আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,,,
১একটা পরিবারে ৩জন ছেলের বউ হলে।।পরিবারের সদস্যরা একেক জনের সাথে একেক রকম ব্যবহার করা কি উচিত হবে???যেমন,একজনকে জামা দিল আরেক জনকে দিল না।।একজন যা কিছু তার স্বামী আনবে বা দিবে বলে।।আরেক বউকে বলে বাপের বাড়ি থেকে আনতে।।একজন সামান্য ভুল করলেও বিচার শুরু হয়ে যায়।।আরেকজন অনেক বেশি কিছু করলেও কোন সমস্যা হয় না।।কেউ কোন কিছুই বলে না।।এমন করাটা কি শশুড় বাড়ির লোকেদের উচিত??এতে তারা কি ইনসাফ করতেছে??নাকি এখানে ইনসাফ এর দরকার নাই??

২.আমি কোন রোগী দেখতে গেলে বা কারো বাসায় গেলে।তার বাসায় যে ফল নিয়ে যাব।।বা যা কিছু নিয়ে যাব।সেই ফলের বা সেই জিনিসের উপর কি আমার হক থাকবে???মানে যাদের বাসায় গিয়েছি তারা বাধ্য আমাকে আমার আনা জিনিস খাওয়াতে, যেহেতু এসব জিনিস এর উপর আমার হক হয়ে গেছে।।তারা যদি না দেয় আমাকে খেতে তাহলে কি গুনাহগার হবে???

1 Answer

0 votes
by (683,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://www.ifatwa.info/6683 নং ফাতওয়ায় বর্ণিত রয়েছে ,
শরীয়তের বিধান মতে একাধিক স্ত্রীর মাঝে যদি ইনছাফ করতে পারে,তাহলে প্রয়োজনের স্বার্থে একাধিক বিবাহ করতে পারবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন
فانكحوا ما طاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع 
তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)।(সুরা : নিসা, আয়াত-৩)

দ্বিতীয় বিয়ে করার ইসলামী শর্ত বেশ কঠিন অনেক কড়া। আগের স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও সমান তালে সব অধিকার পালন করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়।
قال اللہ تعالی:فإن خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة (سورہ نسا، آیت:۳)
 আল্লাহতায়ালা বলেন, একাধিক বিয়ের সুবিধা যাদের আছে, তারা যদি সম অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভীত হও, তাহলে এক বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক। 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/6683

একাধিক স্ত্রীর মাঝে দুই বিষয়ে সমতা রক্ষা করা অতীব প্রয়োজন। স্ত্রীদের সঙ্গে রাতযাপন ও ভরণ-পোষণ। 

এ দুই অধিকার সব স্ত্রীর ক্ষেত্রে সমানভাবে স্বামীকে পালন করে যেতে হবে। কোন স্ত্রী সুন্দর বা অসুন্দর, আর কোনটি কুমারী বা বিধবা তা পার্থক্য করা যাবে না। 

কিন্তু কোনো স্ত্রীর প্রতি মনের ভালোবাসা বেশি হওয়া, আবার অন্য স্ত্রীর প্রতি কম হওয়া তা সমতার অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা, এটি মনের বিষয়, আর মনের ওপর কারও কোনো অধিকার নেই। একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে শুধু রাতযাপন ও খরচাপাতি এ দুই বিষয়ে সমতা ধর্তব্য। এটাই হলো একাধিক স্ত্রীর মধ্যে সমতা রক্ষার ইসলামি শরিয়তের বিধান। 

হাদিসে আছে, হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) স্ত্রীদের মধ্যে পালাবণ্টন করতেন এবং ন্যায়বিচার করতেন। আর বলতেন, হে আল্লাহ! আমি আমার শক্তি-সামর্থ্যানুযায়ী পালাবণ্টন করলাম। সুতরাং যাতে শুধু তোমার ক্ষমতা রয়েছে, তাতে আমার শক্তি নেই। কাজেই তাতে তুমি আমাকে ভর্ৎসনা করো না। (তিরমিজি : ১১৭০, আবু দাউদ : ২১৩৬)।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীয়তের বিধান মতে একাধিক স্ত্রীর মাঝে যদি ইনছাফ করতে পারে,তাহলে প্রয়োজনের স্বার্থে একাধিক বিবাহ করতে পারবে।

যে ব্যাক্তি একাধিক বিবাহের ক্ষেত্রে শরীয়তের শর্তাবলী পূর্ণ ভাবে মানার উপরে সক্ষম হয়,তার জন্য একাধিক বিবাহ বৈধ।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক্ষেত্রে স্ত্রীদের উপর জুলুম হচ্ছে।

একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে রাতযাপন ও খরচাপাতি এ দুই বিষয়ে সমতা বজায় রাখা আবশ্যক। 

এক্ষেত্রে যেমন প্রত্যেক স্ত্রীর নিকট সমান রাত থাকতে হবে, পাশাপাশি এক স্ত্রীকে জামা দিলে সকল স্ত্রীকে জামা দিতে হবে এবং সকলকে সমান মূল্যের জামা দিতে হবে।

এক স্ত্রীকে কোনো খাবার দিলে সকল স্ত্রীকে খাবার দিতে হবে।

সমান মূল্যের খাবার দিতে হবে।

থাকা খাওয়া পোশাক সর্ব ক্ষেত্রেই সমতা বলে রেখে চলতে হবে।

(০২)
না,সেই ফলের বা সেই জিনিসের উপর আপনার কোনো হক থাকবেনা।
এর মালিক এখন সেই অসুস্থ ব্যাক্তি।

সুতরাং তারা যদি আপনাকে খেতে না দেয়, তাহলে তারা গুনাহগার হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,, ওস্তাদ এক জনের ৩স্ত্রী না।।৩ছেলের ৩স্ত্রী।।।শশুড় শাশুড়ির ইনসাফের ব্যাপারে জানতে চেয়েছি।।।ওই ফ্যামিলির বাকি সদস্যদের ইনসাফের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলাম।।আফওয়ান আমি ভালো ভাবে বুজাতে পারি নাই।।
by (683,400 points)
এক্ষেত্রে প্রত্যেক স্ত্রী দায়িত্ব তার স্বামীর উপর প্রত্যেক স্ত্রীর ভরণপোষণ পোশাক ইত্যাদি সহ সবকিছুর দায়িত্বই মূলত নিজ নিজ স্বামীর উপর বর্তায়।

এক্ষেত্রে শশুর শাশুড়িদের উপর কোন দায়িত্ব নেই, তাই তাদের পক্ষ থেকে ইনসাফ বা বে ইনসাফের কোন বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়।

এখানে মূলত প্রত্যেক স্ত্রীকে নিজ নিজ স্বামী সমস্ত খরচ দিবে, সুতরাং বেইনসাফ করার কোন সুযোগ দেখছি না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...