আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
53 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমি জেনারেল পড়ুয়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন শিক্ষার্থী।
১।আমাকে মাহরাম ছাড়া দূরে সফর করতে হয় এতে তো আমি গুনাগহগার হচ্ছি। পরিবারের কেউ আমাকে হল পর্যন্ত দিয়ে আসবে না।সহশিক্ষা কন্টিনিউ করার আমার ইচ্ছে নাই।পরিবারের কেউ পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার কথায় রাজি না।উল্টো আমাকে চাকরি করাতে বাধ্য।আমি কি সহশিক্ষা কন্টিনিউ করব?

২।পরিবারের কারোর তেমন দ্বীনের বুঝ নেই।পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করতে বলে।আমি বাসায় পরক্ষোভাবে বলেছি চাকরি না করার কথা।তারা আমাকে অনেক রাগারাগি করে।তাদের মতো করে ভুলিয়ে ভালিয়ে বোঝায় চাকরি করলে মা বাবাকে সাহায্য করতে পারবি।তারা আমাকে আইনি পেশা (সহকারী বিচারক) পদে বা সরকারি যেকোন চাকরি করতে বলে।এটা কি আমার জন্য জায়েজ হবে?

৩।আমি পর্দা মেইনটেইন করার চেষ্টা করি।এক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে সব চাকরিতেই ছবি প্লাস ভাইবাতে মুখ খুলতে বলে।আমি পরিবারকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা বুঝে না। কন্ঠেরও যে পর্দা আছে তারা বোঝে না।অতিরিক্ত জোরাজোরি করলে কি আমার চাকরি করা লাগবে?
৪।জেনারেল শিক্ষা দেশ ও জাতির খেদমতের জন্য হতে হয়।কিন্তু আমি যদি ফরমালি পেশার সাথে যুক্ত না হয়।শুধু জানার জন্য কি সহশিক্ষা চালানো জায়েজ হবে?

৫।একজন নারী হিসেবে পরিপূর্ণ পর্দা করে বর্তমান প্রক্ষাপটে বাংলাদেশের মানুষকে আইনি সেবা দিতে পারি?

৬।সত্যিকার অর্থে আমার চাকরির প্রয়োজন নেই আমার অভিভাবক সামর্থবান,কীভাবে চাকরি বিষয়টা এড়িয়ে যাব?

৭।আমি একাডেমিক পড়াশুনাকে তেমন গুরুত্ব দিই না।বিভিন্ন দ্বীনী ইলম অর্জনের চেষ্টা করি।আমি একাডেমিক পড়াশোনা না করে কি পরিবারকে ধোকা দিচ্ছি যদি চাকরিই না করি?

৮।আমি হলে দ্বীনী কাজে যুক্ত আছি।দাওয়াহ,তালিম,কুরআন শেখানো ইত্যাদি।পরিবার যদি সহশিক্ষা না চালানোতে রাজি না হয়।দ্বীনী কাজের নিয়তে কি আমি হলে যেতে পারব পাশাপাশি কোনরকমে জেনারেল পড়াশোনা কন্টিনিউ করতে পারব?

সকল অবস্থা বিবেচনা প্রেক্ষাপটে সহশিক্ষা চালানো আর চাকরি করা আমার জন্য কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (732,000 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যেহেতু সহশিক্ষাতে আপনাকে মাহরাম ছাড়া দূরে সফর করতে হয়, তাই আপনার জন্য এভাবে মাহরাম ব্যতিত সফর করা জায়েয হবে না।

(২) ফ্রিমিক্সিং পরিবেশে চাকুরী করা স্বাভাবিকত জায়েয হবে না। হ্যাঁ খোরাকির আর কোনো ব্যবস্থা না থাকলে তখন জায়েয হবে।

(৩) পর্দা সম্মত চাকুরী পেলে তো করতে পারবেন।

(৪) শুধু জানার জন্য সহশিক্ষা চালানো জায়েয হবে না।

(৫) একজন নারী হিসেবে পরিপূর্ণ পর্দা করে বর্তমান প্রক্ষাপটে বাংলাদেশের মানুষকে আইনি সেবা দিতে পারবেন।

(৬) সত্যিকার অর্থে যেহেতু আপনার চাকুরির কোনো প্রয়োজন নাই। আপনার অভিভাবক ও সামর্থবান, তাই চাকুরী করা জায়েয হবে না।

(৭) পরিবারকে ধোকা দেওয়া হবে না।

(৮) হ্যা, দ্বীনী কাজের নিয়তে আপনি হলে যেতে পারবেন। পাশাপাশি কোনরকমে জেনারেল পড়াশোনা কন্টিনিউ করতে পারবেন যদি নিজ ঈমান আকিদা সংরক্ষণ থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...