আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
334 views
in সালাত(Prayer) by (3 points)
আমার ঘরে আমি, আমার মা আর দুই বোন থাকি৷ পুরুষ মানুষ আমি একাই৷ এক্ষেত্রে কি ঘরে মা বোনদের নিয়ে জামাত এ নামাজ পড়তে পারব? আর এ জামাতে কি ইকামত দিতে হবে?

 আর ইমাম হওয়ার জন্য কি কোন শর্ত আছে?

1 Answer

+1 vote
by (709,320 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

নামায ঘরে না পড়ে মসজিদে পড়াই সওয়াব বেশী।পুরুষদের জন্য মসজিদে মুসলমানদের জামাতের সাথে নামায পড়াই পরিপূর্ণ নামায।এমনকি বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিবও বটে।কেননা আ'মলের মাধ্যমে আ'যানের জবাব দেয়া ওয়াজিব।

এ জন্য কোনো পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন না।উনার জন্য জায়েয হবে না।হ্যা প্রয়োজনে ঘরে নামায পড়া যাবে।

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻘﺪ ﻫﻤﻤﺖ ﺃﻥ ﺁﻣﺮ ﺑﺎﻟﺼﻼﺓ ﻓﺘﻘﺎﻡ ﺛﻢ ﺁﻣﺮ ﺭﺟﻼ ﻓﻴﺼﻠﻲ ﺑﺎﻟﻨﺎﺱ ﺛﻢ ﺃﻧﻄﻠﻖ ﻣﻌﻲ ﺑﺮﺟﺎﻝ ﻣﻌﻬﻢ ﺣﺰﻡ ﻣﻦ ﺣﻄﺐ ﺇﻟﻰ ﻗﻮﻡ ﻻ ﻳﺸﻬﺪﻭﻥ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﺄﺣﺮﻕ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺑﻴﻮﺗﻬﻢ ﺑﺎﻟﻨﺎﺭ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আমার ইচ্ছা হয় যে, আমি কাউকে মসজিদের ইমাম নির্ধারন করে দেই যাতেকরে মসজিদে জামাত অনুষ্টিত হয়।অতঃপর অামি কিছু লোককে সাথে নিয়ে-যাদের সাথে লাকড়ি থাকবে- ঐ সমস্ত লোকদের বাড়িতে যাই, যারা জামাতে শরীক হয়নি।অতঃপর আগুন লাগিয়ে তাদের বাড়ীঘর-কে জ্বালিয়ে দেই।

(সুনানু আবি-দাউদ-৫৪৮)

এরা ঐ সমস্ত লোক,যারা নিজ ঘরে নামায আদায় করে নিতো।অথচ রাসূলুল্লাহ সাঃ চাইতেন, তারা যেন মুসলমানদের সাথে মসজিদে এসে নামায পড়ে।

এ জন্য ইবনে মাসউদ রাযি বলতেন,

( ﻣﻦ ﺳﺮﻩ ﺃﻥ ﻳﻠﻘﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻏﺪﺍً ﻣﺴﻠﻤﺎً ﻓﻠﻴﺤﺎﻓﻆ ﻋﻠﻰ ﻫﺆﻻﺀ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺕ ﺣﻴﺚ ﻳﻨﺎﺩﻯ ﺑﻬﻦ )

যে ব্যক্তি চাইবে যে, সে আগামিকাল আল্লাহর সাথে মুসলমান হিসেবে সাক্ষাত করুক,সে যেন ঐ সমূহ নামাযকে যত্নসহকারে আদায় করে, যেগুলোর দিকে মুসলমানদেরকে ডাকা হয়।

অর্থাৎ যে স্থানে আযান হবে সে যেন ঐ স্থানেই নামায পড়ে নেয়।

জুম্মার নামায সাধারণত মসজিদেই পড়তে হবে, নতুবা জুম্মা আদায় হবে না।কেননা জুম্মা ওয়াজিব হওয়ার শর্ত সমূহের মধ্যে একটি শর্ত হল, মসজিদ হওয়া।

নফল নামায ঘরে পড়াই উত্তম।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,ফরয ব্যতীত যে নামায ঘরে পড়া হয়,সেগুলোই উত্তম নামায।

এ হিসেবে ঐ সমস্ত নফল যেগুলোকে মসজিদে পড়তে হয়,যেমন- তাহিয়্যাতুল মসজিদ,সালাতুল কুসুফ ও খুসুফ ইত্যাদি ব্যতীত বাদবাকি নফল ঘরে পড়াই উত্তম।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

সুতরাং কারো জন্য কাছে মসজিদ থাকাবস্থায় ঘরে নামায পড়া ঠিক হবে না।তবে যদি মসজিদ বেশ দূরে থাকে বা বিশেষ কোনো সমস্যা থাকে তাহলে ঘরে নামায পড়া যাবে।

তখন আপনি ইমাম হয়ে নামায পড়াতে পারবেন।

ইমামের জন্য শর্ত হল,

জ্ঞান সম্পন্ন বালিগ পুরুষ হওয়া এবং সাথে সাথে নামায আদায় হয়ে যায় সেই পরিমাণ সূরা-ক্বেরাত ও মাস'আলা মাসাঈল জানা থাকা।এবং উপস্থিত সকলের মধ্যে ক্বেরাত বিশুদ্ধ থাকা।

আপনি প্রথমে দাড়াবেন।

তারপরের কাতারে ঘরের অন্যান্য পুরুষ বা আপনার ছোট্ট ছেলে দাড়াবে।তার পরের কাতরে ঘরের অন্যান্য মহিলারা দাড়াবে।যদি ঘরে আপনি ব্যতীত আর কোনো পুরুষ না থাকে,তাহলে আপনার পরের কাতারে মহিলারা দাড়াবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তাদ, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য এ প্রশ্নটি করা৷ এখন ঢাকার সব মসজিদই বন্ধ মুসল্লিদের জন্য

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...