আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

একজন ব্যাক্তি এক গ্রামের মসজিদের খতিব সাহেব এবং হাফেজ।উনাকে নাকি অনেকদিন ধরে জ্বীন জ্বালাতন করতো আশ্রয় নেওয়ার জন্য।পরবর্তীতে উনি জ্বীনদের আশ্রয় দেয়।এরপর থেকে উনি মানুষের ট্রিটমেন্ট করেন।ব্যাপারটা এমন যে-নাম শুনেন,তারপর চোখ বন্ধ করে জ্বীনদের জিজ্ঞেস করেন যে অমুকের কি সমস্যা,তারপর সমস্যাগুলো বলেন।উনি কোনো তাবিজ দেন না,শুধু পানি আর তেল পরা দেন।কোনো টাকা চান না।যা দেওয়া হয় তাই নেন।উনার বাসার অনেক জায়গায় আমি অন্যরকম লেখা দেখেছি,আমাকে বলা হয়েছে ঐগুলো কুরআনের নকশা।লেখাগুলোর সাথে বাংলায় ঠিক এভাবেই লেখা ছিলো"ইয়া রব,ইয়া রব,ইয়া রব লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মো:মো:লাইলাহা  ইল্লা আন্তা ছব্বাহানাকা ইননি কুন্তুম মিলাজ্জলিমিন।অমর অকক্ষ অটল সিন্দু।মাসাল্লাহ আল্লাহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হালিম।"আমার কাছে ব্যাপারগুলো শরিয়তসম্মত মনে হয়নি কিন্তু আমি এটা বলায় আমার আত্নীয়রা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়,কেননা উনি একজন হাফেজ,অবশ্যই উনি আমার চেয়ে বেশি জানেন।আর আত্নীয়দের মধ্যে একজন আলেমই আমার আম্মুকে ওখানে যাওয়ার জন্য সাজেস্ট করেন।উনিও অবশ্যই আমার চেয়ে বেশি জানেন।


শায়েখ,আমি যা যা দেখেছি তাই বর্ননা করেছি।বর্ননা অনুযায়ী-

১- এগুলা কি শরিয়তসম্মত?

২-আর যদি না হয় আমি বাসার মানুষকে কিভাবে বোঝাবো?

৩-কুরআনের নকশা বলে কি আদৌ কিছু হয়?

1 Answer

0 votes
by (737,820 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আওফ ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। 
عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ؟ فَقَالَ: اعْرِضُوا عَلَيَّ رُقَاكُمْ لَا بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ تَكُنْ شِرْكًا
তিনি বলেন, আমরা জাহিলী যুগে ঝাড়ফুঁক করতাম। অতঃপর আমরা বললাম, য়হে আল্লাহর রাসূল! এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি? তিনি বলেনঃ তোমাদের ঝাড়ফুকের ব্যবস্থাগুলো আমার সামনে পেশ করো; তবে যেসব ঝাড়ফুঁক শির্কের পর্যায়ে পড়ে না, তাতে কোনো দোষ নেই।[মুসলিম (২২০০)-৬৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬০৯৪, আবূ দাঊদ ৩৮৮৬, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১০৬৬, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৩২৫৭, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৫১৫, মুসতাদরাক হাকিম ৭৪৮৫, বায়হাক্বী’র কুবরা ২০০৮১, আস্ সুনানুল সুগরা ৪২৮৯, মা‘রিফাতুস্ সুনান লিল বায়হাক্বী ৫৯৫৪, আল জামি‘উস্ সগীর ১৯২৮, সহীহুল জামি‘ ১০৪৮]


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণনামতে 
১- অমর অকক্ষ অটল সিন্দু এটাই শুধুমাত্র সন্দহজনক। বাদবাকি কোনোটাতেই শিরক নেই। সুতরাং উনাকে অস্পষ্ট জিনিষ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিতে পারবেন। 

২-বাসার মানুষকে হেকমতের সাথে নরম ভাষায় বুঝাবেন।

৩-কুরআনের নকশা বলে আদৌ কিছু নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...