আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
১/ কোনো মুফতি সাহেব যদি ভুল ফতোয়া প্রদান করেন যেমন :  তালাক , হুরমতে মুসাহারাত , হারাম হালাল , ইত্যাদি  এর দায় কে নিবেন মুফতি সাহেব নাকি যে ফতোয়া নিয়েছে তার ?


২ / আহলে হাদিস মুফতি যেমন মতিউর রহমান মাদানী সাহেব বলেন হুরমতে মুসাহারাত সম্পর্কে কোনো সহিহ হাদিস নেই ? এটা সম্পর্কে কি বলেন উস্তাদ আপনি ??

৩ / কামভাবের সাথে স্পর্শ করলেও হারাম হয় না গুনাহগার হবে এই কথা কোন কোন মাজহাবের ইমাম বলেছেন ??
by (714,510 points)
আপনি নিজের নাম দিন। এ জাতীয় নিক নেইম পরিহার করুন।জাযাকুমুল্লাহ। 

1 Answer

0 votes
by (714,510 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইকদুল জাইয়িদ ফি আহকামিল ইজতেহাদি ওয়াত-তাকলিদ গ্রহ্নে বর্ণিত রয়েছে যে,
وفى عقد الجید فی احکام الاجتہاد والتقلید :
"إعلم أن العامي الصرف ليس له مذهب وإنما مذهبه فتوى المفتي، في البحر الرائق: لو احتجم أو اغتاب فظن أنه يفطره ثم أكل إن لم يستفت فقيها ولا بلغه الخبر فعليه الكفارة؛ لأنه مجرد جهل وأنه ليس بعذر في دار الإسلام وإن استفتى فقيها فأفتاه لا كفارة عليه؛ لأن العامي يجب عليه تقليد العالم إذا كان يعتمد على فتواه فكان معذورا فيما صنع وإن كان المفتي مخطئا فيما أفتى۔"(فصل في العامي،ص:۳۰،المطبعۃ السلفیۃ)
"জেনে রাখা উচিত যে, যে উম্মি তথা জনসাধারণের নিজস্ব কোনো কোন মাযহাব নেই। বরং তার মাযহাব হল মুফতি সাহেবের ফাতাওয়া। 'আল-বাহরুর রায়েক' গ্রহ্নে বর্ণিত রয়েছে যে, যদি কোনো উম্মি বা সাধারণ মুসলমান ব্যক্তি হেজামা বা গীবত করার পর মনে করে যে, তার রোযা ফাসিদ হয়ে গিয়েছে, অতঃপর সে রোযাকে ভঙ্গ করে ফেলে; এক্ষেত্রে যদি সে কোনো মুফতি সাহেবকে জিজ্ঞাসা না করেই রোযাকে ভঙ্গ করে নেয়, অথবা তার নিকট কোনো মুফতির এ জাতীয় সংবাদ না পৌছে, তাহলে তাকে রোযার কাফফারা আদায় করতে হবে। কারণ সে অজ্ঞ, এবং দারুল ইসলামে অজ্ঞতা ওজর হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে যদি সে কোনো মুফতি সাহেবের ফাতাওয়ার ভিত্তিতে রোযাকে ভঙ্গ করে, তাহলে তাকে কাফফারা দিতে হবে না যদিও মুফতি সাহেব এখানে ভুল ফাতাওয়া দিয়েছেন। কেননা জনসাধারণের জন্য মুজতাহিদ/ মুফতি সাহেবের অনুসরণ করা ওয়াজিব যখন সে কাউকে নির্ভরযোগ্য মনে করবে। সুতরাং এক্ষেত্রে তাকে মা'যুর গণনা করা হবে।(ইকদুল জাইয়িদ ফি আহকামিল ইজতেহাদি ওয়াত-তাকলিদপৃ. 30) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/422

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)  মুফতি সাহেব যদি ভুল ফতোয়া প্রদান করেন যেমন :  তালাক , হুরমতে মুসাহারাত , হারাম হালাল , ইত্যাদি।  এর দায় কারো উপর বর্তাবে না।  মুফতি সাহেবকেও আল্লাহ সওয়াব দিবেন। এবং প্রশ্নকারীকেও আল্লাহ মাফ করে দিবেন। 


(২) হানাফি ফিকহে হুরমতে মুসাহারাত কিয়াস দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং হাদীস থাকবে কিভাবে?এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1233

(৩) কামভাবের সাথে স্পর্শ করলেও হারাম হয় না গুনাহগার হবে। এই কথা অন্য তিন মাযহাবে বর্ণিত রয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1233


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...