জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ مَعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ:
"لا تُصَلُّوا الصَّلاةَ فِي يَوْمٍ مَرَّتَيْنِ."
মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ
“তোমরা এক দিনের একই নামাজ দুইবার আদায় করো না।”
(সুনানে নাসাই (হাদীস ৮৬০), সুনান আবু দাউদ (হাদীস ৫৭৯)
عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ كَيْفَ أَنْتَ إِذَا كَانَتْ عَلَيْكَ أُمَرَاءُ يُمِيتُونَ الصَّلَاةَ اَوْ يُؤَخِّرُوْنَهَا عَنْ وَقْتِهَا قُلْتُ فَمَا تَأْمُرُنِي قَالَ صَلِّ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكْتَهَا مَعَهُمْ فَصَلِّ فَإِنَّهَا لَكَ نَافِلَةٌ.
আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, সে সময় তুমি কী করবে যখন তোমাদের ওপর শাসকবৃন্দ এমন হবে, যারা সলাতের প্রতি অমনোযোগী হবে অথবা তা সঠিক সময় হতে পিছিয়ে দিবে? আমি বললাম, আপনি আমাকে কী নির্দেশ দেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এ সময়ে তুমি তোমার সলাতকে সঠিক সময়ে আদায় করে নিবে। অতঃপর তাদের সাথে পাও, আবার আদায় করবে। আর এ সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) তোমার জন্য নফল হিসেবে গণ্য হবে।
সহীহ : মুসলিম ৬৪৮, আবূ দাঊদ ৪৩১, ইবনু মাজাহ্ ১২৫৬, তিরমিযী ১৭৬, দারেমী ১২৬৪, আহমাদ ২১৩২৪, সহীহ আল জামি‘ ৪৫৮৮।
عَنْ مَعْنِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: أَنَا وَأَبِي حَضَرْنَا الصَّلَاةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ، فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ ﷺ صَلَاتَهُ، وَإِذَا رَجُلٌ مُنْفَرِدٌ لَمْ يُصَلِّ مَعَ الْقَوْمِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ:
"أَلَا رَجُلٌ يَتَصَدَّقُ عَلَى هَذَا فَيُصَلِّيَ مَعَهُ؟"
فَقَامَ رَجُلٌ فَصَلَّى مَعَهُ.
মাআন ইবন ইয়াজিদ (রাঃ) বলেনঃ
“আমি ও আমার বাবা রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সঙ্গে নামাজে উপস্থিত হলাম। নবী ﷺ নামাজ শেষ করার পর দেখা গেল একজন ব্যক্তি জামাআতে নামাজ পড়তে পারেনি। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,
‘তোমাদের মধ্যে কে এই ব্যক্তির ওপর সদকা করবে, তার সাথে (নফল হিসেবে) নামাজ পড়ে?’
তখন একজন সাহাবি দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তার সঙ্গে নামাজ পড়লেন।”
(সুনানে আবু দাউদ (হাদীস ৫৭৪), সহীহ মুসলিম (হাদীস ৬৫৮)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যদি সেই নামাজ এর রুকু সেজদাহ অন্যান্য রুকন সঠিকভাবে আদায় করে থাকেন, সঠিকভাবে কেরাত পাঠ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে উক্ত নামাজ শুদ্ধ হয়ে গেছে।
পুনরায় আদায় করার দরকার নেই।
তদুপরি আপনি যদি সেই নামাজ পুনরায় আদায় করেন, সেক্ষেত্রে সমস্যা নেই। কারণ তারা নফল বলে গণ্য হবে।