আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আমি জেনারেল লাইনের স্টুডেন্ট। আমার আশে পাশে এমন কেউ নাই যে যার কাছে ঈমান নিয়ে জানার চেষ্টা করব।এমন পরিবেশে বাস করি যেখানে খুব ভয়ে থাকি ঈমান ঠিক আছে কিনা ভেবে।আমি কিছু প্রশ্ন নিয়ে জানার চেষ্টা করতেছি।

১।ইসলামের কোন বিষয়ে সবার কথাকে বিশ্বাস করা কি উচিত।অনেকে ভুল হাদিস বলে,অনেকে বিদআতি কথা বলে,অনেকে বলে ওসব করলে শিরক হবে ইত্যাদি ।কিন্তু বাইরে সবাই এসব করে থাকে।ছোট শিরক বা কবিরা গুণাহ ভেবে  সু স্পষ্ট ধরণা বা সঠিক জানা না থাকার কারনে মানে কোন ধরনের শিরক বা কুফরি   না জেনে কেউ যদি ওসব শিরকি কাজ করে ফেলে বা বলে ফেলে পরে জানার পর তওবা করে ফেলে তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?
২।ঈমানের বিষয়ে কেউ জানার চেষ্টা করতে করতে যদি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে এবং আর জানার চেষ্টা না করে এটা কি তার ইচ্ছাকৃত না জানতে না চাওয়ার কারন হবে আর জানতে চেষ্টা না করার কারণে ভুলে ভবিষ্যতে আবার যদি বড় কুফরি বা শিরকি কিছু বলে ও করে ফেলে তারপর তওবা করলে কি ঈমানে সমস্যা হবে?

৩।কেউ ঈমান চলে যাওয়ার কারণ বিস্তারিত না জেনে ওরকম কাজ করে ফেললে ।পরে ঈমান জানার চেষ্টা করতে করতে ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়ে পরলে  সে আর জানার চেষ্টা না করে আগের সব কিছুর জন্য তওবা করলে কি হবে নাকি ঈমান চলে যাবে?
৪।ঈমান নিয়ে এখনো বিস্তারিত না জানা মানুষ।জানার চেষ্টা করতে করতে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত হয়ে গেলে সে যদি আর জানার চেষ্টা না করে।পরবর্তীতে ঈমান ভাঙার মত কাজ করে ফেললে, করেছে কিনা বুঝতেও না পারলে মানে ইচ্ছেকৃত না করলে সে কোনদিন আর জানার চেষ্টা না করে তওবা করে করে থাকলে সব গুনাহের জন্য তার ঈমান ও বিয়ে কি ঠিক থাকবে?

৫।কোন ব্যাক্তি ঈমান নিয়ে বিস্তারিত জানে না।জানার চেষ্টার পর সে যদি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে তারপর আর জানার চেষ্টা না করে।ভবিষ্যতে যদি কুফরি কিছু বলে ও করে ফেলে সেগুলোর জন্য ঈমান চলে যেতে পারে এমন কিছু।সে যদি আর কারো কাছে জানার চেষ্টা না করে তওবা করে তাহলে কি তার ঈমান ও বিয়ে  ঠিক থাকবে?

৬।এসব জানার চেষ্টা বা ঘাটাঘাটি না করলে পরে ভাল হলে।তখন আবার জানার চেষ্টা করলে আবার এমন ওয়াসওয়াসা আসে এমন ব্যাক্তি কোনদিন কিছু জানার চেষ্টা না করে তওবা করে করে থাকলে হবে?

৭। কারো মানে কোন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত মানুষের  বার বার একটু পর পর একটা একটা না জেনে করা কুফরি করার কথা মনে পড়লে সে বার বার তওবা করবে নাকি ডেইলি ২-৩ বার করলে হবে?

1 Answer

0 votes
by (693,030 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।


আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।

https://idaars.com/courses/waswasa/


বিঃদ্র

ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 457 views
...