আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

প্রশ্ন:১: নিজের দেশের টাকা/কয়েন অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে কিনা/বিক্রি নাজায়েজ। কিন্তু অন্য দেশের নোট/কয়েন কি অতিরিক্ত যেকোনো মূল্য দিয়ে কিনা/বিক্রি জায়েজ? নাকি সেটাও নাজায়েজ?
(যেমন: আমেরিকার ১ ডলারের নোট যদি আমি কারোর থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে কিনি বা কারোর কাছে বিক্রি করি তাহলে সেটা জায়েজ হবে? (যেহেতু ১ ডলার=বাংলাদেশের ৩০০ টাকা নয়, আরো কম))

প্রশ্ন: ২: ভিন্য দেশের পুরাতন নোট/কয়েন (যেমন: ব্রিটিশ আমলের ২ আনা, ৪ আনা) এখন ৪০০-৫০০ +/- টাকায় কেনা/বিক্রি করা যায়। সেটা কি জায়েজ?

প্রশ্ন:৩: আগের কার সময়ে অনেক কয়েন রুপার/স্বর্নের তৈরি হতো। (যেমন: আগেরকার Indian One Rupee তে রুপা ব্যবহার হতো, যেটার VALUE সেই সময় One Rupee ই ছিল)
--তো সেই কয়েন গুলোর VALUE কি বর্তমানে One Rupee ই থাকবে? নাকি তা রুপার ভরির দামে বিক্রি করা যাবে। (যেমন: রুপার তৈরি কোনো কয়েন যদি ১ ভরি হয়, তাহলে কি রপার ১ ভরির দামে সেটা বিক্রি করা যাবে?)

1 Answer

0 votes
by (714,510 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সাধারণত মুদ্রার লেনদেন দুইভাবে হতে পারে।যথা- 
(ক)ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন।
(খ)একই দেশের কারেন্সির লেনদেন।
প্রথম প্রকারের লেনদেনকেই ফরেক্স বলা হয়।
তথা ভিন্ন দুই দেশের মুদ্রার লেনদেনকেই ফরেক্স বলা হয়।

(ক)
ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন
এক দেশের কারেন্সি আরেক দেশের কারেন্সির বিনিময়ে কমবেশি করে বিক্রি করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে মজলিসেই কমপক্ষে একপক্ষ টাকাটি হস্তগত করে নিতে হবে। যদি একজনও তাদের বিনিময়কৃত কারেন্সি হস্তগত না করে তাহলে ক্রয় বিক্রয়টি জায়েজ হবে না। (জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;৪/২৮জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম;১-১৩৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/14067

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) অন্য দেশের নোট/কয়েন অতিরিক্ত যেকোনো মূল্য দিয়ে কিনা/বিক্রি জায়েয। 

(২) 
ভিন্য দেশের পুরাতন নোট/কয়েন (যেমন: ব্রিটিশ আমলের ২ আনা, ৪ আনা) এখন ৪০০-৫০০ +/- টাকায় কেনা/বিক্রি করা যায় জায়েয।

(৩) রুপার ভরির দামে বিক্রি করা যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...