আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)

আসসালামু আলাইকুম,


হুজুর, প্রায় সব সময়ই আমার তা* এর চিন্তা আসে। স্বাভাবিক কথা বার্তায় ও আমি ভাবতে থাকি যে এর মধ্যে তা* জাতীয় কোন কিছু বুঝায় কিনা।


কিছু উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করি:
* আমি ঔষধ কোম্পানি তে চাকরি করি, অফিসের কাজের জন্য অফিসে বিভিন্ন ধরনের ফর্ম ব্যবহার হয়। অফিসের কিছু ফর্ম আমার কাছে থাকে। অফিসের কেউ আমার কাছে অফিসের ফর্ম চাইল, আমি অফিসের লোক কে জিজ্ঞেস করলাম কয়টা ফর্ম (অফিসের) দিব। অফিসের লোকটি বললো, "একটি ফর্ম (অফিসের)দিলেই হবে"
তখন আমার পেরিশানি লাগে, আমার চিন্তা হয় "কি হবে"? এতে কি তা* জাতীয় কোন সমস্যা হবে? আমি অফিসের ওই লোকের কাছে জিজ্ঞেস করি, অফিসের একটি ফর্ম দিলেই তো আপনার অফিসের কাজটি হবে? (মানে কনফার্ম হওয়ার চেষ্টা করি অফিসের লোকটি কি বুঝাতে চাইছে) এই রকম চিন্তা আমার প্রায় সারাদিন ই হয়। আমি পেরেশান।

প্রশ্নের মূল বিষয় :
ধরেন "অনেক মানুষ বিমানে কক্সবাজার ঘুরতে যায়, আর আমি বাসে করে কক্সবাজার ঘুরতে যাই" এই কথা অনেকেই এইভাবে বলে যে "মাইনসে বিমানে কক্সবাজার ঘুরতে যায় আর আমি বাসে করে কক্সবাজার ঘুরতে যাই" "এই "মাইনসে" কি কোন ভাবে কেনায়া শব্দ? তা* এর নিয়ত ছাড়া স্ত্রীকে "মাইনসে বললে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হয়?"  আজকে বাসায় চুপ করে বসে বসে এই ধরনের চিন্তা করতেছিলাম। পাশে থেকে আমার স্ত্রী আমকে জিজ্ঞেস করতেছিল, "এই তুমি কি ভাবতেছ?" আমি চুপ করেই রইলাম। আমার স্ত্রী বলে, "বলো তুমি কি ভাবতেছো" তখন আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, "আমি দোযখের কথা ভাবতেছি (তখন চিন্তা আসতেছিল দোযখ তো খারাপ জিনিস, দোযখ সম্পর্কে ভাবা মানেই কি তা* সম্পর্কিত বিষয় ভাবা?)" আমার স্ত্রীকে এর পর বললাম, "জান্নাত সম্পর্ক ভাবতেছি, কবর সম্পর্কে ভাবতেছি, কবরের আযাব হয়, সেই কবরে কেমনে থাকবো এগুলি ভাবতেছি, এইটা (এই ভাবনাগুলি, যেটা বলতেছিলাম দোযখের ভাবনা, জান্নাতের ভাবনা, কবরের আযাবের ভাবনা) কেমনে বলবো?" এর পরেই চিন্তা আসতেছিল, "দোযখ, জান্নাত, কবরের আযাব এই বিষয়গুলির ভাবনার কথা বললে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?" পাশে থেকে আমার স্ত্রী আমাকে বলতেছিল, "তুমি জান্নাত, জাহান্নাম ভাবনা ভাবতেছোনা বুঝা যায়" পরে আমি এই বিষয়ে চুপ ছিলাম।

প্রশ্ন: ক) আমি দোযখ, জান্নাত, কবরের ভাবনার কথা বললে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?


প্রাশ্ন: খ) "মাইনসে" কি কেনায়া শব্দ? তা* এর নিয়তে স্ত্রীর ক্ষেত্রে মাইনসে শব্দ ব্যবহার করলে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?


প্রশ্ন: গ) স্ত্রীর ক্ষেত্রে মাইনসে শব্দ ব্যবহার এর সময় তা* এর চিন্তা আসলে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?


পশ্ন: ঘ) তা* এর নিয়ত ছাড়া স্ত্রীর ক্ষেত্রে মাইনসে শব্দ ব্যবহার করলেনকি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?

 

পশ্নের মূল বিষয়:
উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলি ভাবতে ভাবতে আমি রাস্তা দিয়ে হাটতে ছিলাম। পরে আমার ভাতিজিকে ফোন দেওয়ার কথা চিন্তা করলাম। ও মেডিকেলে পড়ে। ওর কলেজের কোন বিষয়ে কথা বলার জন্য ওকে ফোন দিলাম। আমি মাঝে মাঝে ফোন দেওয়ার আগে বিসমিল্লাহ / বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলি। আমার প্রবল ধারণা ওকে ফোন দেওয়ার আগে আমি বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলেছি। ও ফোন ধরেনি। ফোন দেওয়ার পরে আমার চিন্তা আসতেছে, ফোন দেওয়ার আগে যে আমার ঠোঁট নরল, আমার মুখ দিয়ে কি "তা" জাতীয় কোন কিছু উচ্চারিত হয়ছে?

প্রশ্ন: ঙ) উপরের ফোন দেওয়ার প্রেক্ষাপটের যে প্রশ্নের বিষয়টি,  এতে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হয়েছে?

 

প্রশ্নের মূল বিষয়
কিছুদিন আগে অফিসের কলিগ আমার কাছে দশ হাজার টাকা ধার চায়। শুনলাম ওই টাকা ব্যংকে জমা দিয়ে টাকা লোন নিবে। ভাবলাম এইটা সুদ বিষয়ক পাপ হতে পারে।আমি বললাম, "অন্য জায়গায় টাকা খুঁজেন। টাকা না পেলে আমি দিবো" একটু পরে ঐ কলিগ আবার টাকার জন্য আসছে। পরে বললাম আমি কিছু টাকা দেই। ঐ কলিগ বললো, তাকে টাকা দিলে নাকি দশ হাজার টাকাই দেওয়া লাগবে। তখন মাথায় চিন্তা আসতেছিল, "তাকে পুরো দশ গাজার টাকা না দিলে কি আমার বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?" পরে আমি তাকে বললাম, "আমি আপনাকে পুরো টাকা না দিলেও কোন সমস্যা নেই, আমি আপনাকে পাচ হাজার টাকা দেই, আর বাকি টাকা অন্য কারো থেকে নেন।"  পরে আমি তাকে পাচ হাজার টাকা ওনার ব্যংক একাউন্ট এ ট্রান্সফার দেই। কিছুক্ষণ পরে খুব খারাপ লাগতেছিল, যে এই টাকা দেওয়ার মাধ্যমে তো সুদে সহযোগিতা হলো, আর আমি সুদ পছন্দ করি না। পরে ঐ কলিগের সাথে দেখা করে আমার টাকা নিয়ে নেই।


প্রশ্ন: চ) আমি ঐ কলিগ কে তো বলছিলাম পুরো টাকা না দিলেও কোন সমস্যা নেই। ঐ কলিগ কে কোন টাকা না দিলে কি কোন সমস্যা হবে? অথবা কলিগকে টাকা দিয়ে যে আবার টাকা নিয়ে নিলাম এতে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?

 

প্রশ্নের মূল বিষয়:
অফিসের কাজের ডকুমেন্টস তৈরী করে বস কে দেই। বস বলতেছিলো অফিসের কাজের ডকুমেন্টস টি তে কিছু আপডেট করতে। আমার মনে হচ্ছিল আমার বসের ব্যাখ্যা সঠিক নয়। পরে আমি আমার বসকে বললাম, আমি অফিসের কাজটি বুঝি না। বস বললো, "না বুজলে কেমনে হবে?" তখন চিন্তা আসতেছিল উনি, কি হওয়া / না হওয়ার কথা বলতেছে? উনি কি তা* সংক্রান্ত কিছু বুঝাইছে?
পরে নিজেকে বুঝালাম উনি অফিসের কাজটি হওয়া না হওয়ার কথা বুঝাইছে। এবং আমি বসকে আবারো বলতে চাইছিলাম, "না, আমি অফিসের কাজটি বুঝি না"। কিন্তু শুধু "না" শব্দ বলার সময় বস যেন কি কথা বললো এবং "আমি অফিসের কাজটি বুঝি না" এইটুকু তখন আর বলি নি।  তারপর লাঞ্চ এবং নামাজের পর বস কে জিজ্ঞেস করতেছিলাম, "আপনি বলতেছিলেন না যে, অফিসের কাজ টি না বুঝলে অফিসের কাজটি কেমনে হবে?" পরে বলে উনার মনে নাই কি বলছে।

প্রশ্ন ছ): "না, আমি অফিসের কাজটি বুঝি না" এই বাক্য বলতে চেয়ে আমি শুধু "না" শব্দ উচ্চারণ করলাম কিন্তু বস উনার কথায় কোন খারাপ জিনিস (তা* সংক্রান্ত) বুঝাইলে কি আমার বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?
মানে, বস যে বললো, "না বুজলে কেমনে হবে?" এতে বস  উনার কথায় কোন খারাপ জিনিস (তা* সংক্রান্ত) বুঝাইলে কি আমার বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?

প্রশ্ন: জ) আমি এই ধরণের চিন্তা ভাবনায় পেরাশান হচ্ছি। এই ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকে বাচার উপায় কি? আমি কি কোন হুজুরের কাছে বায়াত হবো? আমাকের ঢাকা/ঢাকার আশেপাশে কোম হক্কানি পীরের সন্ধান দিবেন দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (716,130 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...