আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (26 points)
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
বিয়ের আগে, বিয়ের দিন ও বিবাহ পরবর্তী করণীয় ও সুন্নাহ আমল জানালে উপকৃত হবো।

,১২২৩৪৬৭৮৯৯৬৩২২৪()+৬৫২২৩৪৳_৪৫&&৪#৪+#+#(*_-৪৭#৪+৪৮#৪৮২৭২৭#-২৭৪-২৪৭৪#+#৫+#৫+#৪+#(#৪+#৪+৫+#৪+#১৳(_৭৮#&@২৬#৪+৪#+৩৬(#৭#+৫+৫৭৪৭৪-#৪+#৫৭@+৳৫+#৬)#৫+#৫+#৫(#৪(#৫+#৪+@৬@৪-#৬#৪৭৪#-#৪-#৪+@৪+৪৫#(+#৪

,

1 Answer

0 votes
by (714,510 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার পাত্র-পত্রী খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/18

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুন্নতি বিয়েতে পাত্র পাত্রীকে দেখবে। দ্বীনদ্বারিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে পাত্র তার পাত্রীকে নির্বাচন করবে। এবং পাত্রীও পাত্রর দ্বীনদ্বারিতাকে লক্ষ্য করে সম্মতি জ্ঞাপন করবে। এরপর দিন তারিখ ঠিক করে মহর কমিয়ে নির্ধারণ করে মসজিদে বিয়ের আকদ অনুষ্টিত হবে। মহরের ক্ষেত্রে নগদে উসূল হওয়াই মূলত সুন্নাহ। যথা সম্ভব নগদে পরিশোধ যোগ্য কমিয়ে মহর রাখাই সুন্নাহ। বিয়ের আকদ অুনষ্টানে লোক সমাগম কমিয়ে রাখাই সুন্নাহ। বিরাট অনুষ্টান বা বরযাত্রী প্রথা না করাই সুন্নাহ। কনের বাড়ী থেকে কিছূ গ্রহণ না করাই সুন্নাহ। হ্যা,কনের পিতা নিজের ইচ্ছায় কিছূ দিয়ে দিলে তা ভিন্ন কথা।

বিয়ের একজন প্রস্তাব দিবে,অন্যজন প্রস্তাব গ্রহণ করে কবুল বলবে।এটাই মূলত সুন্নাহ। পাত্রপক্ষ বা পাত্রীপক্ষ যেকেউ প্রস্তাব দিয়ে পাঠাতে পারবে।অন্যজন কবুল করে নিলেই বিয়ে হয়ে যাবে।

আমাদের দেশে কমিউনিটি সেন্টার সমূহে বিয়ের যে পদ্ধতি প্রচলিত তা সুন্নাহ সম্মত নয়। বিয়ের সময় পাত্রীর নিকট থেকে যে কবুল নেয়া হয়, তা মূলত বিয়ের অনুমতি গ্রহণ।এই অনুমতি গ্রহণের সময় নিজ মাহরাম পুরুষ উপস্থিত থাকা বাঞ্চনীয়। পাত্রীর নিকট থেকে মূলত পাত্রীর মাহরাম পুরুষরাই অনুমতি গ্রহণ করবে। তারপর পাত্রর সামনে এসে তারা বিয়ের প্রস্তাব দিবে।
তবে বর্তমানে যে পদ্ধকি প্রচলিত রয়েছে, সেটা মূলত কাবিন রেজিস্টারের স্বার্থে কাজী নিজে উপস্থিত থেকে কনের নিকট থেকে অনুমতি গ্রহণ করে থাকেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/8622

বিয়ের খরচ কম থেকে কম হবে। তারপর বাসর রাত হবে।বাসর রাতে স্বামী স্ত্রী মিলে প্রথমে দু রাকাত নামায পড়ে স্বামী তার স্ত্রীর কপালের চুলে ধরে আল্লাহর কাছে দু'আ করবে। তারপর নগদ মহরের শর্ত থাকলে স্বামী মহর পরিশোধ করবে। শর্ত না থাকলেও মহর পরিশোধ করা উত্তম।অতঃপর তারা মিলিত হবে। অতঃপর পরদিন স্বামী তার সাধ্যানুযায়ী ওয়ালিমা করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...