আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম
এক বোনের স্বামী এনটিআরসিএ নিয়োগের মাধ্যমে জুনিয়র হাই স্কুলে চাকরি হয়। কিন্তু বোনটির সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পছন্দ নয়। এদিকে তার স্বামী এর ইচ্ছা পড়ানোর উচিলাতে দ্বীন শিক্ষা দিবেন। নজর হেফাজত শর্তে ভাইটি চাকরি করছেন। বোনটি মেনেও নিয়েছে । কিন্তু ভাইটি ক্লাস এইট এ ক্লাসটেস্ট পরীক্ষা নিয়ে একজন ছেলে ও একজন মেয়েক মার্কসের ওপর নির্ভর করে বই উপহার দেন। যেটা বোনটির পছন্দ নয়। উনার স্বামী কোনো মেয়েকে উপহার দিবেন এটা তার গাইরোতে লাগছে। উনি চান বই দিলে কোনো একজনকে নির্দিষ্ট করে নয় দিলে সবাইকেই দিবে। ভাইটির এমন আচরণে বোনটি মানসিক পীড়ায় আছেন।

এখানে আরও একটি বিষয় হলো ভাইটি তার স্ত্রীর ব্যাপারে আগ্রহী নয় আবার খারাপ ব্যবহারও করেননা। মুখে বলেন ভালবাসি কিন্তু আচরণে এমন কিছু প্রকাশ পায়না। স্ত্রীকে কখনও উপহার দেয়াতো দুর স্ত্রীর কোনকিছুর প্রয়োজন হলে ইমপালস কন্ট্রোল করতে বলেন। দিবেনা এমন বলেনা। কিন্তু উনার কোনো প্রয়োজন বা তার বন্ধু আত্মীয়স্বজনকে দেয়ার বেলায় সথে সাথএ সেই কাজটি করেন। যেমন সন্তানের + বউয়ের ওষুধ লাগবে। বউ শামীর টাকার সংকট ভেবে নিজের ওষুধ খাওয়া বাদ দিছে চাহিদা করেনা। কিন্তু সামি এদিকে স্টুডেন্টদের জন্য অনেক টাকার বই কিনেছে উপহার দিবে বলে।

বোনটি মাঝে মাঝে অভিমান করে কথা বলেনা সমীর সাথে কিন্তু উনার স্বামী রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টাও কোনোদিন করেননি। চুপ থাকেন। বোনটি একাই কান্না করে করে আল্লাহকে সব ঠিক করে দিতে বলে আবার মিটিয়ে নেন। এভাবেই চলছে । তারা  ২ জনেই দীনদার আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু স্ত্রীর ব্যাপারে ভাইটি সুন্নত পালনে গাফিলতি করেন। উনি স্বীকার করেন কিন্তু মানার চেষ্টা করেননা।
১।বোনটির করণীয় কি উস্তায? বোনটি দিন দিন খিট খিটে হয় গিয়েছে। স্বামী সাথে বহুবার খোলামেলা কথা বললেও স্বামী একইরকম।
২। স্কুলের বিষয়টি কি স্বামী যেটা করছেন সেভাবেই ঠিক করছেন? স্ত্রী কি এটা নিয়ে আপত্তি করা ঠিক হচ্ছেনা? স্ত্রী এসব বিষয় নিয়ে কিভাবে স্বামী কে বোঝাবে বা নিজেকে বুঝিয়ে শান্ত করবেন? বোনটি অস্থিরতায় আছেন। উনি শান্ত হতে চাচ্ছেন। জিকির দরুদ পড়ছেন

1 Answer

0 votes
by (709,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিয়ের পর স্ত্রীর ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষা করে স্ত্রীকে একটি বাসস্থান ও খাদ্য এবং বস্র দান করা।এটা স্বামীর উপর  স্ত্রীর অধিকার ওহক্ব এবং শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব। এ সম্পর্কে কোরআনের ঘোষনা হলঃ
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)
নারীদের সাথে সদ্ভাবে ব্যবহার করতে হলে তাদেরকে নিয়মমাফিক অন্ন-বস্র-বাসস্থান দিতে হবে। স্ত্রীর সকল সমস্যাকে নিজ কাধে তুলে নিতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রী সন্তানের জন্য খরচ না করে ছাত্রদের জন্য খরচ করা কখনো উচিত হবে না। এমনকি স্ত্রী মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দিলে সদকাহর সওয়াব পাওয়া যায়। 
যাইহোক, বর্তমান পরিস্থিতিতে  আপনি হেকমত এবং নরম ভাষায় তাকে বুঝাতে থাকুন।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻤَﻦ ﺿَﻞَّ ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻠِﻪِ ﻭَﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন হেকমত তথা জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও নরমভাবে উপদেশ শুনিয়ে, এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।(সূরা নাহল-১২৫)

এবং আল্লাহর কাছে তার হেদায়তের জন্য দু'আ করতে থাকুন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺭَﺑُّﻜُﻢُ ﺍﺩْﻋُﻮﻧِﻲ ﺃَﺳْﺘَﺠِﺐْ ﻟَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺴْﺘَﻜْﺒِﺮُﻭﻥَ ﻋَﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩَﺗِﻲ ﺳَﻴَﺪْﺧُﻠُﻮﻥَ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﺩَﺍﺧِﺮِﻳﻦَ
তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।(সূরা আল-মু'মিন-৬০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...