আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
১. রাসূলের হাদীস ও সুন্নতের মধ্যে পার্থক্য কি। বিস্তারিত বলবেন।

২. কাফির ও মুশরিকের মধ্যে পার্থক্য কি। বিস্তারিত বলবেন

৩. মুশরিকদের জন্য জান্নাত হারাম করে দেওয়া হয়েছে কোন ব্যাক্তি যদি শিরকে আসগর করে তাহলে কি সে আজীবন জাহান্নামে থাকবে?

৪. সকল কাফির মুশরিক নয়, কিন্তু সকল মুশরিক কাফির কথাটা কি ঠিক। আর যদি ঠিক হয়ে থাকে তাহলে শিরকে আসগরে জড়িত ব্যাক্তি কি কাফির

৫. অনেক সময় আমার আব্বা আম্মা কে বলতে শুনি তুই আমাদের একমাত্র আশা ভরসা উনাদের এ-ই কথা কি শিরক হবে নাকি?

৬. অনেক সময় কথা বলার সময় আমরা বলি আপনার কারণ আমি বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছি বা আপনি একমাত্র আমাকে এ-ই বিপদ থেকে বাচঁাতে পারেন এই কথা গুলার মাধ্যমে শিরক হবে নাকি যদি অন্তরে বিশ্বাস থাকে আল্লাহ আমাদেরকে এই গুলা রক্ষা করবেন এই গুলা শুধু একটা মাধ্যম?
by (714,510 points)
তাকদীর ও তাকফির নিয়ে চিন্তাভাবনা করা এক প্রকার ওয়াসওয়াসা। যা ঈমান আকিদাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। কাজেই এত্থেকে দূরে থাকতে হবে। জাযাকাল্লাহ। 

1 Answer

0 votes
by (714,510 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কাউকে কাফের বলার ক্ষেত্রে সতঃসিদ্ধ নিয়ম সম্পর্কে  আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد،
কুফরি হল কি না? এই সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কুফরির ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকবে, অন্যদিকে কুফরি না হওযার এক ভাগ সম্ভাবনা বাকী থাকবে। তখন মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার ফয়সালা প্রদান করা। কেননা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুলের কারণে এক হাজার কাফেরকে মুসলমান হিসেবে অবশিষ্ট রাখার চেয়ে ভুলক্রমে একজন মুসলমানকে কাফির সাব্যস্ত করা জঘন্যতম সিদ্ধান্ত। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}(শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5807


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা, কাজ, সমর্থন ইত্যাদিকে হাদীস বলে। এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনের প্রত্যেকটা জীবন পদ্ধতিকে সুন্নত বলে।  হাদীস খাস এবং সুন্নত আম।

(২) কাফির অর্থ অস্বীকার কারী। প্রত্যেক অমুসলিমক কাফির বলে। এবং মুশরিক অর্থ আল্লাহর সাথে শরীক কারী। যারাই আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করবে,তারাই মুশরিক। প্রত্যেক মুশরিক কাফির।তবে প্রত্যেক কাফির মুশরিক নাও হতে পারে। 

(৩) মুশরিকদের জন্য জান্নাত হারাম করে দেওয়া হয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি শিরকে আসগর করে, এবং সে যদি নিজেকে মুসলমান দাবী করে তাহলে  সে আজীবন জাহান্নামে থাকবে না। 

(৪) সকল কাফির মুশরিক নয়, কিন্তু সকল মুশরিক কাফির কথাটা সঠিক। শিরকে আসগরে জড়িত ব্যক্তি কে কাফির বলা যাবে না।

(৫) মা বাবা যদি সন্তানকে বলে, 'তুই আমাদের একমাত্র আশা ভরসা' তাদের এ-ই কথাকে শিরক আখ্যায়িত করে তাদেরকে কাফির বলা যাবে না।

(৬) কেউ যদি কাউকে লক্ষ্য করে বলে, 'আপনার কারণে আমি বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছি বা আপনি একমাত্র আমাকে এ-ই বিপদ থেকে বাঁচাতে পারেন' এই কথা গুলো বলার কারণে কাউকে কাফির আখ্যায়িত করা যাবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...