আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম আমার  হায়েয শুরু হওয়ার পর থেকে আমার ৩য় বেবি কন্সিভ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমার কখনো ৭ দিন সর্বোচ্চ আবার কখনো ৮ দিন বা ৯ দিন সর্বোচ্চ হায়েয স্থায়ী হতো, মুটামুটি সর্বোচ্চ ৯ দিন স্থায়ী থাকতো। যখন ৭ দিন থাকতো তখন ৮ দিন থেকে নামাজ পড়তাম, যখন ৯ দিন থাকতো তখন ১০ম দিন থেকে নামাজ পড়তাম। মুটামুটি এভাবেই চলতো সবসময়। ৩য় সিজারের পর যে ব্লিডিং শুরু হয় সেটা প্রায় ৫০+ দিন স্থায়ী ছিলে, আমি ৪১ দিন থেকে নামাজ শুরু করি তখন। এরপর ডক্টর মেডিসিন দিলে সেই ব্লিডিং বন্ধ হয়, এরপর প্রায় ২ মাস মেডিসিনে থাকার পর হায়েয ১২-১৫ দিন থাকতো, আমি যতটুকুন জানি ১০ দিন পার হলে নামাজ ১১ দিন থেকে শুরু করে দিতে হবে তাই আমি ব্লিডিং নিয়েই ১১ দিন থেকে নামাজ পড়ি। এরপর বিভিন্ন কারন বশত আমাকে অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহন করতে হয়, এরপর থেকেও হায়েয ১২-১৫ দিন থাকছে, আমি ১১তম দিন থেকে নামাজ পড়ি। এখন আমার ভয় হচ্ছে যে আমার কোন নামাজ কাযা হচ্ছে কিনা বা নাপাকি নিয়ে আমি নামাজ পড়ছি কিনা? আসলে আমার কি করা উচিত? টোটাল ব্যাপারটা হলো আমার আগে সর্বোচ্চ ৯ দিনের সার্কেল ছিলো, কিন্তু  ৩য় সিজারের পর এবং ফাইনালি ৫ বছরের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রসেসে যাওয়ার পর সার্কেলটা ১২-১৫ দিন থাকছে, আর যেহেতু আমার অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রসেসটা দীর্ঘ দিনের তাই আমার সার্কেল হয়তো এমনি থাকবে তাহলে নামাজের ব্যাপারে আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। দয়াকরে সঠিক মাসালাহ দিয়ে উপকৃত করবেন ইনশাআল্লাহ। জাজাকাল্লাহ খইরন।বিশেষ দ্রষ্টব্য : ১ম বাচ্চার সময় আমার নেফাস ছিল ৩৭ থেকে ৩৮ দিন এবং দ্বিতীয় বাচ্চার সময় ৪০ দিনের বেশি। তৃতীয় বাচ্চার সময় আমার ৪১ তম দিন থেকে নামাজ পড়া কি ঠিক হয়েছে?
আরো জানতে চাই যদি এমন হয় যে সাড়ে চারটা পর্যন্ত যোহরের ওয়াক্ত থাকে এবং আমার হায়েজ শেষ হয় এমন সময় যে গোসল করে নামাজ পড়ার টাইম থাকে না। তাহলে কি আমার ওই জোহরের নামাজ কাজা আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (714,510 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখন যেহেতু একাধানে ৫০/৬০ দিন পর্যন্ত হায়েয হচ্ছে, তাই আপনি প্রতি মাসে ১০ দিন হায়েয এবং অতিরিক্ত ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 231 views
...