সহীহ বুখারীর প্রথম হাদীস যা হযরত উমর রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
انما الاعمال بالنيات الخ
প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।নিয়ত ভালো থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে।আর নিয়তে কোনো প্রকার সমস্যা থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে না,এমনকি গুনাহও হতে পারে।
এবং ধোকা দেয়া হারাম।
হাদীস শরীফে এসেছে
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
অন্য এক হাদীসে এসেছে
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কাউকে ঠকানো বা ধোঁকা দেয়ার নিয়তে ভিপিএন ব্যবহার কখনো জায়েয হবে না।
তবে নিজের আত্মরক্ষার জন্য,বা কাজের সুবিধার্থে VPN ব্যবহার করা জায়েয হবে।কিন্তু যদি এমন হয় যে,সার্ভের জন্য বা ভিন্ন কোনো কাজের জন্য কয়েকটি দেশকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়,তাহলে এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশের বাহিরের কারো জন্য ভিপিএন ব্যবহার করে উক্ত সুবিধাদি গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
আরো জানুনঃ
★ প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি যদি এমন হয় যে এটার জন্য কয়েকটি দেশকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়,তাহলে এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশের বাহিরের কারো জন্য ভিপিএন ব্যবহার করে উক্ত সুবিধাদি গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
এমতাবস্থায় একজন মুসলিম ইমানদার মুমিনের জন্যে এসব সার্ভিস ছাত্র না হয়ে, অথবা শিক্ষক না হয়ে অথবা ঐ নির্দিষ্ট দেশে না থেকে VPN এর মাধ্যমে ব্যবহার বৈধ হবেনা।