আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
দয়া করে আমার প্রশ্নটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে উত্তর দিবেন। কারন আপনার এই উত্তরের উপর অনেক কিছু নির্ভভ করবে।
এবং দয়া করে বুঝিয়ে দিবেন উত্তর টি।

ছেলে এবং মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক। ছেলে ছিল ঢাকা এবং মেয়ে ছিল সিরাজগঞ্জ। মেয়ের কাছে কয়েকজন প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে সাক্ষী ছিল এবং ছেলের কাছে ২ জন পাপ্ত বয়স্ক ছেলে সাক্ষী ছিল। ফোন লাউডস্পিকার দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়। দেন মোহর,  ইজাব- কবুল এর মাধ্যমে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : ছেলে এবং মেয়ের ইজাব- কবুল উভয় পক্ষের সাক্ষী ই শুনতে পায় নিজের কানে। এবং  ২ পক্ষের সাক্ষীদের উপস্থিতি ও কাজী টের পায়। কারন মেয়ে পক্ষের সাক্ষী তো কাজীর কাছেই ছিল আর লাউডস্পিকার এর মাধ্যমে ছেলে এবং ছেলে পক্ষের সাক্ষীর উপস্থিতি ও টের পাওয়া গিয়েছিল। ইজাব - কবুল ও স্পষ্ট শোনা গিয়েছে। কিন্তু ওই খানে ছেলে মেয়ে কারো অভিভাবক উপস্থিত ছিল না। তাদের শারিরীক সম্পর্ক ও হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল তাদের কি বিয়ে বৈধ হয়েছে?  দয়া করে প্রতিটি লাইন সুক্ষ ভাবে পড়ে উত্তর দিবেন। আপনার উত্তর এর অপেক্ষায় রইলাম।

1 Answer

0 votes
by (680,550 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়নি। 
সুতরাং তাদেরযে শারিরীক সম্পর্ক হয়েছে,সেটি যেনার অন্তর্ভুক্ত হবে। 

দ্রুত তাদের শরয়ী বিধান মোতাবেক বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
আমি একটি জায়গায় বুঝি নাই, দয়া করে একটু আমার এই প্রশ্নের উত্তর দিন। 
আপনি বল্লেন সাক্ষী রা উভয় পক্ষের ইজাব-কবুল স্পষ্ট শুনবেন যেটা মোবাইলে সম্ভব নয়। কিন্তু একি সাথেই উভয় পক্ষের ইজাব-কবুল সাক্ষী সহ কাজী শুনেছে। আর উভয় পক্ষের সাক্ষী কেই উভয় পক্ষের সবাই চেনে অর্থাৎ পরিচিত। 
তাহলে এখানে তো বিয়ের শর্ত পূরণ হলোই। 
তবুও কি বিয়ে শুদ্ধ হয়নি?  নাকি হয়েছে?  
দয়া করে উত্তর টি দিবেন। 
by (680,550 points)
এখানে ইজাবকারী, কবুল কারী,ও সাক্ষীদের মজলিস এক হতে হতে হবে।

যাহা প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হয়নি।

উভয়ে আলাদা আলাদা মজলিসে ছিলো।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...