https://ifatwa.info/96967/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
শরীয়তের মূলনীতি হল, পুরুষ যাবে পুরুষ ডাক্তারের কাছে, মহিলা যাবে মহিলা ডাক্তারের কাছে। যদি পুরুষ ডাক্তার পাওয়া না যায়, তাহলে মহিলা ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারবে। অনুরূপভাবে মহিলার জন্যও যদি মহিলা ডাক্তার না পাওয়া না যায়, তাহলে পুরুষ ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারবে। (সারাখসী, আল-মাবসূত ১০/১৫৬ ; কাসানী,বাদাই ৫/১২২)
হযরত আনাস ইবনু মালিক রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كان رسول الله ﷺ يغزو بأم سليم ونسوة من الأنصار معه إذا غزا فيسقين الماء ويداوين الجرحى
রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন অভিযানে বের হতেন তখন তিনি উম্মু সুলাইম রাযি. ও কিছু আনসারী মহিলাকে সাথে নিয়ে যেতেন। তাঁরা পানি পরিবেশন করতেন এবং আহতদের চিকিৎসা করতেন। (মুসলিম ১৮১০)
এ হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী রহ. বলেন,
وهذه المداواة لمحارمهن وأزواجهن ، وما كان منها لغيرهم لا يكون فيه مس بشرة إلا في موضع الحاجة
এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, যুদ্ধক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে মেয়েদের বের হওয়া এবং পানি পরিবেশন ও চিকিৎসা প্রভৃতি কাজে তাদেরকে খাটানো জায়িয। তারা মাহরাম ও স্বামীদের চিকিৎসা ও সেবা করবে। অন্যদেরও সাধারণভাবে স্পর্শ করা ছাড়া চিকিৎসা করতে পারবে; তদুপরি জরুরতের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় স্থান স্পর্শ করতেও কোন অসুবিধা নেই। (নববী, শরহু মুসলিম, পৃ ৫১১)
ইবনু হাজার আসকালানী রহ. বলেন,
فيه جواز معالجة المرأة الأجنبية الرجل الأجنبي للضرورة
এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে মহিলার জন্য বেগানা পুরুষের চিকিৎসা করা জায়িয হবে। (ইবনে হাজার, ফাতহুল বারী ৬/৮০)
সুতরাং কোনো মহিলা ডাক্তার পুরুষ রোগীকে চিকিৎসা দিতে পারবেননা।
সেই এলাকায়/জেলায় সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞ কোনো পুরুষ ডাক্তার না থাকে, শুধুমাত্র উক্ত মহিলা ডাক্তারই সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞ হয়ে থাকে, এমতাবস্থায় বিশেষ প্রয়োজনে পুরুষ রোগী আসলে তাকে সেই বিজ্ঞ মহিলা ডাক্তার দেখতে পারবে।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/2938/
,
https://www.ifatwa.info/3716 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ, এর নিম্নোক্ত আলোচনা অতিলক্ষণীয়.................
إذا كان المرض في سائر بدنها غير الفرج يجوز النظر إليه عند الدواء، لأنه موضع ضرورة، وإن كان في موضع الفرج، فينبغي أن يعلم امرأة تداويها فإن لم توجد وخافوا عليها أن تهلك أو يصيبها وجع لا تحتمله يستروا منها كل شيء إلا موضع العلة ثم يداويها الرجل ويغض بصره ما استطاع إلا عن موضع الجرح اهـ فتأمل والظاهر أن " ينبغي " هنا للوجوب
যদি কোনো মহিলার স্ত্রী লিঙ্গ ব্যতীত সমস্ত শরীরে রোগ হয়ে যায়, তাহলে পুরুষ ডাক্তারের জন্য উক্ত মহিলার সমস্ত শরীরে দৃষ্টি দেয়া জায়েয আছে।কেননা তখন চিকিৎসার স্বার্থে দেখাটা অতি প্রয়োজনীয় হয়ে যায়।আর যদি রোগ স্ত্রী লিঙ্গে(লজ্জাস্থানে) থাকে,তখন ওয়াজিব হয়ে যায়, কোনো মহিলাকে ডাক্তারি শিক্ষা দেওয়া, যে মহিলা পরবর্তিতে উক্ত মহিলার চিকিৎসা করবে।কিন্তু যদি কোনো মহিলা না পাওয়া যায় বা দেরী হলে উক্ত মহিলার রোগ বেড়ে যাবে বা মহিলা মারা যাবে,তখন রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থান ব্যতীত উক্ত মহিলার সমস্ত শরীর ঢেকে দেওয়া হবে,অতঃপর পুরুষ ডাক্তার উক্ত মহিলার রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থানের চিকিৎসা করবে।তবে চিকিৎসা করার সময় রোগাক্রান্ত স্থান ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত অঙ্গ থেকে নিজ চক্ষুকে হেফাজত করবে।(রদ্দুল মুহতার;৬/৩৭০--৩৭১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অপারেশন না হলে, গায়ে হাত দেয়ার প্রয়োজনিয়তা না থাকলে, পর্দার সাথে আপনি বিশেষ জরুরতে পুরুষ হয়েও মহিলা রোগী দেখতে পারবেন।
বিশেষ প্রয়োজনে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে পারবেন।
তবে কোনোক্রমেই তার গায়ে হাত দেয়া যাবেনা।
তবে শর্ত হল, ঘরে একজন বৃদ্ধ নারী বা বৃদ্ধ পুরুষ রেখে দিবেন। যাতেকরে গায়রে মাহরামের সাথে খালওয়াত না হয়। একজন নারী হেলপার রেখে দিবেন, যাতেকরে তিনি গায়ে হাত দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিতে পারেন।
বিঃদ্রঃ বিশেষ জরুরত দ্বারা ফুকাহায়ে কেরামগন বলেছেন যে, সেই এলাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার মতো কোনো বিজ্ঞ নারী ডাক্তার না থাকা।