আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
আমার এক বন্ধুকে বলা হলো যে, বন্ধু তুই জামায়াত-শিবিরকে বিভিন্ন ভালো কাজের জন্যে সমর্থন জানাছ এবং মন্দের ভালো মনে করে ভোট দেওয়ার পক্ষে- ওকে ঠিক আছে!  কিন্তু যখন তুই দেখবি তারা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক ঈমান হারার মত কাজ করে, যেমন পূজাতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানানো অথবা লিখিত আকারে তার আনন্দ ভাগ করে দিবে অথবা আলহামদুলিল্লাহ বলে পূজার সমস্ত কাজ সুন্দরভাবে শেষ করেছি বলবে তখন কি তা গর্হিত কাজ ও ঈমান বিধ্বংসী হয় না?
প্রতি উত্তরে বন্ধু আমাকে যে জবাব দিলো আমি অন্ধ, ব্রেন ওয়াশড, হিন্দুর রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব, তুই পাগল,  হিন্দুদের দেশ থেকে বের করে দে-ইয়ত্তকার কথা বলে তিরস্কার করলো! আমার প্রশ্নটা ছিলো আলহামদুলিল্লাহ বলে উৎযাপন করেছি এই কথা বলার কিংবা মন্দিরে গিয়ে শুভেচ্ছা উৎযাপন করার বিষয়ে তোর মন্তব্য কী?  এর পরিপ্রেক্ষিতে তার জবাব ছিলো এমন।
এখন আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই, সে কি সঠিকভাবেই চিন্তা করছে নাকি ভুলভাবে বুঝে জামায়াতের এই উৎযাপনকে সমর্থন করছে? তার কি ইলম চর্চা করা জরুরি নয়?

1 Answer

0 votes
by (714,510 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
 وَعِلْمِ الْأَلْفَاظِ الْمُحَرَّمَةِ أَوْ الْمُكَفِّرَةِ، وَلَعَمْرِي هَذَا مِنْ أَهَمِّ الْمُهِمَّاتِ فِي هَذَا الزَّمَانِ؛ لِأَنَّك تَسْمَعُ كَثِيرًا مِنْ الْعَوَّامِ يَتَكَلَّمُونَ بِمَا يُكَفِّرُ وَهُمْ عَنْهَا غَافِلُونَ، وَالِاحْتِيَاطُ أَنْ يُجَدِّدَ الْجَاهِلُ إيمَانَهُ كُلَّ يَوْمٍ وَيُجَدِّدَ نِكَاحَ امْرَأَتِهِ عِنْدَ شَاهِدَيْنِ فِي كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ، إذْ الْخَطَأُ وَإِنْ لَمْ يَصْدُرْ مِنْ الرَّجُلِ فَهُوَ مِنْ النِّسَاءِ كَثِيرٌ. 
স্বামী-স্ত্রী পরস্পরা হারাম সাব্যস্তকারী শব্দাবলী এবং কুফুরীর দিকে ধাবমান শব্দাবলী সম্পর্কে জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয। আমার জীবনের শপথ।বর্তমান সময়ে এ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।কেননা তুমি অনেক জনসাধারণকে দেখতে পাবে, যারা হরহামেশা এমন আলাপে লিপ্ত,যার ফলাফল সম্পর্কে তারা পুরোটাই গাফিল।বর্তমান সময়ে সতর্কতাবশত দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দৈনিক একবার ঈমানকে দোহরানো উচিৎ। এবং প্রতি মাসে অন্তত একবার বা দুইবার দুই সাক্ষীর সামনে নতুনকরে নিকাহ করা উচিৎ। স্পর্শকাতর ভুলভ্রান্তি যদিও পুরুষদের থেকে কম সংগঠিত হয়,কিন্তু মহিলাদের থেকে তা অহরহই সংগঠিত হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1893

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার ঐ বন্ধুর মনোভাব ও বক্তব্য সংশোধনের প্রয়োজনিয়তা রযেছে। তাই তিনি উলামাদের নিকট গিয়ে নিজেকে সংশোধন করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...