আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
হালাল হারাম সম্পর্ককে ছিল এক যুবক-যুবতী। এখন তারা সম্পর্ক হালাল করতে চাচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের পারিবারিক দিক থেকে উনারা তাদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছেন না মেয়ের পরিবার রাজি হচ্ছেন না (মেয়ের মা রাজী আছেন শুধু বাকি সবাই নারাজ এই বিষয়ে) ছেলের প্রস্তাব মেনে নিচ্ছেন না। ছেলের পরিবারে সবাই এই রাজি আছেন বিয়ে দিতে।

 কুফু এর ব্যাপারে বললে -
ছেলে মেয়ে উভয়ের পারিবারিক অবস্থা ছেলের মধ্যবিত্ত আর মেয়ের পরিবারিক অবস্থা ছেলে থেকে কিছুটা উচ্চ মধ্যবিত্ত। ০.৫/১ এইটুকু এই পার্থক্য বলা চলে। এখন মেয়ে ওই বিষয়ে অ্যাডজাস্ট করার মন মানসিকতা রেখে ছেলে কে বিয়ে করার জন্য উদগ্রীব কিন্তু পরিবার মেনে নিচ্ছেন না। এখন কি তারা কোর্ট ম্যারেজ করবেন বা কিভাবে আগাবেন এটির ব্যাপারে জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (714,510 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/408, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন-এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1525


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমরা কখনোই মাতাপিতার অগোচরে কাউকে বিয়ের পরামর্শ দিবো না। বরং আমরা সর্বদাই বলে থাকি যে, মাতাপিতাকে সাথে নিয়েই বিয়ে করবেন। মাতাপিতার সন্তুষ্টির মধ্যে সন্তানের কল্যাণ নিহিত থাকে। সম্পর্ক কে হালাল করার প্রবণতায় লুকিয়ে বিয়ে করা গোপন যিনার নামান্তর। আপনি হয়তো পারিবারিক ভাবে বিয়ে করবেন নতুবা সম্পর্ককে চিরততরে মুছে দিবেন। সর্বোপরি অবৈধ সম্পর্কের দরুণ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
অভিভাবকদের যদি ইসলামিক জ্ঞানে পরিপূর্ণ না হয় বা দুনিয়াবি চিন্তা ধারায় মশগুল থাকেন সেক্ষেত্রে কি করবেন? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...