ 
১।উপরের নিয়ম অনুসারে এ মাসের ১৪.০৮ ইং তারিখে ৩ঃ৫০ এর দিকে আমার তুহুর শেষ হবার কথা। কিন্তু আমি হিসেব ভুলে গিয়ে চেক করতে ভুলে যাই এবং ১৫.০৮ ইং দুপুর ৩.০০ এর দিকে চেক করে হলুদ স্রাব দেখতে পাই। তারপর প্রতি ওয়াক্তেই হলুদই দেখতে পাচ্ছি।
গতমাসেও ১৫ দিন শেষ হবার আগেই হলুদ চলছিল, তাই গত মাসে ১৫ দিন শেষ হবার সাথে সাথে হায়েয গণনা শুরু করি।
তাই আমার বিশ্বাস যে ১৪ তারিখে চেক করলে আমি হলুদই দেখতে পেতাম। এখন আমি হায়েয কি ১৪ তারিখ থেকে ধরবো নাকি ১৫ তারিখ?

২। আবার গতকাল ১৮.০৮ ইং তারিখে (কখন মনে করতে পারছি না, সকালে হবার সম্ভাবনা আছে) চেক করে হলুদ দেখি না। আবার সাদা স্রাবও আসেনি (একটু ভেজা ভেজা, কিন্তু হলুদ নয়, ঠিক স্রাবও নয়)। এর পর আবারও হলুদ আসতে থাকে। 
তারপর আজ দুপুরে আবার চেক অল্প কিন্তু সম্পূর্ণ সাদা দেখতে পাই। (আবার কিছুক্ষণ পর হলুদ চলে আসবে জানা কথা) 
এভাবে গণনা শুরুর পর হলুদের মাঝে ১-২ ঘন্টা যদি স্রাব আসা পুরোপুরি বন্ধ থাকে (প্রায় শুকনো অবস্থা। ভেজা ভেজা কিন্তু ঠিক স্রাব নয়) তা কি তুহুরের সময় নির্দেশ করবে নাকি সেটাও হলুদের অবস্থাতেই গণ্য হবে? 

৩। এভাবে ১৫ দিন তুহুর ১০ দিন হায়েয নিয়মে যদি চলতে থাকি একসময়ে হলুদ স্রাবের সময়ে হায়েয এবং লাল স্রাবের সময়ে তুহুর চলে আসবে। কারণ, আমার সাধারণত ২৬-২৮ দিন পর পর লাল রক্ত আসে। (যেমন গতমাসেই হায়েযের ১০ দিন পার হবার পর ২-১ দিন রক্ত ছিল, অথচ শুরুর ৪-৫ দিন কেবল হলুদ ছিল কোন লাল রক্ত ছিল না। এবং এবারও ৪-৫ দিন পেরিয়ে গেছে লাল রক্ত আসেনি)। 
এটা কি এমনই হবার কথা? 

বোঝার সুবিধার্থে একটু ডিটেইলস লিখেছি। উত্তরগুলো যদি নির্দিষ্টভাবে দেওয়া যায় তাহলে খুবই উপকৃত হবো। আল্লাহ আপনাদের দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম থেকে উত্তম বদলা দান করুন। 

1 Answer

0 votes
ago by (693,030 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দুই হায়েযের মাঝখানে পাক থাকার মুদ্দৎ কমের পক্ষে পনের দিন, আর বেশীর কোন সীমা নাই। অতএব, যদি কোন মেয়েলোকের কোন কারণবশতঃ কয়েক মাস যাবৎ হায়েয বন্ধ থাকে, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ঋতুস্রাব না হইবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে পাক থাকিবে।

(১৩) মাসআলাঃ 
যদি কোন মেয়েলোকের তিন দিন তিন রাত রক্ত দেখা যায়, তারপর ১৫ দিন পাক থাকে; আবার তিন দিন তিন রাত রক্ত দেখে, তবে আগেকার তিন দিন তিন রাত এবং পনের দিনের পর তিন দিন তিন রাত হায়েয ধরিবে। আর মধ্যকার দিন পাক থাকার সময়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার বিবরণ পেশ করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন। যাইহোক, 
রক্তস্রাব ১০ দিনের বেশী হলে পূর্বের আদত যদ দিনের তত দিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত পবিত্রতার গণনা করবেন। তারপর থেকে আবার হায়েয গণনা করা হবে। যদি কোনো মহিলার প্রথম যখন হায়েয শুরু হয় তখন থেকে যদি ধারাবাহিক রক্তস্রাব চলতেই থাকে, তাহলে প্রতি মাসের প্রথম ১০ দিন হায়েয এবং বাদবাকী ইস্তেহাযা গণনা করা হবে।

আপনি খ শাখায় বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী আমল করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...