ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)
قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ঈমানের সহিত মৃত্যু, কবরের আজাব থেকে রক্ষা ও জান্নাত লাভের জন্য নফল নামাজ পড়া যাবে।তবে এসব কিছুর চেয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নফল নামায পড়াই উচিত।
(২) মহানবী হযরত মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে স্বপ্ন দেখার নিয়তে নফল নামাজ পড়ার আলোচনা কোথাও দৃষ্টিগোচর হয়নি। হ্যা, দুরুদ শরীফ বেশী বেশী পড়ার কথা বিভিন্ন বর্ণনা থেকে পাওয়া যায়।
(৩) মনে যদি নতুন নতুন কথা বা প্রশ্নের চিন্তা আসে যা জীবনেও কোথাও শুনা হয়নি, এসব প্রশ্ন যদি কোনদিন না করে বা জানার চেষ্টা না করে বরং এড়িয়ে যায়, তাহলে কোন সমস্যা হবে না। এমনকি অতিরিক্ত প্রশ্ন করার কারণে অতীতের অনেক জাতি ধ্বংস হয়েছে।