অবিবাহিতদের করণীয়
যারা বিয়ে করতে পারছেন না, তাঁদের জন্য ইসলামের নির্দেশ হলো:
হালাল উপায়ে বিয়ে করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া:
অভিভাবকের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা।
মসজিদ, কমিউনিটি বা বিশ্বস্ত মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে প্রস্তাব খোঁজা।
প্রয়োজন হলে বয়স, পেশা বা সামাজিক অবস্থার শর্ত কিছুটা নমনীয় করা।
অভিভাবকদের দায়িত্ব স্মরণ করানো:
ইসলামে অভিভাবককে সময়মতো ছেলে-মেয়ের বিয়ে করানো সুন্নত। বিনয়ের সঙ্গে তাদের বোঝানো যেতে পারে।
সবর ও তাকওয়া বজায় রাখা:
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি বিবাহ করতে সক্ষম নয়, সে যেন রোজা রাখে; কারণ রোজা তার কামনা-বাসনা কমিয়ে দেয়।”
(সহীহ বুখারী, মুসলিম)
আত্মসম্মান ও ঈমান রক্ষা:
দৃষ্টি সংযত রাখা (সূরা নূর:30-31)।
অবৈধ সম্পর্ক থেকে বেঁচে থাকা।
পর্দা ও শালীনতা বজায় রাখা।
একাকিত্বের সময়ে ইবাদত, কুরআন তিলাওয়াত ও উপকারী কাজে সময় দেওয়া।
★ ফেতনার যুগে ঈমান ও চরিত্র রক্ষা।
নামাজকে আঁকড়ে ধরুন—এটাই ঈমানের ঢাল।
নিয়মিত কুরআন ও যিকির পড়া, বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যার আমল।
দ্বীনি শিক্ষার পরিবেশ ও নেক সঙ্গ গড়ে তুলুন।
সোশ্যাল মিডিয়া ও অশ্লীল কনটেন্ট থেকে দূরে থাকুন।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিনের বিষয়টি বিস্ময়কর। যখন সে কল্যাণপ্রাপ্ত হয়, তখন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। আবার যখন বিপদগ্রস্ত হয়, তখন ছবর করে। উভয় অবস্থায় সে আল্লাহর নিকট পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়’ (মুসলিম)।
★সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা করা জরুরী । আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হন’ (তালাক ৬৫/৩)।
★হতাশা থেকে বাঁচতে হবে,হতাশ হওয়া যাবেনা।
আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না’ (যুমার ৩৯/৫৩)। অতএব মুমিন কখনো হতাশায় ভোগে না।
নিরুপায় মানুষ আল্লাহর উপর একান্ত ভরসা করে বৈধ পন্থায় চেষ্টা করে গেলে আল্লাহ অবশ্যই তার জন্য উত্তম পথ বের করে দিবেন।
এ ব্যাপারে তিনি তার অনুগত বান্দাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, তার জন্য তিনি উপায় বের করে দেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রূযী দেন, যা সে কল্পনাও করেনি’ (তালাক ৬৫/২-৩)।
তিনি বলেন ‘যারা আমাদের পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, অবশ্যই আমরা তাদেরকে আমাদের পথসমূহে পরিচালিত করব। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সাথে থাকেন’ (আনকাবূত ২৯/৬৯)
আখেরাতের জিন্দেগীর তুলনায় দুনিয়ার জিন্দেগীর কিছু নয়।
ধৈর্য করে আল্লাহর উপর ভরসা করে ঈমান আমল নিয়ে চললে আখেরাতে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম জাযা দিবেন।
শুধুমাত্র আল্লাহকে আপন মনে করুন।
যিনি আপনাকে সৃষ্টি করলেন, রিযিক দিলেন,এতো লক্ষ কোটি নিয়ামত দ্বারা ভরপুর করলেন,সেই মহান সত্তাকে সব চেয়ে বেশি মুহাব্বত করতে হবে।
তার উপরেই ভরসা করতে হবে,তাকে মুহাব্বত করে ইবাদত চালিয়ে যেতে হবে।