আসসালামু আলাইকুম,
হুজুর, প্রায় সব সময়ই আমার তা* এর চিন্তা আসে। স্বাভাবিক কথা বার্তায় ও আমি ভাবতে থাকি যে এর মধ্যে তা* জাতীয় কোন কিছু বুঝায় কিনা।
কিছু উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করি:
* আমি ঔষধ কোম্পানি তে চাকরি করি, অফিসের কাজের জন্য অফিসে বিভিন্ন ধরনের ফর্ম ব্যবহার হয়। অফিসের কিছু ফর্ম আমার কাছে থাকে। অফিসের কেউ আমার কাছে অফিসের ফর্ম চাইল, আমি অফিসের লোক কে জিজ্ঞেস করলাম কয়টা ফর্ম (অফিসের) দিব। অফিসের লোকটি বললো, "একটি ফর্ম (অফিসের)দিলেই হবে"
তখন আমার পেরিশানি লাগে, আমার চিন্তা হয় "কি হবে"? এতে কি তা* জাতীয় কোন সমস্যা হবে? আমি অফিসের ওই লোকের কাছে জিজ্ঞেস করি, অফিসের একটি ফর্ম দিলেই তো আপনার অফিসের কাজটি হবে? (মানে কনফার্ম হওয়ার চেষ্টা করি অফিসের লোকটি কি বুঝাতে চাইছে) এই রকম চিন্তা আমার প্রায় সারাদিন ই হয়। আমি পেরেশান।
প্রশ্নের মূল বিষয় :
ধরেন "অনেক মানুষ বিমানে কক্সবাজার ঘুরতে যায়, আর আমি বাসে করে কক্সবাজার ঘুরতে যাই" এই কথা অনেকেই এইভাবে বলে যে "মাইনসে বিমানে কক্সবাজার ঘুরতে যায় আর আমি বাসে করে কক্সবাজার ঘুরতে যাই" "এই "মাইনসে" কি কোন ভাবে কেনায়া শব্দ? তা* এর নিয়ত ছাড়া স্ত্রীকে "মাইনসে বললে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হয়?" আজকে বাসায় চুপ করে বসে বসে এই ধরনের চিন্তা করতেছিলাম। পাশে থেকে আমার স্ত্রী আমকে জিজ্ঞেস করতেছিল, "এই তুমি কি ভাবতেছ?" আমি চুপ করেই রইলাম। আমার স্ত্রী বলে, "বলো তুমি কি ভাবতেছো" তখন আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, "আমি দোযখের কথা ভাবতেছি (তখন চিন্তা আসতেছিল দোযখ তো খারাপ জিনিস, দোযখ সম্পর্কে ভাবা মানেই কি তা* সম্পর্কিত বিষয় ভাবা?)" আমার স্ত্রীকে এর পর বললাম, "জান্নাত সম্পর্ক ভাবতেছি, কবর সম্পর্কে ভাবতেছি, কবরের আযাব হয়, সেই কবরে কেমনে থাকবো এগুলি ভাবতেছি, এইটা (এই ভাবনাগুলি, যেটা বলতেছিলাম দোযখের ভাবনা, জান্নাতের ভাবনা, কবরের আযাবের ভাবনা) কেমনে বলবো?" এর পরেই চিন্তা আসতেছিল, "দোযখ, জান্নাত, কবরের আযাব এই বিষয়গুলির ভাবনার কথা বললে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?" পাশে থেকে আমার স্ত্রী আমাকে বলতেছিল, "তুমি জান্নাত, জাহান্নাম ভাবনা ভাবতেছোনা বুঝা যায়" পরে আমি এই বিষয়ে চুপ ছিলাম।
প্রশ্ন: ক) আমি দোযখ, জান্নাত, কবরের ভাবনার কথা বললে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?
প্রাশ্ন: খ) "মাইনসে" কি কেনায়া শব্দ? তা* এর নিয়তে স্ত্রীর ক্ষেত্রে মাইনসে শব্দ ব্যবহার করলে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?
প্রশ্ন: গ) স্ত্রীর ক্ষেত্রে মাইনসে শব্দ ব্যবহার এর সময় তা* এর চিন্তা আসলে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?
পশ্ন: ঘ) তা* এর নিয়ত ছাড়া স্ত্রীর ক্ষেত্রে মাইনসে শব্দ ব্যবহার করলেনকি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?
পশ্নের মূল বিষয়:
উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলি ভাবতে ভাবতে আমি রাস্তা দিয়ে হাটতে ছিলাম। পরে আমার ভাতিজিকে ফোন দেওয়ার কথা চিন্তা করলাম। ও মেডিকেলে পড়ে। ওর কলেজের কোন বিষয়ে কথা বলার জন্য ওকে ফোন দিলাম। আমি মাঝে মাঝে ফোন দেওয়ার আগে বিসমিল্লাহ / বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলি। আমার প্রবল ধারণা ওকে ফোন দেওয়ার আগে আমি বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলেছি। ও ফোন ধরেনি। ফোন দেওয়ার পরে আমার চিন্তা আসতেছে, ফোন দেওয়ার আগে যে আমার ঠোঁট নরল, আমার মুখ দিয়ে কি "তা" জাতীয় কোন কিছু উচ্চারিত হয়ছে?
প্রশ্ন: ঙ) উপরের ফোন দেওয়ার প্রেক্ষাপটের যে প্রশ্নের বিষয়টি, এতে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হয়েছে?
প্রশ্নের মূল বিষয়
কিছুদিন আগে অফিসের কলিগ আমার কাছে দশ হাজার টাকা ধার চায়। শুনলাম ওই টাকা ব্যংকে জমা দিয়ে টাকা লোন নিবে। ভাবলাম এইটা সুদ বিষয়ক পাপ হতে পারে।আমি বললাম, "অন্য জায়গায় টাকা খুঁজেন। টাকা না পেলে আমি দিবো" একটু পরে ঐ কলিগ আবার টাকার জন্য আসছে। পরে বললাম আমি কিছু টাকা দেই। ঐ কলিগ বললো, তাকে টাকা দিলে নাকি দশ হাজার টাকাই দেওয়া লাগবে। তখন মাথায় চিন্তা আসতেছিল, "তাকে পুরো দশ গাজার টাকা না দিলে কি আমার বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?" পরে আমি তাকে বললাম, "আমি আপনাকে পুরো টাকা না দিলেও কোন সমস্যা নেই, আমি আপনাকে পাচ হাজার টাকা দেই, আর বাকি টাকা অন্য কারো থেকে নেন।" পরে আমি তাকে পাচ হাজার টাকা ওনার ব্যংক একাউন্ট এ ট্রান্সফার দেই। কিছুক্ষণ পরে খুব খারাপ লাগতেছিল, যে এই টাকা দেওয়ার মাধ্যমে তো সুদে সহযোগিতা হলো, আর আমি সুদ পছন্দ করি না। পরে ঐ কলিগের সাথে দেখা করে আমার টাকা নিয়ে নেই।
প্রশ্ন: চ) আমি ঐ কলিগ কে তো বলছিলাম পুরো টাকা না দিলেও কোন সমস্যা নেই। ঐ কলিগ কে কোন টাকা না দিলে কি কোন সমস্যা হবে? অথবা কলিগকে টাকা দিয়ে যে আবার টাকা নিয়ে নিলাম এতে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?
প্রশ্নের মূল বিষয়:
অফিসের কাজের ডকুমেন্টস তৈরী করে বস কে দেই। বস বলতেছিলো অফিসের কাজের ডকুমেন্টস টি তে কিছু আপডেট করতে। আমার মনে হচ্ছিল আমার বসের ব্যাখ্যা সঠিক নয়। পরে আমি আমার বসকে বললাম, আমি অফিসের কাজটি বুঝি না। বস বললো, "না বুজলে কেমনে হবে?" তখন চিন্তা আসতেছিল উনি, কি হওয়া / না হওয়ার কথা বলতেছে? উনি কি তা* সংক্রান্ত কিছু বুঝাইছে?
পরে নিজেকে বুঝালাম উনি অফিসের কাজটি হওয়া না হওয়ার কথা বুঝাইছে। এবং আমি বসকে আবারো বলতে চাইছিলাম, "না, আমি অফিসের কাজটি বুঝি না"। কিন্তু শুধু "না" শব্দ বলার সময় বস যেন কি কথা বললো এবং "আমি অফিসের কাজটি বুঝি না" এইটুকু তখন আর বলি নি। তারপর লাঞ্চ এবং নামাজের পর বস কে জিজ্ঞেস করতেছিলাম, "আপনি বলতেছিলেন না যে, অফিসের কাজ টি না বুঝলে অফিসের কাজটি কেমনে হবে?" পরে বলে উনার মনে নাই কি বলছে।
প্রশ্ন ছ): "না, আমি অফিসের কাজটি বুঝি না" এই বাক্য বলতে চেয়ে আমি শুধু "না" শব্দ উচ্চারণ করলাম কিন্তু বস উনার কথায় কোন খারাপ জিনিস (তা* সংক্রান্ত) বুঝাইলে কি আমার বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?
মানে, বস যে বললো, "না বুজলে কেমনে হবে?" এতে বস উনার কথায় কোন খারাপ জিনিস (তা* সংক্রান্ত) বুঝাইলে কি আমার বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?
প্রশ্ন: জ) আমি এই ধরণের চিন্তা ভাবনায় পেরাশান হচ্ছি। এই ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকে বাচার উপায় কি? আমি কি কোন হুজুরের কাছে বায়াত হবো? আমাকের ঢাকা/ঢাকার আশেপাশে কোম হক্কানি পীরের সন্ধান দিবেন দয়া করে।